সাপ্তাহিক ধারাবাহিক কথা সাগরে শম্পা রায় বোস (পর্ব – ৬)

আমার মেয়েবেলা ৬

বন্ধু 

আমার জীবনে বন্ধু মানে অনেকটা,,, অনেকখানি। বুকের আশি ভাগ জায়গা জুড়ে রয়েছে পরম যত্নে আদরে।।
আমি সারাজীবন আমার বাবা মা আত্মীয় স্বজনকে যতটা পেয়েছি,, তার থেকেও বেশি পেয়েছি আমার বন্ধুদের।
ছোটবেলা থেকেই আমার প্রচুর বন্ধু বান্ধব ছিল। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম বন্ধুর সঙ্গে আমি জড়িয়ে থাকতাম। এমন কোন সময় ছিল না যে আমি বন্ধুহীন ভাবে কাটিয়েছি।। আমি বিয়ে করেছি বন্ধুকেই। ও আমার যত না স্বামী তার থেকেও বেশি বন্ধু। আমার বিয়ের সময় বাবা খুব অসুস্থ ছিল। ভাই এর চলে যাওয়ার শোক বাবা নিতে পারে নি।। সে এক দিন গেছে আমাদের।। মানসিক ডাক্তার দেখাতে বাধ্য হয়ে ছিলাম। সে কথা না হয় আর একদিন।
যা বলছিলাম আমার বিয়েটা পুরোপুরিই আমার বন্ধুরা মিলেই দিয়েছিল।। বিয়ের বাজার থেকে তত্ত্ব গোছানো ,,, সমস্ত টাই আমার বন্ধুরাই সামলেছিল।।
আমার হোস্টেলের বন্ধুরা এবং আমার ফরাক্কার এক বন্ধু যে কী করেছিল তা আমি বলে বোঝাতে পারব না। বাবার বেশির ভাগ কাজটা আমার ফরাক্কার ওই বন্ধুই করেছিল।। বাবা শুধু বসে বিয়েটা দিতে পেরেছিল।
আজকে আমি এই জায়গায় পৌঁছাতে পেরেছি তাও ঐ বন্ধুদের জন্যই । আমার এই সব বন্ধুরা সব সময়ই আমাকে ঘিরে রাখে।।
বন্ধু আমার গুরুজন,,
বন্ধু আমার আশ্রয়, বন্ধু আমার মনখারাপে, বেশ খানিকটা বল।
আমার ভাল সময়ে ,,,খারাপ সময়ে আমি আগে বন্ধুকেই পেয়েছি সব সময়। কোনও অসুবিধা হলেই চোখ বন্ধ করলে সর্ব প্রথম আমার বন্ধুর মুখ টাই ভেসে আসে।
চাণক্যের একটা শ্লোক মনে পড়ল—–
“উৎসবে ব্যসনে চৈব
দুর্ভিক্ষে রাষ্ট্রবিপ্লবে
রাজদ্বারে শ্মশানে চ
যতিষ্ঠতি সবান্ধবঃ”।।
সত্যিই তাই। বন্ধু তো এমনই হয়।। আমার ক্ষেত্রেও এমন ভাবেই আমি আমার বন্ধুদের পেয়েছি। আমার মেয়েবেলাটা এতটা সুন্দর রঙিন হওয়ার কারণ কিন্তু বন্ধু।
কত বন্ধু ছিল আমার! স্কুলের বন্ধু, পাড়ার বন্ধু । আবার বড়ো দাদা দিদিরা যেমন বন্ধু ছিল তেমনি ছোট ছোট ভাই বোনেরাও আমার বন্ধু ছিল। আবার আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে ছোট মাসি ছোট মামা ছোট পিসি ছোট কাকা , এরাও কিন্তু আমার দারুণ বন্ধু ছিল। পাড়ার কাকিমারা, মানে মায়ের বন্ধুরাও ছিল আমার খুব ভালো বন্ধু। একটু বড়ো