অক্ষয় হয়ে উঠল এই মুহূর্ত, কিন্তু সমাপ্ত হোক মানবের এই সংকট!
অক্ষয় তৃতীয়া। এক অতিশুভ তিথি। দেবী কমলা ও গনেশ ঠাকুরের আরাধনা ঘরে ঘরে! কিন্ত বর্তমান মুহূর্ত উল্লাশের কোন অনুমতি দেয়না সেই অর্থে। গৃহবন্দি থাকা ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই। কিন্তু কথায় বলে ‘আবেগ যে কোনো যুক্তি ও তর্কের থেকে অধিক শক্তিশালী’। তাই কিছুটা হলেও উৎসবের আমেজ বর্তমান বাঙালির মনের মাঝে! নাই বা রইল হালখাতা খোলা বা মিষ্টি বিতরণ। দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো, শুধুমাত্র!
করোনার তাড়নায় আজ বিপর্যস্ত আমরা। বাজার হাট মন্দা। ফুলের দোকান থেকে শুরু করে, মিষ্টির দোকানে পড়েছে ভাঁটা। সর্বত্রই ত্রাহী ত্রাহী রব। এর মাঝে উৎসব কাম্য হোক বা না হোক, বছরের ক্যালেন্ডার তার নিজের নিয়ম অনুযায়ী চলবে! নববর্ষের সূর্য ছিল অস্তমিত। অক্ষয় তৃতীয়ার মুহূর্তগুলো মলিন, নিষ্প্রাণ! নেই উলুধ্বনি। নেই শঙ্খধ্বনি। নেই মন্ত্র উচ্চারণের মাঝে শ্রী ও সিদ্ধিদাতার যুগল মূর্তি গৃহ মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত করবার প্রস্তুতি। নেই সেই প্রাণের মাঝে স্বর্গীয় আনন্দ। ব্যাখ্যা করা কঠিন এ কোন উৎসবের বাতাবরণ? চারদিকে শুধু আতঙ্ক। এক অজানা ভয় গ্রাস করেছে মানুষের বিচারবুদ্ধিকে। কবে স্মিত হবে প্রকৃতির এই রোষানল, তা কেবল প্রকৃতিই জানে!
ধীরে ধীরে মানুষ ধৈর্য্য হারাচ্ছে। বৃদ্ধি পাচ্ছে অনিশ্চয়তা।মানুষের প্রাণে বাঁচবার এক প্রয়াস আজ সব থেকে বড় ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে! সব কিছুই অর্থহীন আজ। এক বিষময় পরিস্থিতি। এই শুভ লগ্নে তাই একমাত্র প্রার্থনা যে সব কিছু যেন পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে। এই মৃত্যুপুরী যেন নন্দন কাননে রূপান্তরিত হয়। ফিরে আসে সুখ ও সমৃদ্ধি!!