সাপ্তাহিক ধারাবাহিক উপন্যাসে সোনালি (পর্ব – ১০৪)

রেকারিং ডেসিমাল

ফিরে গেলাম পুজো সেরে। মন্দিরের তোরণ পেরিয়ে গাড়ি ঢোকে না। তাই গুটিগুটি হেঁটে মেন রাস্তায় এসে গাড়িতে ওঠা হল। সবাই অস্থির ততক্ষণে। খিদে তেষ্টা বিরক্তি সব মিলিয়ে একেবারে হইহই।
তাড়াতাড়ি বাবা গাড়ি নিয়ে চলে এলেন খাসা একখানা খাবার দোকানের সামনে।
এসির ঠাণ্ডায় বসে লসসির গ্লাস হাতে নিয়ে দুই খুদির মুখে হাসি ফুটলো।
বড়রা মালাই দেয়া চা হাতে নিয়ে গবেষণা শুরু করে দিলেন মেনু কার্ড নিয়ে।
কী খাওয়া যায়। ছোটোদের আঝালি। বড়দের মসলাদার।
তবে সবই কড়া ভাবে নিরামিষ।
কাশীধামে আমিষ চলে না।
এটা ওটা খেয়ে, তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে বাইরের বাহারি দোকান থেকে রুপোলি তবকে মোড়া মিষ্টি পান কেনা হল। কি তার ভেতর মশলার কায়দা, বাবা।
ছানারা অবধি মায়ের মুখ থেকে ভেঙে খেয়ে মাথা নেড়ে বলল, আহ, দারুণ!
ঠাণ্ডা জলের বড় বোতল কিনে নিলেন বাবা গাড়িতে নেবার জন্য।
তারপর চলল গাড়ি কাশীধাম ঘুরে দেখতে সারা দিন ধরে।

Spread the love

You may also like...

error: Content is protected !!