Thu 18 September 2025
Cluster Coding Blog

কবিতায় জবা ভট্টাচার্য

maro news
কবিতায় জবা ভট্টাচার্য

এলোমেলো কথামালা

পর্বত শিখর থেকে নেমে আসে পাইনের প্রগাঢ় ছায়া মেখে চঞ্চলা পাহাড়ী খরস্রোতা, নবীন যৌবনময়। নুড়ি পাথরে জলের আঘাতে জলতরঙ্গের ধ্বনি। কি যে তার নাম কে জানে! ছলছলিয়ে ছুটছে আর ছুটছে। আকাশ ছোঁয়া হীরে মোতির চুমকি বসানো শাড়িতে তার ছাইরঙা দেহে রূপের ঢল। জল তরঙ্গ বুদ্বুদ, নদীর মোহিনী মায়া , মহাবেগে কোন নাড়ির টানে আমায় টানে--- নিরিবিলিতে নদীর কোল ছুঁয়ে একটু বসি। অবশ কষ্টগুলো ভাসিয়ে দিই ঢেউজলে। কে যেন আমার ভেতর থেকে ডেকে বলে, বেলা যে পড়ে এলো,এবার শ্মশান শূন্যতা বুকে জড়িয়ে নে।তোকে আর কুঞ্জদ্বারে ডাকবে না বনমল্লিকা, কৃষ্ণাসখী নাম বৃথাই বয়ে বেড়াস।মমতার রুদ্ধদ্বারে অভিমান কড়া নেড়ে ডাকবে না আর--- "ওই"। রাত ভোর হতে এখনও কিছু বাকি--- নিংড়ানো সময় বাঁচিয়ে চেয়ে আছি ভোরের দিকেই-- ভোরের আলোয় কি রহস্যের অর্গল খুলে যায়! জীবনের মনোহারী মিথ্যেগুলো কি সত্যি হয়ে যায়! একদিন তো তোমার সাঁকো আমারও ছিল--- আজ কতদূর সব---- এলোমেলো।

একাকী কুয়াশা মাঝে শ্রাবণের শেষ গান কোমল ধৈবতের সিঁড়ি বেয়ে নেমে যায় শ্যাওলাগন্ধী টানে মায়াহীন অশ্রুজলে কবে জোনাকি প্রহর উৎসবে পাগলামি লেগে থাকে মেধাবী জামার আস্তিনে। আমি জানি বাঁক ফেরা বাঁকে নদীজল ডেকেছে আমাকে বেদনার মতো কাছে পাওয়া এ পরবাসী হৃদয় ছেড়ে আমার হলোনা ফিরে যাওয়া।

Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register