সাপ্তাহিক ধারাবাহিক উপন্যাসে শুদ্ধেন্দু চক্রবর্তী (পর্ব – ১২)

ক্ষণিক বসন্ত

মুলতান

গানটা বেজেই চলেছে। একই শব্দ বারবার ঘুরে ঘুরে বেজে চলেছে। ‘মাই বেল রঅ্যাঙ দিস মর্নিং। ডিড্নট নো হুইচ ওয়ে টু গো”। মা রেনি গেয়ে চলেছেন মাদকের মতো। মুলতান ইয়ারফোন কানে রেখেই বিভাস রাউতের নিথর দেহটার দিকে এগিয়ে গেল। লোকটা একবার ঘুরে দাঁড়িয়ে তার সার্ভিস পিস্তলটা বের করতে চেয়েছিল। পারেনি। মুলতানের কান ব্লুজে নিমগ্ন থাকলেও তার ট্রিগারের টিপ অব্যর্থ। সে লক্ষ্যচ্যূত হয় না সচরাচর। তবু মাথার হুডটা সরিয়ে বডির কাছে শেষে নাকের সামনে আঙুল রেখে দেখল সে। নাহ। কোনও শ্বাসপ্রশ্বাস নেই সেখানে। মরে গেছে। কানের ভিতর বাজছে। “আই হ্যাড মাই ব্লুজ সো ব্যাড। স্যাট ডাউন অন মাই ফ্লোর।” ঘটনাস্থল থেকে বাইক নিয়ে বেরিয়ে এসেই পূরবীকে ফোন লাগাল মুলতান।
-তিনচার দিন আণ্ডারগ্রাউণ্ড থাকো। ঘর থেকে বের হবে না। আমি টাকা পাঠিয়ে দিচ্ছি।

ওপার থেকে ‘ওকে’ শুনে ফোন কেটে আবার গানে ফিরে গেল সে। ঘুরে ঘুরে আসছে সেই লাইন। “ডিড্নন্ট নো হুইচ ওয়ে টু গো”। কোথায় যাবে এখন মুলতান! ভাবতে ভাবতেই সে নিশুতি রাতে নিঃশব্দে বিটি রোড ধরে উত্তরের দিকে এগিয়ে চলল।

ব্যারাকপুরের এই ডান্সবারটা আপাতত মুলতানই চালায়। অবশ্য মুলতান একা নয়। সে শুধু নেতৃত্ব দেয়। তার সাগরেদ আছে। সবচেয়ে বিখ্যাত সাগরেদকে তার ডানহাতের থেকেও বেশি ভরসা করে সে। তার নাম দরবার হোসেইন। দরবার আর মুলতান এক বস্তি থেকেই উঠে এসেছিল। এই বারেই একসময় গান করত মুলতানের আম্মি। তার কাছেই প্রথম সে মা রেইনির গান শোনে। তখন তার কতোই বা বয়স। মেরেকেটে ছয় কি সাত । আম্মি তাকে গানের কথার মানে করে বোঝাত। ‘হিয়ার মি টকিং টু মি’। আমাকে আমার সঙ্গে কথা বলতে শোনো। মুলতান আজও জানে না তার আব্বা কে। আম্মির বেশ কয়েকজন পাগল ফ্যান ছিল। একজন কম বয়সের উঠতি গায়ক তো রীতিমতো পড়েই থাকত মায়ের কাছে। তার নামটাও অদ্ভুত। আহির আশিক।সে এলে আম্মি আর আশিক ডুয়েট গাইত বারে। তবে সে ছাড়াও প্রেমিকের সংখ্যা কম ছিল না তার। একটু বড় হলে কাস্টোমারকে নিয়ে মা রুমে গেলে মুলতানের কাজ হতো দরজা পাহারা দেওয়া। এভাবেই চলছিল। তারপর একদিন তার আম্মি তাসনিফা বানুকে দেখে ফেলল এক পুলিশ অফিসার।