Wed 19 November 2025
Cluster Coding Blog

ধারাবাহিক || ভ্রমণ সিরিজ আফ্রিকার ডায়েরি - ৯ || সুব্রত সরকার

maro news
ধারাবাহিক || ভ্রমণ সিরিজ আফ্রিকার ডায়েরি - ৯ || সুব্রত সরকার

বিদায় সেরেংগেটি, গোরোংগোরোর বনপথে গেম ড্রাইভ... দিনের শেষে কারাটু...


খুব ভোরের সেরেংগেটিকে দেখব বলে আজ ঘুম থেকে উঠে পড়লাম তাড়াতাড়ি। ঘুম ভালোই হয়েছে। টেন্টের ভেতর বেশ উষ্ণতার ওম ছিল, তাই ঠান্ডায় কাবু হতে হয় নি। বিছানা ছেড়ে টেন্টের বারান্দায় এসে লম্বা চেনটা খুলে একটু সাবধানেই চারপাশ দেখে নিয়ে বাইরে বেরিয়ে এলাম। আমাকে দেখেই কতগুলো রোলার পাখি কেমন 'ধিনতা ধিতাং' ছন্দে নাচ শুরু করে দিল। আফ্রিকার জঙ্গলে এই পুচকে পাখিগুলো খুব দেখছি। ওদের পালকটা বেশ রঙিন সুন্দর। ভয় ডর কম। মানুষের কাছে চলে আসে। ছবি তুলতে চাইলে পোজও দেয়!.

সেরেংগেটির ভোরের আকাশ একদম নির্মল নীল। আদিগন্ত সাভানার প্রান্তর চোখের সামনে। দূরে পাহাড়শ্রেণী ঢেউ খেলে দাঁড়িয়ে আছে। ছোট বড় কত উপত্যকা উঁকি দিয়ে আছে চারপাশে। এই সবুজ পাহাড় ও হলুদ সাভানার প্রান্তর দেখতে খুব ভালো লাগে। এই জঙ্গলে তেমন হাই ফরেস্ট নেই। বিচ্ছিন্ন ভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে আকাশিয়া ও থ্রন ট্রি। ফলে এক অন্যরকম বন্য সৌন্দর্যে এই অরণ্য মনকে মাতাল করে দেয়। আমি সেরেংগেটিতে মজেই আছি!..

ডাইনিং হলে জুলিয়াসের সঙ্গে দেখা হয়ে গেল। সকালের চা খেতে খেতে একটু গল্প করে নিলাম জঙ্গলের। জুলিয়াসের কাছে অনেক গল্প জমা থাকে। শুনতে চাইলে উজার করে দেয়। আর আমার মত গল্প কুড়ানি পর্যটক পেলে সাবলিল ভাবে অনর্গল বলে যায়। চায়ের টেবিলে একজন বিদেশিনীর সঙ্গে আলাপ হলো, সে একাই এসেছেন অস্ট্রেলিয়া থেকে। সেরেংগেটিতে রয়েছেন আজ পাঁচদিন। আরও কয়েকদিন থাকবেন। আহা! এমন করে আমিও যদি দিন না গুনে ইচ্ছেমতন এই জঙ্গলে থাকতে পারতাম। সেরেংগেটি ছেড়ে চলে যেতে বড় কষ্ট হয়।


ঘড়ির কাঁটায় ঠিক নটা। আমরা 'গুড বাই থ্রন ট্রি, বিদায় সেরেংগেটি' বলে বেরিয়ে পড়লাম। আজ অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। যাব আরও এক বিখ্যাত জঙ্গল গোরোংগোরো ক্রেটায়। পথে পড়বে OLDUVAI GORGE. সেখানেও কিছুটা সময় থাকব। তার পর গোরোংগোরোয় গেম ড্রাইভ করে চলে যাব আজকের রাত ঠিকানার কারাটু। সেখানেই "বোগেনভেলিয়া" রিসর্টে রাত্রি বাস।

পর পর দুটো দিন-রাত সেরেংগেটির জঙ্গলে কাটিয়ে ফিরে যাচ্ছি। মন যেমন ভরে গেছে আনন্দে, তেমন বিদায়ের বিষাদ এসে একটু মনকেমনেরও জন্ম দিয়েছে। ভ্রমণে সব সময়ই এমন হয়। একটা সুন্দর স্মৃতিময় জায়গা ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় এমনটা আমার হবেই হবে!..

