গুচ্ছকবিতায় সুদীপ ঘোষাল

সার্কাস

পড়তে পড়তে বইয়ের পাতা ঝাপসা
কিশোরীর মনে ভয়ের শিকল
পরীক্ষা,পরীক্ষক আর চার দেওয়াল
এদিকে সার্কাস চলছে রমরমিয়ে
কত মানুষের ভিড়
শুঁড় দোলানো হাতির ডাক
,ওদের বই নেই,পড়া নেই
তবু ওরা আলোর ফেরিওয়ালা
ভয়ের কান্ডারী যারা
তারা কি সার্কাস দেখেছে
শান্তিনিকেতনের ভাষা পড়েছে
কিশোরী ভাবুক হয়ে যায়
শিক্ষার পদ্ধতি সার্কাসের কাছে হেরে যায়
বইয়ের পাতা জুড়ে বারের খেলা…

চন্দ্রাবলীর সংসার

আমাদের জ্যোৎস্না রাতের ঘর
দুজনে দুজনের দেহে আলো মাখাই
মন জুড়ে ক্যাপসিক্যামের আদর
আলুপোস্ত আর মুগের ডালে রসনা তৃপ্ত
ঝাল লাগলে জলের স্নেহ মাখি…
ওপাড়ে যে কুটীর দেখা যায় গোলাপ ঘেরা
তার পাশ দিয়ে বয়ে চলে ঈশানি নদী
দুপুরে শ্রমিকের ঘাম ধুয়ে দেয় উদার কুলুকুলু স্রোত
ওটাই আমাদের শীতল আশ্রয়ের আদর
আমি মাঠে কাজ করে ফিরি যখন
ঈশানীর হাওয়ায় দোলে প্রতিক্ষারত চাঁদমুখ
খুশির হাওয়ায় জেগে ওঠে রাঙা সূর্যের রোদ
চন্দ্রাবলীর পরিশ্রমের ঘাম চেটেপুটে খাই
খিদের পাতে…

সারাংশ

গঙ্গার জলে মন খারাপের গন্ধটা গেলো না
আমার জিভে নোন্তাজলের স্বাদ,ঢোক গিলছি বাধ্যস্বরে
সহজ সুরে মেতে যায় কলরব, মনের কোণে তবু বিষণ্নতা
যে যার ঘরে ফেরে আপন ঘর ভুলে মোহবশে
গঙ্গাবক্ষে থাকে উলঙ্গ ছেলে কোলে অসংখ্য মা
ওরা সারাংশ বোঝে কি? সত্য নির্জন সে ঘর
বিসর্জনের পরেও তাই ওদের ঘরে ফেরার তাড়া নেই
ওরাও মিলিত হবে সম্মেলনে, আপন ঘরে…
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।