তার নাম রঘুপ্রিয় ওঝা। রঘুপ্রিয়র ছিল পঞ্চ ‘ম’এর নেশা। আর তাসনিফার ছিল অসহায়তা।প্রথম প্রথম সে ছুকছুক করত। তাসনিফা পাত্তা দিত না। এই বার থেকেই তারপর একদিন সেই পুলিশ অফিসার রেইড করার নাম করে থানায় তুলে নিয়ে গিয়েছিল।তখন মুলতানের বয়স দশ। তারপর আর তার আম্মির সঙ্গে দেখা হয়নি। দরবার তার সমবয়সীই। তার মাও এই বারেই কাজ করত।একদিন কেউ বা কারা তাকে ব্যারাকপুর রেললাইনে মেরে শুইয়ে দিয়ে আসে। তারও বাবা কে কেউ জানে না। তাই বেশ মিল দুইজনের। এই কারণেই যখন তারা দু জন বড় হল, তাদের প্রথম লক্ষ্য ছিল এই বার কবজা করা। বস্তির সরু গলি পথে পড়ে থাকা আবর্জনা দেখতে দেখতে দুজন বাগী হয়ে উঠেছিল। বারের মালিক পবন চৌধুরী একসময় এই এলাকার জনপ্রতিনিধি ছিল।সেই ক্ষমতা আর ক্ষুরধার বুদ্ধিমত্তা দেখিয়ে একদিন সে এই বার দখল করেছিল।সরকারী সংশোধনাগারে জমা থাকা মেয়েদের তুলে এনে ভাড়া খাটাত প্রথম প্রথম। তারপর বারের পসার হল। মুলতানের আম্মির মতো গরীব বস্তির মেয়েরাও পেটের দায়ে তার ব্যবসায় যোগ দিল। ক্রমশ তার বিছানা ভরে উঠল টাকা,প্রতিপত্তি আর সন্ত্রাসে। এলাকার ডন হয়ে উঠল সে।কিন্তু বয়স বাড়বার সাথে সাথে তার মস্তিষ্কের ধারও কমে আসছিল।সঙ্গে দোসর হয়ে উঠছিল পারিবারিক অশান্তি।পবনের মেয়ের চরিত্রর দোষ।সেই নিয়ে তার স্ত্রীর সঙ্গে বিস্তর মনোমালিন্য। সেই সুযোগে একদিন মুলতান আর দরবার টাকা খাইয়ে তার আশপাশ হাত করে ফেলল। তারপর কল্যাণী এক্সপ্রেস হাইওয়েতে ডাম্পার দিয়ে স্পট করিয়ে দিল। ঘটনার প্রতিক্রিয়া এতোটাই ভয়াবহ ছিল যে পবনের দেহটাই ঠিকমতো চেনা গেল না তালগোল পাকানো গাড়ির ভেতর।
পথের কাঁটা সরিয়ে মুলতান এইবার বার ও পাশাপাশি নানান পাচারচক্রর নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নিয়ে নিল। তার একদিন সদলবলে ব্যারাকপুর থানায় চড়াও হল। রঘুপ্রিয় ওঝা কিন্তু মুলতানকে প্রথম প্রথম তার আম্মির কথা কিছুই বলল না। তুলে এনে নিজস্ব গোপন ডেরায় রঘুপ্রিয়কে বেদম কেলালো মুলতান। থানায় রঘুপ্রিয়র ওপর অনেকেই অসন্তুষ্ট ছিল। রঘুপ্রিয় ঘুষের শেয়ার সকলকে ঠিকঠাক দিত না। ফলত থানাকে ম্যানেজ করা কঠিন হলো না। পুলিশ কাগজ অর্ডার টালবাহানা করে রঘুপ্রিয়র রেসক্যিউ অপারেশন থিতিয়ে দিয়েছিল। সেইদিনটার কথা মুলতানের আজও স্পষ্ট মনে আছে। চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে আছে রঘুপ্রিয়। মুখচোখ রক্তাক্ত। মুলতান তার কলার ধরে চিল্লিয়ে যাচ্ছে।
