অমলকান্তি রোদ্দুর হতে চেয়েছিলো,
নচিকেতা ভবঘুরে হতে। আমাদের তথাকথিত সভ্য সমাজ পাতি ভাষায় এই চাওয়া গুলোকে পাগলামি বলে।
তাই আমরা না চাইলেও জোর করে ততটুকু শিক্ষিত হই যতটুকু হলে অন্তত একটা চাকরি পাওয়া যায়। যাদের টাকা আছে তারা ধরে ধরে ছেলে মেয়েদের ডাক্তার , ইন্জিয়ার, নিদেন পক্ষে উকিল। সেসব না হলে , হোটেল, গাড়ি, ব্যবসা
মানেটা হল তোমাকে এমন কিছু হতেই হবে যাতে টাকা আসে।
যারা ভবঘুরে হতে চায়, যারা রোদ্দুর হতে চায় তাদের কোনও জীবন বোধ নেই। তারা জানেইনা সোসাইটি কাকে বলে , স্ট্যাটাস কাকে বলে। কাজেই তারা যে পাগল এটা প্রমাণ করার দরকার ই পড়ে না।
এরপরও কেউ বাঁশি নিয়ে বসে থাকে নদীর ঘাটে, বলে আমি একটা ব্যান্ড বানাবো আমার ইঞ্জিনিয়ারিং ভালো লাগে না। এরপরেও কেউ একজন ডায়েরি নিয়ে কবিতা লিখতে বসে বলে ওই ঘড়ি বাঁধা চাকরি আমার দ্বারা হবে না আমি টোটো ফোটো চালিয়ে কোনোওরকম জীবন কাটিয়ে নেবো কিন্তু আমার খুব ইচ্ছে ওই বাঁশিওয়ালা ছেলেটার জন্য একটা গান লিখবো।
এরা সব পাগলই তো
আর এদের পাগলামি সারাতে গিয়ে প্রতিদিন খুন করা হয় হাজার প্রতিভা।
তারপরও কিন্তু অমলকান্তিরা জন্মে যায় , রোদ্দুর হতে চায় , তারপর কোথায় হারিয়ে যায়। জানি কেউ বিশ্বাস করবে না আমি কিন্তু বিশ্বাস করি ও রোদ্দুর হয়েছে তাই তো আর চেনা যাচ্ছে না।