জুলিয়াস আজ শুরুতেই গাড়ি দেখলাম টপ গিয়ারে তুলে দিয়েছে। পথ অনেক। দেখার জিনিসও অনেক। তাই সময়ের শাসনে আজ গাড়িকে ছোটাতেই হবে। আজকের সেরা আকর্ষণ গোরোংগোরো ক্রেটা। এই গোরোংগোরোর কথা প্রথম পড়ে জেনেছি বুূদ্ধদেব গুহ র লেখায়- "গোরোংগোরো পৃথিবীর সবচেয়ে বড়ো আগ্নেয়গিরি ছিল। এই আগ্নেয়গিরি থেকে লাভা ছিটকে গড়িয়ে গিয়েছিল দিকে দিকে কত হাজার বা কোটি বছর আগে, তা একমাত্র ভৌগোলিকরাই বলতে পারেন। সেই বিরাট গহ্বর, যা আগে আগ্নেয়গিরির ভিতরে নানা ধাতু আর পাথর গলা ধোঁয়া ওঠা লাল তরল পদার্থে টগবগ করত, তা এখন ঘন সবুজ ঘাসে ঘাসে ছেয়ে গেছে। গহ্বরের মধ্যেই উঁচু-নিচু জমি, নদী- হ্রদ, গাছ- গাছালি এবং কত যে জানোয়ার এবং পাখি, তা কী বলব।" 


Ngorongoro Conservation Area- বর্তমানে UNESCO mixed World Heritage Site. গোরোংগোরোর মুকুটে এই পালক ইউনেস্কো জুড়ে দেয় ১৯৭৯ সালে। আর আফ্রিকা মহাদেশের সপ্তম আশ্চর্যের নাম হলো - গোরোংগোরো ক্রেটা!..

সেরেংগেটির সীমানা ছাড়িয়ে আমরা Nabbi Hill Gate দিয়ে বেরিয়ে যাব। জুলিয়াস সে পথেই ছুটছে। কিন্তু পথে হঠাৎ থামতেই হলো- আমাদের আগে আরও কয়েকটা গাড়ি থমকে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছে। একদম পথের ধারেই সকালের মিষ্টি রোদ্দুরে কেমন আয়েশ করে হলুদ ঘাসের বনে এই জঙ্গলের রাজারা ঘুমিয়ে আছে। একটা নয় তিনটে বিশাল সাইজের সিংহকে দেখে আরও একবার মুগ্ধ হলাম। আহা কি অসাধারণ দৃশ্য! মন ক্যামেরায় ধরা রয়ে গেল, সারা জীবন এর থেকে সুদ নিয়ে স্মৃতির সাগরে ভাসব! বিদায়ক্ষণেও সেরেংগেটি আমার সব আশা পূর্ণ করে দিল! সার্থক হয়েছে সেরেংগেটি আসা। 

আবার যাত্রা শুরু করলাম। ধূ ধূ পথ। এবার চোখে পড়ল আকাশে অনেক বেলুন উড়ছে। এই বেলুন রাইডের অভিজ্ঞতা আমার মিশর ভ্রমণে হয়েছে। সেরেংগেটির জঙ্গলে বছরের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় বেলুন সাফারি হয়। Central Serengeti (Year round), Ndutu ( December to March), Western Serengeti ( year round), North Serengeti ( June to November), Tarangire ( May to March), Ruaha ( June to December) 

নবি হিল গেটে কাগজপত্র চেকিং এর জন্য গাড়ি একটু থামল। আমরা নেমে সামান্য পায়চারি করে চারপাশটা একটু দেখেও নিলাম। সামনেই ছিল এক সুভেনির শপ্। সেখানেও গেলাম। একটু উইন্ডো শপিং করে নিলাম!..


