আমি কিছুদিন আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরতলী জন্মভূমি সুহিলপুর মৌলভীবাড়ি গিয়েছিলাম,বাড়ি গেলে ঘুরে ঘুরে সকলেরই খোঁজ খবর নিয়ে থাকি। বিশেষ করে আমার এলাকার গরীব ও অসহায় মানুষদের,এটা আমি দেখছি আমার পূর্ব পুরুষরা বহুকাল আগে থেকে করে আসছেন। গত শনিবার সকালে বিশেষ কাজে বাড়ি থেকে আমাদের সুহিলপুর( জলচত্বর) বাজারে গেলাম,বাজারে যতোবারই গিয়েছি ততোবারই অসহায় হাফেজার সাথে দেখা হয়। ঐদিন ও দেখা হলো, এখানকার অনেকেই ওনাকে পাগলী বলে ক্ষেপিয়ে তুলেন, কেউ কেউ ” টু টু” শব্দ করে বিরক্ত করেন,তবে ওনার সাথে কথা বলে বুঝতে পেরেছি ওনি পাগলী নন খুবই ভালো মনের মানুষ, মিশুক ও। ঐদিন আমাকে ওনি দুঃখ- কষ্ট ও মনের জমানো ব্যথা সব খোলে বললেন, ওনার ভাঙাচোরা একচালা টিনের বেড়া দেয়া ঘরটি দেখালেন। ওনার দূরাবস্থা দেখে অনেক অনেক মায়া হলো,আমার এত সাধ্য নেই যে,ওনার সব কষ্ট দূর করে দিতে পারবো। ওনার ঘরটি সুহিলপুর বাজার খেলার মাঠের ঠিক পিছনে মেইন রাস্তার পাশে,কিছু দুষ্ট প্রকৃতির মানুষ,অটোরিকশা ও সি এন জি চালক অযথাই ওনার ঘরটির কাছে এসে দিনেরাতে জোরে জোরে হর্ন বাজায়,ঢিল ছুঁড়ে,টিনের দরজা কেটে দিয়েছে, বিদ্যুতের মিটার খুলে নিয়ে গেছে। এতে হাফেজা অসহায় অবস্থায় আছে, ঠিকমতো ঘুমাতে পারেনা। আমি আশা করবো ওনার সাথে কেউ দুষ্টুমি বা ক্ষতি না করে উপকার করতে এগিয়ে আসবেন। তাহলে একদিকে সওয়াব হবে, অপরদিকে সুহিলপুরের সুনামও বৃদ্ধি পাবে।