Quick bite – শ্রীপর্ণা ঘোষ

ব্যাঙ ও মিঠি

বর্ষাকালে চারিদিকে জল থই থই। আমি স্কুল থেকে ফেরার সময় জলে ছপাৎ ছপাৎ করতে করতে বাড়ি আসছি। ব্যাঙগুলো আমার পায়ের সামনে লাফালাফি করছিল। এমন সময় কে যেন আমায় ডাকল আমি দাঁড়িয়ে গেলাম। চারপাশে তাকালাম শুধু একটা সোনা ব্যাঙ ছাড়া কেউ ছিল না। আমি দেখলাম বাড়ির দেওয়ালে ব্যাঙটা ঝুলে আছে।
ব্যাঙটা বলল, “তুমি কি আমাদের সাহায্য করবে?”
আমি বললাম, “তুমি এখানে কেন? তোমরা তো ডোবায় থাকো!”
“মানুষরা আমাদের ডোবা বুজিয়ে দিচ্ছে।”
আমি ডোবার দিকে তাকিয়ে দেখলাম মাটিভরা অনেকগুলো লরি দাঁড়িয়ে।
ব্যাঙটা কাঁদতে কাঁদতে বলল, ” তুমি আমাদের বাঁচাও।”
আমি বললাম, “তুমি আমার সঙ্গে এসো। ” আমাদের বাগানে একটা জল ভরা টব ছিল। আমি ব্যাঙটাকে টবটা দেখিয়ে বললাম, ” তুমি তোমার বন্ধুদের নিয়ে এখানে থাকতে পারো।”
ব্যাঙটা বলল, ” আমরা এতজন ব্যাঙ কী করে ঐ ছোটো টবটার মধ্যে থাকবো?”
আমি আর একটা বড় টব এনে তার মধ্যে জল ঢালতে ঢালতে বললাম, ” এবার হবে তো?”
ব্যাঙটা মুচকি হেসে ডোবার দিকে লাফাতে লাফাতে চলে গেল। খানিকবাদে ওর বন্ধুদের নিয়ে ফিরে এল।
মা ব্যাঙেদের আওয়াজ শুনে এসে বলল, ” একি বাগানে এত ব্যাঙ কেন?”
আমি বললাম, “মা, ব্যাঙেদের ডোবা বুজিয়ে দেওয়া হচ্ছে তো, তাই আমি ওদের এখানে থাকতে বলেছি।”
মা সেই শুনে বাবাকে বলল। বাবা, পাড়ার কাকু, জ্যেঠুদের ডেকে লরিওলাদের কাছে গিয়ে কী যেন বলল। তারপর ঐ লরিগুলো মাটি নিয়ে চলে গেল। আর সেই দেখে ব্যাঙগুলো লাফাতে লাফাতে ডোবায় ফিরে গেল। যাবার আগে সেই সোনা ব্যাঙটা বলে গেল, ” থ্যাঙ্ক ইউ, রিমিল।”
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।