সাপ্তাহিক ধারাবাহিকা -তে পলাশ চৌধুরী (পর্ব – ২২)

স্টেজের পাশেই স্বয়ংসিদ্ধা

পর্ব – ২২

এছাড়া আবেগ বাহিত না হয়েও যে মোরালিটিতে মোরাম বিছানো যায় বা তার হ্যাপার কাজ বলে শুধু নীচে একটা কোট থাকলেই একটা যন্ত্রণা বলে অ-ক্রান্ত অতি না হয়ে ক্রমশ ওদের থেকে তাদের ফাঁকে সুকৌশলে যুদ্ধাপরাধী না বেনে জিজিয়াকরের ধামা মেপে বহন করার মতো একটা গন্তব্য সম্ভব। ত্রি-কক্ষের ভবনটি সংকটগ্রস্ত হলে জানি না বলা যাবে বা খানিক গুপুচুপু অথবা কৃষ্টি হতে আমি বিক্ষিপ্ত প্রহর বলে প্রথম আলোর আলেয়া মেজে বেদম ঝাড়া পা-টি এবং, এবং নিরঙ্কুশ কাজের কাজি ভেবে বক্তব্যের টার্গেট কাউকে বানিয়ে নিজেকে কাঙাল করতে শঙ্কা লাগে না। এমতো সংক্রান্তির পূর্বদিনে নীল পাল দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন প্রতিবেশি থেকে প্রতি-আমি। নিগ্রোর শক্ত হাতে ধরে যারা আসবে বলে দশমিক শতাংশে দাঁড় করিয়েছে, তাদের জন্য নিখুঁত সিমটম্যাটিক সিম্প্যাথি বসানোয় থাকে, এখানে চৌকস না হয়ে পথে দু একটা চৌবাচ্চা হলেও ভাগের ভাগ্যে নমস্কার বিনিময়ের ধাপ প্রতি ধাপ এগিয়ে এগিয়ে নাভিশ্চিত্র গুঁফি। হিংসে হয় না, বা খুব প্রেস্টিজ গিমিক করে না ঝিলিকে পুলকে।
ন-সংবেদন, ন-পরিতাপ, একটা সেলাই খুলে আরেকটা গৌড় প্রাঙ্গণে প্রদর্শনী দেখায়। গোঁড়া যে অহেতুক, খোঁড়া যার ছুতুক, দুজনেই টুকরো বহিষ্কার। নৌ নৌ বেজার নির্বাহী যারা তাদের ভাল মন্দ যা-কিছু বিসর্জন, সব মিলিয়ে বিদেহী পূর্বপুরুষদের ডিএনএ-র বিদ্রোহ আরও বেশি স্পষ্ট হয়। এখানে খালা ভর্তি করলেই মন্তব্যের গন্তব্য স্থির হয়ে যায়। দরজা হোক বা দেশলাই দুটোই পুড়ায়।
বিদ্রোহ অগতি অব্ধি সঠিক, গতি পেলেই প্রগতি ধ্বংস হয়। লেপা লেপা তিরস্কার বড্ড প্রিয়, প্রিন্ট রয়ে যায় যাদের তারাই জ্যোতিষ্ক। ওসব অগোছ স্মৃতি দাঁড়িয়ে আছে ভাবলেই গ্যাঙ হয়ে যায় একা একটা আমি বা একটা একটা আমি মিলিয়ে অনেক। এরচেয়ে অ্যামিবা ভাল, বংশবিস্তার বা শুধুই ধুয়ে আবার আঁকার ছত্রাক। মোরালিটিতেও মোরাম বিছানো যায় এমন একটা ভাব আর ভাবের গায়ে লাগিয়ে লাগিয়ে রাখা, আমি কিচ্ছুটি জানি না।
বদজোবান বদলে সুহৃষ্ট কথকেরা নিশ্চিহ্ন চিন্তার দিকে ধাওয়া করে, আর ধারণা নিরন্তর সৌখিন হয়। চিৎ হও বা পাশ ফেরার ল ধরো, মাখানো জীবনে প্রথম বলে কিছুই নেই, সবই দ্বিতীয় বা তৃতীয় সংস্করণ। লিখে ফেলাটা অপ্রস্তুত সময়, জোরালো হাঁ, আর বসে থাকাটা গেলার সূত্রপাত, ঘটে এবং ঘটে ঘটে চলে।
নৃশংস, আসলে সংশয় থাকলে সংগ্রহ হয় না। সংগ্রহ সময়ের আবেদন চিনিয়ে গেলে, প্রকৃত এর চেয়ে প্রাকৃত রাস্তাটায় প্রিয় হয়। হিসাব চালের হয় গোছানো সংসারে যত হিসেব দেখা যাবে ততই বোঝা যায় চালের চেয়ে চালিয়েই বেশি আরাম, আর পথ বললে শুধুই মোরাম।

ক্রমশ…

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।