-বল আমার আম্মি কোথায়?বল হারামি।
রঘুপ্রিয় হাসছিল। তার কেটে যাওয়া ঠোঁটের ভিতর রক্ত মাখা ওপড়ানো দাঁতগুলো যেন ঝড়ের পর উখড়ে পড়ে থাকা খেতের ফসল।
-বল। বল। ইবলিশের বাচ্চা।
ঠিক মরার আগে অবশ্য রঘুপ্রিয় বলেছিল। তাসনিফা বানুকে থানায় তুলে এনে সারা রাত হাজতে ধর্ষণ করেছিল সে। অবশ্য সে একা নয়। সেইদিন ডিউটিতে যারা যারা ছিল, সবাই একে একে সুযোগ পেয়েছিল। সারারাত এমনটি চলার পর রঘুপ্রিয় পুলিশ খাতায় তসনিফাকে নিখোঁজ দেখিয়ে দেয়। তারপর তাকে গলায় তার পেঁচিয়ে খুন করে রেললাইনে কেটে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে মর্গে চালান করে দেয়। আজও পুলিশের খাতায় মুলতানের আম্মি তসনিফা বানু শুধুই একটি হঠাৎ নিখোঁজ হওয়া বেওয়াড়িশ লাশ।
রঘুপ্রিয়কে তুলোর গোডাউনেই মাটিতে পুঁতে দেবার পরেও মুলতান সেইদিন অনুভব করছিল তার ভিতরের আগুনটা নিভছে না কিছুতেই। বরং কুড়েকুড়ে তাকে খাচ্ছে যেন।পুলিশের ওপর তার ভয়ানক ক্রোধ গোপন থাকছে না। অথচ এই বিজনেসে পুলিশকে চটালে লাইনে টিকে থাকা খুব কঠিন। তাই সেইদিন থেকে মুলতান অপারেশনের সময় মাথা ঠাণ্ডা রাখতে কানে মা রেইনির ‘ব্লুজ’ শোনে। এই গান তাকে শান্ত করে।মায়ের সান্নিধ্য এনে দেয়। আজ অনেকদিন পর বিভাস রাউতকে খুন করার সময় তার সেই রঘুপ্রিয়র স্মৃতি ফিরে এল যেন। এই পুলিশ অফিসারটা হোনহার ছিল। না আটকালে তার ধান্দা লাটে উঠত। কিন্তু ওই ছোকরিটার কী হল একবার জানা দরকার। ভাবতে ভাবতেই দরবারের সঙ্গে দেখা হয়ে গেল তার।
-ভাই। কী ভাবতাস?
-ভাবসি আমাদের কথা। বস্তিতে আবর্জনা কুড়োতাম। আর আজ বিএমডব্লিউ মার্সিডিজ বাড়ির নীচে আবর্জনা হয়ে পড়ে আছে।
-সব আল্লার মেহেরবানি।
-তোর ইচ্ছা করে না?
-কী?
-এই আমি যেমন পবনকে সরিয়ে এইসবের রাজা হলাম, তুইও হবি। ইচ্ছা করে না?
-তুমি আমার ভাইজান মুলতানভাই। তুমি থাকলে আমিও থাকব ভাই।
-বোলতিছিস ঠিক?
