সাপ্তাহিক ধারাসম্পাতে সিদ্ধার্থ সিংহ (পর্ব – ২৯)

দেবমাল্য

— ট্রেন ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ছেলেটি আমাকে ফোন করে বলেছে। তা ছাড়া রিজার্ভেশন লিস্টেও ওর নাম রয়েছে। এস ফোর কামরার তেইশ নম্বর সিটে।

— তার মানে শিয়ালদহ থেকে ট্রেনে উঠেছে কিন্তু বহরমপুর নামেনি, তাই তো?

— হ্যাঁ।

— তা হলে এটা তো এখানে কিছু হবে না। আপনাকে জি আর পি-তে যেতে হবে। বলেই, রণোর দিকে তাকিয়ে বললেন, তুমি বরং ওনাকে বহরমপুর জি আর পি-তে নিয়ে যাও। এটা ওদের কেস।

— না দাদা, এটার মধ্যে একটা প্রবলেম আছে।

— আবার কী প্রবলেম?
— একটু আগে উনি ওনার বউকে দেখেছেন।

— দেখেছেন মানে? আমি ঠিক বুঝতে পারছি না। এই তো বললে উনি আসেননি। তা হলে উনি ওনাকে দেখলেন কী করে?

আমতা আমতা করে দেবমাল্য বলল, আমরা গাড়ি করে স্টেশনের দিকে আসছিলাম। হঠাৎ দেখি একটা সাইকেল রিকশা করে ও যাচ্ছে।

— কখন?

— ক’টা হবে তখন? রণোর দিকে তাকাল দেবমাল্য। রণো বলল, এই ধরুন চল্লিশ-পঁতাল্লিশ মিনিট আগে।

— তোমরা তখন কোথায় ছিলে?

— গাড়িতে।

— না না, আমি তা বলছি না। বলছি, কোন জায়গায় ছিলে? পুলিশ অফিসারটি জিজ্ঞেস করতেই রণো বলল, ইংরেজদের কারখানার সামনে।

— উনি কোথায় ছিলেন?

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।