হতেই আমার ঠাকুমার প্রিয় বন্ধু হলাম আমি। ঠাকুমা তাঁর একমাত্র নাতনির পথ চেয়ে বসে থাকত কবে তাঁর জমানো গোপন কথাগুলো বলে হালকা হবে।। আমি সবার খুব প্রিয় বন্ধু ছিলাম। সবাই তাদের গোপন কথা আমাকেই বলত। তবে আমার সবথেকে ভাল এবং প্রিয় বন্ধু ছিল আমার বাবা,,,তারপর একটু বড়ো হলে আমার ভাই। তবে আমার বাবা কিন্তু আজীবন আমার বেস্ট ফ্রেন্ড হয়েই থেকে গেছে। ছোট বেলায় বাবা যে কীভাবে সব দিক থেকে বিশেষ করে মায়ের মার থেকে বাঁচাত আমায়! সব রকমের কাজেই বাবা আগে এগিয়ে আসত আমাকে সাহায্য করতে।।
তখন আমি খুব ছোট। বন্ধু মানে তখন কাদামাটি দিয়ে পুতুল গড়া, কানামাছি খেলা এবং পুতুল খেলার জন্যই। তখন ওদের আর সেরকম কোন ভূমিকা ছিল না আমার জীবনে।। আস্তে আস্তে যত বড়ো হতে লাগলাম, বন্ধুরাও একটু একটু করে আমার মনের ঘরে জায়গা নিতে শুরু করল।
আমার মা কোনও দিন আমার বন্ধু হতে পারে নি,,, একটু বড়ো হতেই,,, মানে যে সময়টায় বন্ধুর দরকার হয়, সেই সময়টায় মা আমাকে এত শাসনে রেখেছিল যে,,, তারপর আর মাকে বন্ধু করা সম্ভব হয় নি।
সারাটা জীবনে কখনও এই শাসন থেকে আমি মুক্তি পাই নি। আর তাই মাকে আর কোনও দিন আমি বন্ধু বানাতেও পারি নি। চেষ্টা করতাম, আমার তো কোনও বোন বা দিদি ছিল না, তাই ওদের অভাবটা মিটিয়ে নিতে চাইতাম। কিন্তু হয় নি।
যা বলছিলাম,
বন্ধু হল সেই জন যার কাছে আমি খোলা আকাশ,,,যাকে সবটা বলা যায়, কোনও গোপনীয়তা নেই, প্রেস্টিজের মোড়ক নেই, যার কাছে আমি অগোছালো, যার সঙ্গে উদ্দামতায় ভেসে যাওয়া যায়। যার সঙ্গে ছুটির দুপুরে একলা ঘরে নিষিদ্ধ কথা আর লুটোপুটি করে হাসাহাসি করা যায় ।
যে কাছে না থাকলে ভাল লাগে না কিছু। যে শুধু বিপদে আপদে আগু পিছু।
বন্ধু আমার অনেকখানি। বন্ধু ছাড়া বাঁচা যেন অসম্ভব তা মানি।
বন্ধু র কথায় বুকের মধ্যে যন্ত্রণার ভাললাগা,,
আমার জীবনে বন্ধু হল অনেকটা পথ চলা।
বন্ধু মানে ক্লাসে বসে ফিসফিসিয়ে কথা বলা, যথারীতি বেঞ্চের ওপর দাঁড়িয়ে কান ধরা।
একমাত্র বন্ধুকেই যেন বলা যায় আমার জন্য জায়গা রাখিস।
আমার রান্নাবাটি পুতুল খেলা এক্কাদোক্কার সঙ্গে থাকিস।
এরকমই এক বন্ধু,,, (শিখা) ছিল আমার।
