মার্গে অনন্য সম্মান শংকর ব্রহ্ম (সেরার সেরা)
অনন্য সৃষ্টি সাহিত্য পরিবার
সাপ্তাহিক প্রতিযোগিতা নং – ১২৭
বিষয় – অন্তরের টান
প্রেরণা
আমি অবনী রায়। অনামিকা আমার কবিতার ভক্ত। বই মেলায় পরিচয়। তারপর ঘনিষ্টতা। প্রেম জমে ওঠে। কিছুদিন পর বিয়ে।
বিয়ের পর অনামিকা বুঝতে পারে, কবির সঙ্গে প্রেম করা চলে, কিন্তু বিয়ে করে সংসার করা চলে না। দু বছর পর সংঘাত। বিচ্ছেদ।
এর কয়েক বছর পর হঠাৎ এক বিয়ে বাড়িতে দেখা। ভেবেছিলাম এড়িয়ে যাবে। কিন্তু কাছে এসে ও বলল , কেমন আছো , বিয়ে করেছো ?
আমি হাসলাম। বললাম , আবার বিয়ে ?
একজনকে ভালবেসে বিয়ে করলাম ,তা – ই টিকল না। শুনে ও মলিন হাসল।
কে যেন ওকে ডাকল। হাত নেড়ে, পরে কথা হবে, বলে চলে গেল অনামিকা।
কয়েক দিন বাদে , ঘুম ভাঙল ফোনের রিং টোনে।
ঘুম চোখে অচেনা নম্বর দেখে বিরক্তির সুরে বললাম , কে?
– আমি অনামিকা
– কে অনামিকা?
হঠাৎ ফোনটা কেটে গেল।
এরপর আমার মনে পড়ল অনামিকার কথা। নিজেকে আহাম্মক মনে হল। আমি রিং ব্যাক করলাম। কেউ ধরল না। কিছুক্ষণ বেজে ফোন কেটে গেল। আবার ফোন করলাম। ওধার থেকে মুহূর্তে কেউ কেটে দিল। বুঝলাম অভিমান হয়েছে ওর। হঠাৎ কবিতার দুটি পংক্তি মাথায় ঝিলিক দিয়ে উঠল।
‘অভিমান করে সরে গেলে দূরে
কাছে আসা আর হয় না সহজ
আবর্জনা ভেবে, অভিমান দূরে ছুঁড়ে ফেলে
প্রেমকে করো রক্ষা কবজ।’
অনামিকা আজও আমার কবিতার প্রেরণা ভেবে
বুকটা ভরে উঠল আনন্দে ।
উপলব্ধি করলাম আজও আমার মনে, ওর জন্য কিছুটা ভালবাসা রয়ে গেছে একান্ত গোপনে?