হৈচৈ কবিতায় অঞ্জলি মুখার্জী

খুড়োর কীর্তি
চন্ডী তলার নন্দী খুড়ো, গানের রেওয়াজ করে।
সন্ধে সকাল দুপুর বিকেল কক্ষনো না ভোরে।
খুড়োর বাবা গাইত ভাল শাস্ত্রীয় সঙ্গীত;
তানপুরাতে সাধতে বসে ধরতো নানান গীত।
ছোট্ট ছেলে নন্দী খুড়ো আজ হয়েছে বড়ো।
সে নানা সুরের ওস্তাদীতে বহুত কিনা দড়।
রেওয়াজ যে তার দিন দুপুরে এই তো সঠিক সময়;
কাক কোকিলে টের পাবে না ভুল না হবে লয়।
এই করে তার দিন তো কাটে,
খুড়ো বের হয় হাটে মাঠে
একদিন এক পাড়ার মোড়ল বললে খুড়োয় ডেকে,
এমন গান তো শুনতে হবে জমাট আসরেতে।
নন্দী খুড়ো বেজায় খুশী গানের বরাত পেয়ে;
দিবা নিদ্রায় মগ্ন খুড়ো, হঠাৎ কানে আসে,
নন্দী খুড়ো গাইবে গজল এক্কেবারে, শেষ রাতে
গণ্যমান্য মানুষ জন সব এসে হাজির সভায়,
বলাবলি করছে লোকে নন্দী খুড়ো কোথায়!
বললে হবে নন্দী খুড়ো পেটের ব্যথায় মরে,
সন্ধে গিয়ে রাত গড়ালো পড়ল কম্পজ্বরে।
লোকজন সব বলছে সবে খুড়োয় ধরে নিয়ে আয়;
ফাজলামি সব বন্ধ হবে, দিতে হবে ধোলাই!
খবর পেয়ে পালায় খুড়ো সদর দরজা দিয়ে
খপাস করে ধরলে চেপে খুড়োর নাগাল পেয়ে।
কি আর হবে, খুড়ো ভায়া জুতোর মালা গলে,
ঘুরল রাতে পাড়াটাময় ভাসে চোখের জলে।