আমার পাশের কোয়ার্টারে থাকত। আমার থেকে একটু ছোটই ছিল। কিন্তু দিদি বলত না। দারুণ বন্ধু ছিলাম আমরা। ওর সঙ্গে আমার মেয়েবেলার অনেকটা সময় কাটিয়েছি। খেলতে খেলতে ঝগড়া হল, সঙ্গে সঙ্গে আড়ি হয়ে গেল। আমি মুখ কালো করে বারান্দায় বসে থাকতাম আর ও আমাকে দেখিয়ে দেখিয়ে রাস্তা দিয়ে পঁচিশ বার যাতায়াত করত। আমি যেই তাকাতাম। ও মুখ বেঁকিয়ে চলে যেত।
আমিও অপেক্ষা করতাম এবার ও যেই আমার দিকে তাকাত আমিও খুব বিচ্ছিরি ভাবে মুখ বেঁকিয়ে ঘরে ঢুকে পড়তাম।
প্রথম দুদিন এই ভাবেই মুখ বেঁকাবেঁকি চলত। তিনদিনের দিন দুজনেই কাঁদতে বসতাম। মা রা এসে আমাদের বুড়ো আঙুল ঠেকিয়ে ভাব করিয়ে দিত। আড়ির পর যে ভাবটা হত,,, সেটা কিন্তু একেবারে ফাটাফাটি ভাব হত। এই দুদিনে কত কথা জমে যেত। নাওয়া খাওয়া বন্ধ করে তখন পুতুল খেলা চলত। কিংবা এক্কাদোক্কা ।। বেশ দিন কাটত সে সময়।
যার সম্পর্কে এত কথা বলছি আমার সেই বন্ধুটি আর নেই। ওপারের ডাক এসেছিল তো , তাই,,,
####
স্কুলের দিনগুলো বন্ধুর জন্যই যেন আরও রঙিন হয়ে গিয়েছিল আমার। অবশ্য সবার ই হয়।
প্রথম ঘন্টায় ঝগড়া,,,, শেষ ঘন্টায় ভাবের ঠ্যালায়,,,কান ধরে দাঁড়িয়ে শাস্তি পাওয়া,,,
প্রথম প্রেমের অনুভূতি শেয়ার করা,,,,টিফিনে একসঙ্গে ফিসফিস গল্প আর গোপাল দার ঝালমুড়ি, একসঙ্গে বৃষ্টিভেজা,,,,জীবনের প্রথম প্রেমপত্র পড়া,,,কাঁপা হাতে,,, কাঁপা বুকে গোল হয়ে বসে।
জীবনে কত বন্ধু পেলাম!!! কিন্তু স্কুলের বন্ধু??? বাতই কুছ আলাগ হ্যায়,,,,
সরস্বতী পুজোয় ঠাকুর সাজানো, একসঙ্গে পুজোর জোগাড়,,, (ফল কাটা, চন্দন ঘষা, ফুল সাজান)
শাড়ি পরে অঞ্জলি উফ্ এসব ভোলা যায় না।
আমাদের ফরাক্কায় তখন ব্যারেজের সব ছেলেমেয়েরা একটা স্কুলেই পড়ি। ছেলেমেয়ে একসঙ্গে যাকে বলে কো -এডুকেশন। তবে এক ক্লাসে বসতাম না। আলাদা ঘর ছিল। একটা ছেলেদের সেকশন আর একটা মেয়ে দের সেকশন।
অবশ্য টিফিনে একসঙ্গেই খেলা করতাম। আমরা একে অপরের খুব ভাল বন্ধু ছিলাম। স্কুলের পর ও তো আমাদের দেখা হত। একটাই বাজার,, প্রাইভেট পড়া (তখন আমরা কোচিং বলতাম না ),, পাশাপাশি কোয়ার্টার এ থাকা, বিকেলে পাড়াতেও একসঙ্গে খেলা ছিল। ফুল তোলা ছিল সাইকেল চালানো ছিল, গঙ্গায় সাঁতার কাটা ছিল। আবার তেমনি প্রচন্ড ঝগড়াও ছিল। আবার হিংসেমিও ছিল। মনিটারের কাছে লাগানি ভাঙানি ছিল।আবার টিচারের কাছে কমপ্লেইনও ছিল। তবুও কত ভাল ছিল আমার সেই স্কুলের বন্ধুরা।। আমি বেশ ঝগড়ুটে ছিলাম। ছেলে বন্ধুরা আমার নাম রেখেছিল ধানি লঙ্কা। সব ব্যাপারেই আমার একটা মাতব্বরি করা ছিল। একটা নেত্রী হওয়ার মেন্টালিটি আর কি।।