নবি হিল গেট থেকে Ngorongoro crater দূরত্ব কম বেশি চল্লিশ কিমি। এর মাঝে পড়বে OLDUVAI GORGE. 

নবি হিল পার করে কিছুটা এসেই পেলাম সেরেংগেটির এপাশ থেকে ঢোকার গেট। গেটের কাছে অনেকেই নেমে ছবি তুলছে। সুন্দর জায়গাটা। আমরাও নেমে ছবি তুললাম। একটু তারিয়ে তারিয়ে চারপাশটা দেখলাম। মাসাই শিশুরা রঙিন পুঁতির গয়না বিক্রি করছিল। দৌড়ে এসে ঘিরে ধরল- "জাম্বো। জাম্বো। কারিবু" বলে। লাল নীল হলুদ সবুজ পুঁতির হরেক গয়না মাসাই ছেলে মেয়েরা সবাই খুব পড়ে। পর্যটকদেরও পড়াতে চায়। দাম চায় অনেক, দরাদরি করে কিনতে না পারলেই ঠকতে হবে!..

এই সব মাসাই শিশু বিক্রেতাদের দেখে নিজের দেশের পথ শিশুদের কথা মনে পড়ছিল। প্রায় একইরকম হত দরিদ্র চেহারা। মলিন পোষাক, উসকো খুশকো চুল! অশিক্ষা ও অপুষ্টি দুটোই ওদের সর্বাঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। এসব দৃশ্য দেখলে ভ্রমণের এত আনন্দের মধ্যেও মন কেমন বিচলিত হয়ে যায়!.মনে মনে নিজেকেই প্রশ্ন করি, আমরা কেন পারলাম না এই সব শিশুদের সুরক্ষা দিতে!..একটা নাগরিক জীবন হেসে গেয়ে শুধুই কাটিয়ে গেলাম!..নিজেদের সব অধিকার ও দাবী দাওয়া নিয়ে সোচ্চার হলাম, অথচ এমন সব শিশুদের জন্য পারলাম না কিছু করতে!...


দেখতে দেখতে এবার পৌঁছে গেলাম Ngorongoro Lengai Unesco Global Geopark. এই জায়গাটা নৃতাত্ত্বিক খননকার্যের মিউজিয়ামের জন্য বিখ্যাত। ভালো করে ঘুরে দেখতে হলে যথেষ্ট সময় দরকার। আমরা সময়ের অভাবে এই জিও পার্কের দেওয়াল জুড়ে সাজানো সুপ্রাচীন মানব সভ্যতার কিছু ইতিহাস ও বিস্ময়কর ছবি দেখে নিলাম। পার্কের বাইরে একটা বড় বেদির ওপর মানুষের দুই মুখমন্ডলের ভাস্কর্য রয়েছে। এসব চটজলদি দেখে নিয়ে ছুটতে শুরু করলাম গোরোংগোরো ক্রেটার দিকে।

Olduvai Geo Park থেকে Ngorongoro crater ২৩ কিমি। জুলিয়াস আবার গাড়ি টপ গিয়ারে রেখে ছোটাতে শুরু করল। এ পথ পিচ সড়ক নয়। তাই ধুলো উড়তে শুরু করেছে। পথের ধারে মাঝে মাঝে মাসাই ভিলেজ পড়ছে। মাসাই রাখালদের দেখছি গরু, ছাগল চরাচ্ছে। ওদের গায়ে সেই চির পরিচিত লাল কালো ডুরে চাদর ও হাতে ছিপছিপে একটা লাঠি। চোখে পড়ল পথের ধারের আকাশিয়া গাছের ছায়ায় মাসাই রমণীরা নিজেদের ঘরে তৈরী মধু বিক্রি করছে। মৌমাছির মধু। ইচ্ছে থাকলেও গাড়ি দাঁড় করিয়ে সেই মধু চেখে দেখার আর সুযোগ হয় নি। 

