ধারাবাহিক ভ্রমণ সিরিজে শতদ্রু ঋক সেন – ৬৫

ফেরা

জয় যমুনা মাঈ কি জয়।
সকাল সাতটার মধ্যে বেরোনো। আজ সারাদিন ছোটাছুটি। প্রথমে ভায়া হনুমান চটি হয়ে জানকী চটি। সেখান থেকে চড়াই বেয়ে সাত কিমি গেলে যমুনা মায়ের মন্দির। ঐখানে পুজো দিয়ে, আবার জানকী চটি ফিরে আসা। সেখান থেকে ফিরে বারকোটে আবার রাত্রিবাস।
গরম গরম লুচি তরকারি দিয়ে জমজমাট ব্রেকফাস্ট সেরে বাসে উঠলাম। একটু বেশি করে সবাইকে ব্রেকফাস্ট করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। কারণ এরপর খাওয়া প্রায় সেই দুপুর নাগাদ, যমুনোত্রী থেকে জানকী চটি ফিরে। তবে কেউ চাইলে যমুনোত্রীতে নিজের পয়সায় খেতেই পারে, ট্র্যাভেল দায়ী নয়। যাইহোক, বাস ছাড়লো। গন্তব্য ৪৫ কিমি দূরের জানকী চটি।

বনের মধ্যে দিয়ে রাস্তা। ঘুরে ঘুরে উঠেছে। প্রাচীন সব গাছের কান্ড কুয়াশায় ঢেকে আছে। এক মনে তাকিয়ে থাকতে থাকতে মোহিত হয়ে গেছিলাম, চটক ভাঙলো, হনুমান চটি পার করে। জঘন্য রাস্তা। কয়েক বছর আগেও ট্রেকিং রুট ছিলো। এখান থেকেই সবাই হেঁটে যেতেন যমুনা মায়ের দর্শন করতে। এখন আরো এগিয়ে রাস্তা, জানকী চটি তে গিয়ে শেষ হয়েছে। ওখান থেকে আপ ডাউন ১৪ কিমি।
ঝাঁকুনি খেয়ে শরীরের ব্যথা বাড়িয়ে বেলা দশটা নাগাদ জানকী চটি। নেমে চা খেয়ে সবাই একটু হাত পা ছাড়িয়ে নিয়েছে। ততক্ষণে আমাদের ঘিরে নিয়েছে ঘোড়া আর ডান্ডি ওয়ালারা। দলের অধিকাংশ সবাই যে যার মতো বেছে নিলো। আমি আর দিদি আগের দিনের কথা মতোই হেঁটে উঠতে গেছিলাম, কিন্তু একটু চড়াই ভেঙেই বুঝলাম সম্ভব নয়। শরীর জবাব দিচ্ছে। দিদিকে ডান্ডি তে তুলে নিজে ঘোড়ার পিঠে চড়লাম। এগিয়ে যেতে লাগলাম মায়ের উদ্দেশ্যে।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।