তবে সব বন্ধুরাই আমাকে খুব ভালও বাসত। এখনও বাসে। এখনও আমায় ভালোবেসে শম্পু,, শম্পুরানি বলে ডাকে।
আমার সঙ্গে কারোরই খুব একটা হিংসেমি ছিল না। পড়াশোনায় খুব ভাল ছিলাম না। সাধারণ মাপের। একটু আত্মভোলা। নিজেকে নিয়ে থাকতেই ভালবাসতাম। স্কুলে একা একাই ঘুরে বেড়াতাম। কারোর সাতে পাঁচে থাকতাম না । স্কুলের যে কোনও ফাংশনে অবশ্য আমি গান করতামই। নাচ ও করতাম। আবার তবলাও বাজাতাম। দারুণ ছিল সেইসব দিন।
সবাই আমার কথা খুব শুনত। বন্ধুদের ঝগড়া মেটানোয় আমার একটা খুব বড়ো ভূমিকা থাকত।।
দশটা চল্লিশে ঢং ঢং ঢং করে ঘন্টা বাজলেই ছুটতাম,,,পরপর প্রেয়ার লাইনে দাঁড়িয়ে পরতাম।
“”জনগণ মন,,,বিভিন্ন সুরে এবং বিভিন্ন উচ্চারণে। তাতে কি? চোখ বন্ধ করে ভ্রু কুঁচকে গলার শিড়া ফুলিয়ে গাইতাম,,” যমুনার গঙ্গা উজ্জলো জলধিত- রঙ্গ”। ভুল উচ্চারণ হোক আমরা কিন্তু সরল মনে খুব মন দিয়ে ভক্তি ভরে গাইতাম, আমাদের এই “জাতীয় সঙ্গীত”।
ফার্স্ট পিরিয়েড
থেকেই আমাকে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো। ক্লাস টিচারের কাছে মনিটারের নাম লেখার খাতা জমা পড়ত। প্রথমেই আমার নাম লেখা থাকত। শাস্তি স্বরূপ সারাটা পিরিয়েড দাঁড়ানো। পড়া পারলেও বসার নিয়ম ছিল না। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ওর ই মাঝে আমি ঠোঁট ফুলিয়ে মনিটারের সঙ্গে কড়ে আঙুল দেখিয়ে আড়ি করতাম।
তিনটে রো এ আমরা বসতাম। দুপাশের রো তে দুটো করে বেঞ্চ থাকত। মানে দুজন করে বসত । আর মাঝের রো টা চওড়া ছিল । তিনটে করে বেঞ্চ থাকত। ক্লাসে বড়ো জোর চল্লিশ জন ছাত্রী ছিল।।আমি টিচারের বাঁদিকে ফার্স্ট বেঞ্চে বসতাম। আমার পাশে শম্পা বসত। ভাল মেয়ে । শান্ত,, আসতে আসতে কথা বলে, পড়াশোনায় খুব ভাল। আমাদের ইংরেজি স্যারের মেয়ে ছিল। ভাল গানও করত। বাড়ি থেকে হেঁটে স্কুলে আসতে প্রায় আধঘন্টা লাগত। পা ব্যথা করত। বসতে না বসতেই প্রেয়ার লাইন। তারপর ফার্স্ট পিরিয়েড এ চল্লিশ মিনিট দাঁড়ান,,, খুব ই কষ্টের ছিল। পা খুব ব্যথা করত। আমার বেঞ্চের সামনেই দরজা, আর টানা বারান্দা। বেঞ্চে বসেই বাইরে টা দেখা যেত। আমার মনে তখন খুব দুঃখ। একটু কথা বলেছি বলে নাম লিখে দিল! এই আমার বন্ধু! এই বন্ধু কে আমি এত ভালোবাসি! বারান্দায় একটা কাক এসে বসে কি চ্যাঁচাত। আমার তখন মনে হত ঐরকম কাক হলেই ভাল ছিল। কেউ কোনও শাস্তি দিতে পারত না। ঘরে শাসন বাইরে শাসন, জীবন টা তখন নরক হয়ে উঠছিল যেন।