গোরোংগোরো ক্রেটায় টিকিট কেটে প্রবেশ করলাম। প্রথম দর্শনে এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা হলো। পাহাড়ের ওপর থেকে আমাদের গাড়ি গড়িয়ে গড়িয়ে নিচে নামতে শুরু করল। যত নামছি তত যেন এক গোল ঢালু জায়গায় ঢুকে পড়ছি। বৃত্তাকার কড়াইয়ের মত জায়গাটা। এটাই ক্রেটার বৈশিষ্ট্য। এই বৃত্তাকার গ্রাস ল্যান্ডে রয়েছে অনেক অনেক বন্যপ্রাণীরা। চারপাশ পাহাড় দিয়ে ঘেরা। মাঝখানে গ্রাস ল্যান্ড, জলাশয়, নীল হ্রদ ও হলুদ সাভানা। মাসাইমারা, সেরেংগেটির থেকে অনেকটাই আলাদা মনে হলো গোরোংগোরো। এর একটা যেন সীমানা আছে। আর মনে হলো অনেক কিছুই খুব গুছিয়ে করা রয়েছে। একদম বন্য বন্য অরণ্য ঠিক নয়।

গোরোংগোরো ক্রেটায়ও গেম ড্রাইভ করতে করতে অনেকবার অনেক বন্যপ্রাণকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে। নাইল কুমীর, জিরাফ ও ইমপালাদের এই ক্রেটায় দেখা যায় না। তার কারণ এর ভৌগোলিক অবস্থান। 

হাতি দেখেছি খুব সামনে থেকে কয়েকবার। জেব্রা ও জেব্রার দল অনেকবার চোখে পড়েছে। খুব দূর থেকে রাইনো দেখেছি দুটো। কেপ বাফেলো অনেক আছে। অস্ট্রিচ চোখে পড়েছে। বেবুন, ডিকডিক, হায়না খুব ঘুরে বেড়ায়। গেম ড্রাইভে ঘুরে ঘুরে এসব বন্যপ্রাণ দেখে দেখে চোখ ও মন কেমন অভ্যস্ত হয়ে গেছিল। তাই সেই আগের মত উত্তেজনা, উৎসাহ আর অনুভব করছিলাম না। মাসাইমারা, সেরেংগেটিতে তো এদেরই বারবার দেখেছি। দু'চোখ ভরে দেখে এসেছি। তাই পর পর গেম ড্রাইভের মধ্যে এই একটা একঘেয়েমি কখনো কখনো মনে হয়। যাঁরা ছবি শিকারী তাঁদের হয়তো হবে না। বা যাঁরা শুধুই বন্যপ্রাণ দেখতে ভালোবাসেন, তাঁদের নিশ্চয়ই ভালো লাগবে। আমি আসলে জঙ্গলপ্রেমী। জঙ্গলকে দেখতেই বেশী ভালোবাসি। সেদিক থেকে এসব ধূ ধূ গ্রাস ল্যান্ডের একটা সীমাবদ্ধতা থেকেই যায়। হাই ফরেস্ট দেখার মধ্যে কোথায় যেন একটা অন্যরকম বৈচিত্র্য খেলা করে। রূপ- অরূপের মজা উপলব্ধি করা যায়। তাই হাই ফরেস্টে জঙ্গল সাফারিগুলো হয় দেখা না দেখার মিশেলে রহস্যময় । কিন্তু এই গ্রাস ল্যান্ডের গেম ড্রাইভে বন্যপ্রাণ চোখে ধরা দেবেই। আর ওরা রয়েছেও অনেক। যাই হোক সব মিলিয়ে গোরোংগোরো ক্রেটার গেম ড্রাইভও উপভোগ্য।

