ধারাবাহিক ভ্রমণ সিরিজে শতদ্রু ঋক সেন – ৭৮

ফেরা

 

সংঘে ঢোকার সাথে সাথে হাসিমুখে অভ্যর্থনা জানালেন প্রধান মহারাজ। ওনার সাথে আগেই পরিচয় ছিলো, আগের বার উখিমঠের সংঘাধিপতি ছিলেন উনি। ওনাকে এখানে দেখে খুব ভালো লাগলো, সন্ধ্যায় ওনার সাথে জমিয়ে আড্ডা মারা যাবে। নিজের ঘরে ঢুকে হাত মুখ ধুয়ে ক্যান্টিনে গিয়ে গরম ভাত ডাল তরকারি খেয়ে এলাম। এরপর কম্বলের নীচে ঢুকতেই চোখ জড়িয়ে এলো ঘুম। অঘোরে ঘুমিয়ে পড়লাম।
টানা ঘন্টা তিনেক সলিড ঘুম দেবার পর উঠে দেখি তখনও আকাশের মেঘ কাটেনি। তবে বৃষ্টি বন্ধ হয়েছে। ধড়াচূড়ো পড়ে নিয়ে বের হলাম সংঘ থেকে। জানি এখনও মন্দির খোলেনি। একটি ঝুপড়িতে সবে দাঁড়িয়ে চা খাবো, হঠাৎ কানে এলো এক কন্ঠস্বর।
বেটা থোড়া চায় পিলাওগে??
পাশ ফিরে তাকাই। এক অশীতিপর সাধুবাবা। আলখাল্লার উপর ভুসো কম্বল জড়ানো। মুখে মিটিমিটি হাসি। ওনাকে চা কিনে দি। গল্প করি খানিক। পূর্বাশ্রমের সব স্মৃতি উনি ভুলেছেন,এখন দেবতার আশ্রয়ে আছেন। যব উনকা বুলাওয়া আয়েগা, চলা যাউঙ্গা উনকে পাস। তুম আচ্ছেসে রহেনা বেটা। আশীর্বাদ করে উনি চলে যান মন্দিরের দিকে। আমি মন্দিরের পিছনের দিকে আসি। ওখানে আদি শংকরাচার্যের সমাধি। একদল মহারাষ্ট্র থেকে আগত তীর্থযাত্রী এসে ভিড় করেছেন সেখানে। পায়ে পায়ে তাঁদের দিকে এগিয়ে যাই।

Spread the love

You may also like...

error: Content is protected !!