জন্মের প্রথম শুভক্ষন – এ অর্ণব সাহা (গুচ্ছ)

হেমন্তের ঘাতক বিকেল

১ |
ক্যাথিড্রাল-চুড়ো থেকে ভেসে গিয়েছিল সাদা বক
আমার আরেক জন্মে তার নাম নীরবতা ছিল!

খিড়কিপুকুরের ধারে ঠায় বসে থাকত সারাদিন
আর তাকে নজরে রাখত নিরপেক্ষ প্রেতিনীর চোখ

টায়ার-পোড়া কালচে ধোঁয়া—কারা যেন আগুন জ্বেলেছে!

আগুনে পুড়েছে সবজি। আলু ও টোম্যাটো। খড়কুটো।
হোলির আগের রাতে এভাবেই আত্মশুদ্ধি হয়…

একটা আস্ত জনপদ রংচটা ফোটোগ্রাফে চুর…

এ গল্পে সন্ত্রাস আর রক্তবর্ণ নীলিমা প্রচুর

২|
সূর্য, ড্রপ-খাওয়া বল, গড়িয়ে নেমেছে
আকাশ: এক মাছ-ধরার জাল!

ফেটে-যাওয়া তুলোবীজ হাওয়ায় ছড়ানো

স্বপ্নের চৌমাথা। অফিসযাত্রীর পায়ে ছুট দিয়েছে
কেউ
চিলেকোঠায় বসে পোড়াচ্ছে রেডবুক
যারা, তাদের সামনে স্তূপ-করা বিবর্ণ ফটোগ্রাফের
পাহাড়
সময়ের কঙ্কাল!

ঊর্ধ্বশ্বাস এই শহরে মানুষগুলোও হারিয়ে যাবে
দ্রুত…

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।