বাঙালির সাহিত্য-ঠেক
পর্ব – ১৯৮ খুব অভিমান করেই এতদিনের চেনা আস্তানাটা ছেড়ে বেরিয়ে পড়ল শ্যামলী। বাবাকে চাপ দিয়ে জামাইবাবু দলিলে সই করিয়ে নিয়েছে। এই চাপ দেবার চেষ্টাটা আগে থেকেই চলছিল। রক্ত সম্পর্ক জিনিসটা একটা কুসংস্কারের মতো।...
ওরা তিনজন ওরা তিনজন ফ্ল্যাটবাড়ীর সিড়ি ছাদ সামনের খালি জায়গাটুকু পরিস্কার করে। আজকাল প্রতিদিন আসেনা। সপ্তাহে চারদিন আসে। তারা, আমেনা, ইয়াসমিন ও খোদেজা । তবে এরা বেশ ভাল আছে । এরা মাসের বেতনও পাচ্ছে...
আয়ুষ্মান ভব কলকাতা থেকে দূরে আমোদপুর নামে এক ছোট্ট গ্রামে সুহাসিনী দেবী একাই থাকেন । প্রায় ৭০ বছর পুরোনো একটা দোতলা বাড়ি । সেই বাড়ির একতলায় দুটো ঘর । একটি ঘরে আসবাব পত্র বলতে...
আজ শ্রাবণের আমন্ত্রণে সব ঢেকে দেয় বৃষ্টিকণা গুলি দুপুর হলেও রাত্রি নেমে আসে এখনো সেই তেমন করে রোজ বসে থাকিস জানালার পাশটি তে বৃষ্টি হলে ঘুমোতে যাস আজও শব্দে নাকি ঘুম আসে তোর ভারী...
চিঠি আমি প্রতিদিন কবিতার ফুল ফোটাবো, প্রতিরাতের কান্নার শিশিরে ভেজা সেই কবিতার ফুল পাঠিয়ে দেবো তোমাকে, ভোরের শুভেচ্ছার মতো! এই ফুল ছুঁয়ে যাবে তোমার জ্বরতপ্ত কপাল, তোমার এলোমেলো চুলে হাত বুলিয়ে আমার কবিতা তোমার...
স্কয়ার ফুটে ফুলটস হিসাব আগে না অঙ্ক যেটাই পরে বসান সিদ্ধান্ত একটা আসবেই গীটারের তার যতক্ষণ খুচরো মেলার আয়োজন তেমন ইলেকট্রিক সম্পর্ক হাতি মরলেও খুশি ব্যান্ড বাজিয়ে পুরুত অভিষেক, সিস্টেম ওই কুঁড়ি তলা বিল্ডিংয়ে...
এলুমিনিয়ামের থালায় প্রাচ্যের অক্সফোর্ড… যাবৎকালের সময়ের চরিত্রে আজ ভয়ংকরী প্রলোভন প্রলয় প্রলেপ.. ; ‘জাগো বাহে’ বলে একদিন যে জীবন ভোরের আলোয় ফুল হয়ে ফুটতো, আজ তার ঘাসের ডগায় বিশ্ব রাজাদের নপুংসক অহমিকা…..! একান্ত কৌমার্যের...
ত্রিভুজ জল পেরিয়ে ঢেউ ঢেউ পেরিয়ে মন সমুদ্র স্নানে যাই আসি ঘুরে ফিরে পা টলতে গিয়ে গভীরে সখাত সলিলে আমার পৃথিবী গ্রাস করে খায় ধানটুকু খেলা অবেলা সারাবেলা থৈ থৈ জল চৈ চৈ মন,...
পর্ব – ১৯৭ শ্যামলী বলল, বাবা, তোমার নিজের রক্ত জল করা পয়সায় তৈরি এই বাড়ি আর তোমার একার মেহনতে তৈরি কারখানা তুমি যাকে ইচ্ছা দান করতেই পারো। কিন্তু নির্ব্যূঢ় স্বত্বে একবার দান করলে সেখানে...
বৃষ্টি তখন বৃষ্টি হচ্ছে মুষলধারে, চোখের সামনে প্রায় সবটুকুই ঝাপসা। নন্দিনী নন্দন থেকে বাসে উঠেছে আজ, কোন কিছু তেই মন বসছিল না বলে চট করে অ্যাকাডেমি তে নাটক দেখে মন ভালো করতে চেয়েছিল মেয়েটা...
কপি করার অনুমতি নেই।
