কর্ণফুলির গল্প বলা সাপ্তাহিক ধারাবাহিকে মনিরুল ইসলাম (পর্ব – ৭)

হেরফের

-বডো মিঞা, নবাব আলির মেয়ের সাথে রিটুর ভান ভালোবাসা ছিল, সেটা নবাব আলি জানতা।আর এও জানত যে রিন্টু ওর মেয়েকে ঘড়ি,সাইকেল, মােবাইল এবং ইদের সময় জামা কাপড়,
ও হাত খরচের টাকা দিত।
-নবাব আলি এসব কি শুনছি।
-বড়ো মিঞা এখানেই শেষ নয়, তারও আছে।
-আবার কি ?
-নবাব আলির মেয়ে রিন্টুর দেওয়া ফোন নিয়ে অন্য ছেলের সাথে ভাব ভালবাসা করছে।সেই কথা বলতে গেলে রিন্টুর সাথে নবাব আলির মেয়ের ঝামেলা শুরু হয়।
-তারপর-
-মেয়ের কথা শুনে সেদিন সকালে নবাব ও তার স্ত্রী ধারালো হেসো নিয়ে লোকজনের সামনে রিন্টুকে রাস্তায় তাড়িয়েছে।
-নবাব আলি এসব কি সত্যি? চুপ করে বসে থাকলে চলবে না।
-না- মানে বলছিলাম কি-
-নবাব আলি অতাে আর হেরফের না করে সােজা-সাপটা উত্তর দাও।
-হ্যা বড়ো মিঞা, মাস্টার যা বলেছে সব ঠিক। আমার ভুল হয়েছে লােক জানাজানি করা ।আসলে আমার মাথা ঠিক ছিল না, আর মেম্বার সাহেব বলল শালিস-
-দেখাে নবাব এর মাঝে আমাকে টেনাে না, তােমরা রাস্তায় ঝামেলা করছিলে বলে আমি বললাম –
-আচ্ছা যা হওয়ার হয়ে গেছে, এখন কি করা যাবে মেম্বার সাহেব ?
-সব যখন মাস্টার বলল তখন এটাও মাস্টার বলুক।
-মেম্বার সাহেব এটা তােমার রাগের কথা হল।
-আচ্ছা মাস্টার তুমিই বল।
-আমি সত্যটা সকলের সামনে তুলে ধরলাম। এখন তােমরা মুরুব্বিরা আছ সকলে মিলে একটা সিদ্ধান্ত নাও । আমি তােমাদের সিদ্ধান্তে একমত।
-মােড়লেরা এ ওর কানে খুসখুস করে কিসব আলােচনা করল। তারপর সবাই মিলে বড়ো মিঞার উপর সিদ্ধান্ত টানার অনুমতি দিল।
-আমার বিচারে দুজনেই কমবেশি অপরাধী, তাই এই বিচারের সিদ্ধান্ত আজ স্থগিত। আগামী
বুধবার আমরা আবার সকলে এখানে বসে সিদ্ধান্ত নেব। আজকের মতাে শালিসি সভা এখানেই সমাপ্ত।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।