-বলসি তো।
-বেশ। ঝুমরোকোঠিতে ফোন লাগা তাহলে। মেয়েটার কীই হল। জানা দরকার।
-ওকে বস।

দিন কেটে যায়। ঝুমরোকোঠি থেকে খবর আসে না কোনও। বার থেকে মুম্বাই চালান করা মেয়েপিছু ভালো টাকা দিত মিশ্রাজি। এদিকে পূরবীর ফোনটাও স্যুইচ অফ। দু দিন তার বাড়ি ঘুরে এসেছে মুলতানের লোক। সেখানে তার বুড়ি মা জানিয়েছে, মেয়ে বেশ কিছুদিন হলো আর বাড়ি ফেরে না। অন্য কোথাও থাকে। কোথায় থাকে। নজরদারি করতে হবে। দু তিনটে ছেলে চব্বিশ ঘন্টা খবর রাখতে থাকে পূরবীর বাড়ি। ঠিক সেই সময় মুলতানকে খবর দেয় দরবার।
-ভাই। আপনার জন্য এখন এইখান সেফ না।
-কেন? কী হয়েছে?
-ওই ঘোলার থানার অফিসার খুন হয়ে যাবার পর থেকে পুলিশ চিনে জোঁকের মতো আমাদের পিছনে পড়ে আছে।
-হুম। ঝুমরোকোঠির খবর এল?
-মিশ্রাজি ফোন তুলছে না ভাইজান। জরুর কোনও গড়বড় হয়েছে ওখানে।
-একবার যাওয়া দরকার।
-হুম। মুম্বাই গেলে আপনার ভালোই হবে ভাইজান। কিছুদিন এই বার থেকে পুলিশের নজরটাও সরবে।
-ওই সিঁথির মোড়ের মাগীটা ফোন ধরলে জানাবি আমাকে।
-জরুর ভাইজান।
‘ডোন্ট নো হোয়্যার টু গো’।কোথায় যাবে এখন মুলতান। রেললাইন ধরে আর কতো দৌড়োবে? অথচ চোখ বন্ধ করলেই সে দেখতে পায়। অন্ধকারে ইবলিশের চোখের মতো দুটো চোখ তাকে তাড়া করছে। সে হাঁফাচ্ছে। আর দৌড়োচ্ছে। দৌড়োচ্ছে আর হাঁফাচ্ছে। আবার দৌড়োচ্ছে। চিৎকার করছে মুলতান। আ-ম-মি-ই-ই-ইইইইইইই। কানে ইয়ারফোন গুঁজে দেয় মুলতান। কাল সকালেই সে মুম্বাই যাবে।

মুম্বাইয়ে মুলতান তার এই হঠাৎ চলে আসার ব্যাপারটা বাইরে গোপন রেখেছিল। ভুয়ো আইডি দেখিয়ে মুলতান হোটেলে উঠল দর্পণ শ্রীবাস্তব নামে। সকাল সকাল জিনিসপত্র গুছিয়ে সে ঝুমরোকোঠির দিকে পা বাড়ালো। একটা নম্বর আছে তার কাছে। কলকাতার ডেলিভারি এখানে ওই ছেলেটাই দেখত। নাম কিছু একটা গোমস। নম্বরটায় ফোন করতেই লাইন কেটে গেল। তারপর ফোন স্যুইচ অফ। গলিগুলো সব যেন বটগাছের ঝুড়ির মতো নেমে আসছে তার ওপর। সে দৌড়োচ্ছে। পিছনে দুটো চোখ। ইবলিশের চোখ। সামনে ঝুমরোকোঠি। পুলিশের ব্যারিকেড দিয়ে ঘেরা। একটা ক্যাচাল হয়ে গেছে দু দিন আগে। কোঠির একটা ছেলেকে রাস্তায় ফেলে পিটিয়ে মেরে দিয়েছে কোঠির অন্য কিছু লোক। এখন তাই পুলিশ সিল করে দিয়েছে জায়গাটা।
-আপ কৌন?