RB দি আসতেন প্রথম পিরিয়েডেই ইংরেজি পড়াতে। কি সুন্দর সুন্দর শাড়ি পড়তেন!! আর খুব সুন্দর করে গুছিয়েও পড়তেন। কি স্মার্ট ছিলেন দিদি!!! আমরা অপেক্ষা করতাম,,,আজ কি রঙের শাড়ি পরবেন দিদি। সাধারণত দিদি ছাপা শাড়ি ই পরতেন। ইস্ত্রি করা। ছোট হাতা এক কালারের ব্লাউজ। দিদি টিপ পরতেন না। ঠোঁটে গ্লিসারিন দিতেন মনে হয়। ঠোঁটটা বেশ চকচক করত। সোনার মুসুর ডাল দুল পরতেন। কোনও সাজ ছিল না।
দিদির ঠোঁটের ডান দিকের নিচের দিকে সাদা দাগ ছিল। অবিবাহিতা দিদি একাই থাকতেন কোয়ার্টারে। আমাদের সে কি জল্পনা!! এত সুন্দর স্মার্ট মহিলা বিয়ে করলেন না? নাকি বিয়ে হল না, নাকি প্রেমে আঘাত,,, শেষ পর্যন্ত সেকথা আর জানা যায় নি। যাইহোক দিদি আমাদের খুব ই প্রিয় ছিলেন। এত সুন্দর পড়াতেন শুনতে শুনতে পড়া মুখস্থ ই হয়ে যেত।।
দিদির একটা কথা আজও মনে আছে আমার। তখন আমরা একটু বড়ো হয়েছি। তাই দিদির সঙ্গে একটু বন্ধুত্বও হয়েছে। তো এমন ই এক দিনে দিদি বলেছিলেন,”” যে বয়েসে যেটা করতে ইচ্ছে করবে,,, করে নিও, পরে সেটা করার আর মন থাকে না। তাই বলে কোনও বাজে কাজ করতে বলছি না। আমার ছোট বেলায় খুব আইসক্রিম খেতে ইচ্ছে করত। কিন্তু প্রতিজ্ঞা করেছিলাম চাকরি পেলে তবেই খাব। আজ দেখ চাকরি করছি। কিন্তু আইসক্রিম খাওয়ার মন টাই আর নেই।”
খুব ভালবাসতাম আমি দিদিকে। আজ ও ওনার সেই জ্বলজ্বলে মুখটা
আমার বেশ মনে আছে।
সত্যিই পরে তো সম্ভব হয়না। অনেক ইচ্ছে ছিল আমারও, আমাদের সকলের ই থাকে,,, খুব বোকা ছিলাম আমি, একটু ভালোবাসা পেলেই নিজের ইচ্ছে গুলোকে গলা টিপে মারতে এতটুকুও ভাবতাম না। সুন্দর সুন্দর অনুভূতি গুলো কে,,, ইচ্ছে গুলোকে সবার কথা ভেবে কবর দিয়ে রেখেছিলাম মনের ঠিক মাঝখানটায়।,,,
সেই মনটার ভেতরের “আমি” টার কথা কোনও দিন আর ভাবা হয়ও নি, আর হলও না। ইচ্ছে পূরণের আনন্দে নেচে ওঠার জন্য দিনের পর দিন “আমি” টা ছটফট করত।
ভেবেছিলাম পরে করব সময় করে, কিন্তু পারলাম কই? আর করা তো হলই না। তাই এখন আমার ছোট খাট ইচ্ছে গুলো পূরণ করার চেষ্টা করি। কি জানি এগুলোও যদি পরে না হয়!!!
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।