Thu 18 September 2025
Cluster Coding Blog

এক পঙতি'র কবিতা গুচ্ছে মানিক বৈরাগী

maro news
এক পঙতি'র কবিতা গুচ্ছে মানিক বৈরাগী
১ -সূর্য কন্যা রোদেলার ক্ষমতা মাত্র কয়েক ঘন্টা, ঘানি টানতে লাগে বহুবছর। ২ -তোমায় ছুঁয়ে আসা মিহিন বাতাসে রোদের তীব্রতা হারিয়ে যায় । ৩ -তুমি জানালা খোলে দিলে বাতাস শীতল হয়ে যায়। ৪ -পর্দার ঢেউখেলানো বাতাসে জ্বলে ওঠে নিয়নবাতি। ৫- ঝড় থেমে গেলে তুমি বৃক্ষদেবী। ৬ -দূরের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে আছে বৃষ্টিভেজা গুল্মফুল। ৭ -যে নদে নদী হারিয়ে যায় সেখানে পাড়া জন্মায়। ৮ -তোমাদের উঠোনে নূর নূর বলে আঁচড়ে পড়া ঢেউয়েরা কবিতা শোনায়। ৯- সিন্ধুর উদ্যত জলরাশি কবিতার আশে শান্ত হয়ে আসে কুতুবদিয়ার চরে। ১০ -জারণ-বিজারণে যোজন বিয়োজনের বাষ্পীভূত বুদবুদ বলে ধরণীও নয় একক। ১১ -রাধা রওনক বেলায় কৃষ্ণজাহান রোশনাই করো কালার আশায়। ১২ -প্রভাতের মিহিন আলোয় বুক পেতে বলছি, মানুষ আজ বড্ডো অসহায় । ১৩ -পাপগুলো প্রেমের, ঈশ্বরীর মতো শুভ্র সকাল। ১৪- আলো ঝলোমল স্বপ্ন সমূহ সামলে রাখো,বাতাসে অচৌখিক আততায়ী। ১৫ -কবিতা'রা উড়ে গেছে খবরের কোলাহলে। ১৬ -ধ্যান জ্ঞান দ্রবীভূত হলে পৃষ্ঠাগুলো নিকুঞ্জবন। ১৭ -বদন দেখে মনের খবর বুঝে যে জন,সেই তো ভাগ্যধন। ১৮- মধুমাস, বাতাসে ভাসে মিশ্রফলের রসপোড়া যাদুবাষ্প ঘ্রাণ!! ১৯ -আম্রপালির মৌ মৌ লোবানে,অলির গুঞ্জরণে কবিতা মাতাল। ২০- অতঃপর মিছিলের জংধরা ফেস্টুনও এঁকে এঁকে কেটে খায় পোষ্য ইঁদুর। ২১- দিবাঘুমে দিবাস্বপ্নে ঘুরেবেড়াই উর্ধ্বাকাশে, কথা কই ইথার থেকে ভূতলে। ২২ -গৃহপালিত প্রাণী আর গৃহপালিত স্বামী সমব্যথী। ২৩ -ছা-পোষা বাবা-মা'র স্বপ্ন কে মুঠোয় নিয়ে বিপ্লব চুদাচ্ছি, তখন গর্বাচেভ কষে পোঁদ মেরে দিলো। ২৪ -বজ্র-মেঘের সমকলার অতিষ্ঠতায় বিজলির জ্বলনে বৃষ্টি ঝরে পড়ে মৈনাক চুড়ায়। ২৫- শ্রেণী চরিত্র ঃ-গ্রামে এলে মওদুদি মুজাহিদ শহরে গেলে বিপ্লবী কমরেড। ২৬ -মেঘ বিজলি বাদল সহন দহন যার, সেই তো জনতার। ২৭ -ধূপধোঁয়া দেখে সবাই, চুপধোঁয়া কেউ দেখেনা হায়! ২৮ -মানুষের আয়ু নিয়ে খেলতো আজরাইল, এখন খেলছে হাসপাতাল। ২৯ -উজাড় হয়েছে বন উজাড় হয়েছে মন। ৩০ -তোমাদের বাগানে বসেনা পাখি তাই যায়না আঁখি। ৩১ -যখন নিজেই নিজের কাছে বেগানা তখন ফুল পরিও ভাল্লাগেনা। ৩২ -ভেজারোদের বৃষ্টিমাখা বাতাসে লোবান মুখর একটি মুখ হাসে। ৩৩ -রক্ষিতার সাথে রমণ-রতি শেষে ভেকধারীকে, লোকে রাজনীতিক বলে। ৩৪ -মরণের আমার ডর-ভয় নাইরে খোদা, ভয় শুধু লোভ-লালসায় পতিত হওয়া। ৩৫- ছোঁ মন্তর ছোঁ, থোক বরাদ্দ ক্যু। ৩৬ -পিতৃদেবের ঐশীবাণী কন্যার বুলি ইঁদুরের গালে ও জালে, ভেসে যায় বেণুজলে। ৩৭ -কবিতার দরদী স্বর বলে বিরাজিত হও জনারণ্যে, পাবে অমৃত ভালোবাসা। ৩৮ -যে জীবন ধুম্রজলের সে জীবন তোমার নয় সখি। ৩৯- ফাঁদপাতা বীভৎস উল্লাসে পশু হত্যাকারী প্রাণীর নাম আশরাফুল মাখলুকাত। ৪০ -বালুচিকায় ডুব দিয়ে দেখি, মরীচিকার আয়নায় আলোকিত অন্ধকার। ৪১ -ফ্লাস চোখে দেখো প্রকৃতির রূপ , মনের গভীরে নিজেই প্রকৃতির স্বরূপ। ৪২ -চা-বাগানের মতো উড়োবৃষ্টি এখনো কি ঝরে পড়ে তোমাদের উঠোনে? ৪৩ -তোমাদের ক্ষেতের কলমিলতারা লতাতে লতাতে বলে তুমি আমার নও। ৪৪ -আয়না জানে চাঁদমুখে শিশির কণার আলোক চিত্র কিভাবে আঁকতে হয়। ৪৫.-সুদূরতমা তোমার সুকেশী ষোড়শী নাতনীও কবিতা শুনে হাস্যমুখে।
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register