সাতে পাঁচে কবিতায় সুদীপ্তা রায়চৌধুরী

গোলাপী মুক্ত

অবয়বী সম্পর্কের ঢাল বেয়ে খরস্রোতা নদীতে ডুব সাঁতার কেটে জীবন যখন গ্রামার আর ডেথের খেলায় মাতে, তখন মায়াময় মিথ্যে কে কি সত্যের পরাকাষ্ঠা ভাবা যায়? খোয়াবনামার পাতায় লেখা থাকে অক্ষয়চাঁদের আত্মনিগ্রহ? তিমির ঘন উপত্যকায় ঘনিয়ে আসে চন্দ্র লিপ্ত রাতের কামনা। লালচে শূন্যতার গর্ভে জমে ওঠে পোয়াতি মেঘের মেদুর বাসনা। সে রাতেই কি বর্ণময় তারার আঁধার সহযাত্রী হয়ে যায় আলোর কারুকাজের?রেখে যায় আনন্দময় আয়ু যাপনের নিশান? মোনোক্রমে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে কিছু অব্যয়ী মুহূর্ত, সাবধানে বাতিল টিকিটের অংশ এড়িয়ে ঘরে ফেরে শেষ ট্রাম। ফুটপাথ জুড়ে সমুদ্র স্তুতির তালে আলো লহরীর রঙধনু। বর্ষার ফোরকাস্ট ভুলে আলো মেতেছে মুক্তি সুখের সন্ধানে, খুঁজেছে উজ্জীবনের দ্যোতনা… আর একটা যুদ্ধ প্রতীক্ষায় অবচেতন তখন স্তব্ধ। পৃথিবী ব্যাপি সন্ত্রাস আর রক্তক্ষতের অথই জোছনায় জেগে থাকে অমৃত মন্থনের অভিলাষ, ভেসে আসে বনলতা মেয়ে আর আগুনপ্রিয় ছেলের রূপকথার গল্প। ধানিরঙা ভোরে যারা কাঁটা লুকতো মৈথুনঋতুর ভ্রমর ঝাঁপি তে, সব ক্ষীণ কোটি উত্তেজনার শরীরে পয়সা ফুলের জলছাপ। জীবন পার্বণের উল্লাসে অলৌকিক আনন্দের শিখা। আর এভাবেই নেবুলার আস্কারায় তারা জন্ম নিয়েই ভালোবাসা মেখে নেয় অমীমাংসিত অনুযোগ। ফাগুনের বুকে পলাশের শ্লোক লিখে চুয়াল্লিশ টা শীতের শেষে ছেচল্লিশ টা বসন্তের আশ্বাস রেখে যায় ক্যালাইডোস্কোপের কারুবাসনা। উনকোটি আদুরে ছোঁয়া ছোট ছোট ক্যান্ডিফ্লসের মতো ভেসে বেড়ায় নাইন্থ সিম্ফনির তালে তালে। কবিতা জুড়ে রোদসীর স্পর্ধা। মাটিতে শিথিল সুখ আর দিগন্তে হিরন্ময় শান্তি। অবলুপ্ত ধারার নক্সী সুতোর বর্ণনায় লেবুগন্ধী ভোরের মাদকতা। বেডশীটের মোটিফে গোলাপি মুক্তোর মায়া বসত। আঁচলের খুঁট বিভোর স্বর্ণাভ সঙ্গমের নীলাভ দ্যুতি তে। কোয়ান্টাম ফিজিক্সের রহস্যময় আলোয়ে ভালোবাসা আগলে রাখে সময়ের সমর্থন অথবা নিসর্গের অশ্রু…

Spread the love

You may also like...

error: Content is protected !!