গোরোংগোরোর মধ্যে যে জলাশয় রয়েছে সেখানে ঝাঁক ঝাঁক পেলিক্যান দেখেছি। আমরা জুন মাসে এসেছি বলে ফ্লেমিংগোর দেখা পাই নি। ওরা মাইগ্রেট করে আসতে শুরু করবে জুলাই এর শেষ থেকে।


ক্রেটার মধ্যে নীল জলের অপূর্ব এক হ্রদ রয়েছে - স্প্রিং লেক। এই লেকের জলে জলহস্তির দল ডুব দিয়ে লুকিয়ে থাকে। মাঝে মাঝে ওরা উঁকি দেয়।

গোরোংগোরোর সমতলে অনেকটা সময় ভালো করে ঘুরে দিন শেষে আমরা চললাম পাহাড়ের চূড়ায় - ভিউ পয়েন্ট এর কাছে। গাড়ি পাহাড়ি পাকদন্ডীতে চক্কর মারতে মারতে উঠে গেল। আহা! বড় অপূর্ব এই জায়গাটা। এখানে দাঁড়িয়ে গোরোংগোরোর চারপাশকে পাখির চোখে দেখার একটা আলাদা আনন্দ পাওয়া যায়। সমতল থেকে এই ভিউ পয়েন্টের উচ্চতা ২২০০ মিটার। এখানে দাঁড়িয়ে দূরের পাহাড়- নদী- জঙ্গল- উপত্যকা-জনপদ-শহরকে দেখে মন ভরে গেছে। তার পর ধীরে ধীরে নামতে শুরু করলাম। বেলা শেষ হয়ে এসেছে। আজ সকাল থেকে অনেক পথ পাড়ি দিয়ে গোরোংগোরোয় এসেছি। গেম ড্রাইভ করেছি। পাহাড়চূড়ায় এসে সুন্দর এক ভিউ পয়েন্ট দেখলাম। সব মিলিয়ে সফল একটা দিনের ভ্রমণ আজ হলো।

এবার বেশ ক্লান্ত লাগছে। জুলিয়াসের চোখে মুখেও সেই ক্লান্তির ছাপ। সেই সকাল থেকে ড্রাইভ করছে। গড়াতে গড়াতে গাড়ি এসে থামল বেরিয়ে যাওয়ার গেটে। এখানে একবার কাগজপত্র চেকিং হলো। গাড়িতে বসেই দেখলাম মস্ত বড় গেটটার মাথায় লেখা - "Asante Kwa Kutembelea Hif Adhiya Ngorongoro " সোয়াহিলি এই কথাটার অর্থ হলো - Thank you for visiting and welcome again"!..

আমরাও মনে মনে বললাম, "গুড বাই গোরোংগোরো!.."

পৃথিবী বিখ্যাত তিন তিনটে জঙ্গলে গেম ড্রাইভ করা হলো আমাদের। মাসাইমারা। সেরেংগেটি। গোরোংগোরো। বাকি রইল আরও দুটো জঙ্গল। অ্যাম্বোসেলি ন্যাশনাল পার্ক ও নাকুরু ন্যাশনাল পার্ক । এ দুটো জঙ্গলই কেনিয়ায়।

এবার ফিরে যাওয়া কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে। তার পর যাওয়া হবে অ্যাম্বোসেলি, নাকুরু। আপাতত আজকের রাত কাটবে তানজানিয়ার এক ছোট্ট সুন্দর শহর কারাটুতে। গোরোংগোরো থেকে কারাটু পথ বেশি নয়। রাস্তা চমৎকার। জুলিয়াস গাড়ির গিয়ার চেঞ্জ করতে করতে গুন গুনিয়ে উঠল - ওর কন্ঠে আফ্রিকার জনপ্রিয় লোকগান - "Zimbole Zimbole Zimbole Zimbole hei... Mi mi mi Re re re Do do do.. Zimbole Zimbole.."

গানটা শুনতে শুনতে সারাদিনের ক্লান্তি কোথায় যেন উড়ে গেল!..

কারাটু শহরে প্রায় চলে এসেছি!... 

ক্রমশ...

Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register