চমকে মুলতান ঘাড় ঘুরিয়ে দেখল তার পিছনে এক হাবিলদার পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে।
-কুছ নেহি। ওয়েসেহি।
-চলিয়ে। ম্যাডামসাবসে বাত কিজিয়ে।
ব্যারিকেডের বেশ কিছুটা দূরে এক মহিলা পুলিশ অফিসার ছানবিন করছে। তার কাঁধের কাছে ব্যাজ দেখলে বোঝা যায়, তিনি উচ্চপদস্থ।
-বলিয়ে।
-নাম।
-দর্পণ শ্রীবাস্তব।
-আই ডি।
মুলতান ভুয়ো আইডি বের করে দেখালো। সেটা মিলিয়ে নিল অফিসার। মুলতান দেখল অফিসারটির নাম দুর্গা। দুর্গারেশ্মি উন্নিথান।
-ঠিক হ্যায়। যাইয়ে।
মুলতান আই ডি ফিরিয়ে তড়িঘড়ি হোটেলের দিকে পা বাড়াল। সেটুকু দেখতে দেখতে দুর্গা তার কনস্টেবলকে ডেকে বলল।
-উস বান্দাকো ফলো করো।টিপ মিলা হ্যায়। কলকাতাকা পুলিশ অফিসার কি কাতিল ইস জাগা মে হ্যায়।

মুম্বাই নিরাপদ নয়। মা রেইনি গেয়ে চলে ইয়ার ফোনে। কোনদিকে যাবে সে। সন্ধ্যায় ট্রেন। তার আগে একবার হাজি আলি দরগা যাবে ঠিক করল মুলতান। সাগরপারে তার সব দুঃখ কষ্ট যেন মিশে গেল সেই কাওয়ালির সুরে। আহা। যদি এই পৃথিবীতে আর কিছুই না থাকত। শুধুই সঙ্গীত থাকত। তাহলে এই পৃথিবী আরও কতো সুন্দর হতো! স্টেশনে ঢুকতেই মুলতান চমকে গেল। কামরাতে উঠতে গিয়ে সে দেখল দুজন পুলিশ আর দুর্গারেশমি উন্নিথান তার দিকে দৌড়ে আসছে। নিজেকে শাঅঁঅতশরাখার চেষ্টা করল সে। গানের ভলিউম বাড়িয়ে দিল কানের ভিতর।
-আই ডি দিখাইয়ে।
মুলতান তার পকেট থেকে আইডি বের করার সময় দেখে নিল রিভলভারটা ঠিকঠাক আছে কিনা।
-সার্চ করো। খবর মিলা হ্যায়।
কী খবর পেয়েছে পুলিশ?কে দিল খবর। বলতে বলতেই হঠাৎ মুলতান প্ল্যাটফর্ম ধরে দৌড়তে শুরু করল।
-পাকড়ো উনকো।
মুলতান ছুটছে। তার পিছনে পুলিশ। প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে মুলতান নেমে এল রেললাইনের পাশে। অন্ধকারে লাইনের পাথরে পা কেটে যাচ্ছে তার। তবু সে দৌড়োচ্ছে। তার এই শহরে আসার কথা কারো জানবার কথা নয় একজন ছাড়া। তাহলে কে পুলিশকে খবর দিল।
-স্টপ। অর আই হুইল শ্যুট।
দুর্গা বন্দুক বের করেছে। মুলতানও তার বন্দুক বের করে গুলি করতে গিয়ে দেখল কেউ তার বন্দুক থেকে কার্তুজগুলো বের করে রেখেছে। কে বের করল?দরবার? তবে কি দরবারই তার খবর মুম্বাই পুলিশকে দিয়েছে। ভাবতে ভাবতে মুলতানের পা হড়কে যাচ্ছিল।
-ওয়ান।
মুলতান থামলো না। গান বেজে চলেছে। ‘উইচ ওয়ে টু গো…’
-টু।
আম্মি। আমাকে বাঁচাও। বাঁচাও আম্মি। মুলতান থামলো না।
-থ্রি। ফায়ার।
দুর্গার রিভলভার গর্জে উঠল এইবার। মুলতান দেখল তার পিছনে অন্ধকারে ইবলিশের সেই আগুনভরা চোখ। তারা এইবার এগিয়ে আসছে তার দিকে। আর ভাবতে পারল না সে। ধপ করে পড়ে গেল লাইনের উপর।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।