আমাদের বাড়ি একটা এঁদো গলির মুখে। গলির মুখে কুকুর ঠ্যাং তুলে মোতে আর হাগেও। বেশ কিছু পাবলিক থুতু ফ্যালে, নাক ঝাড়ে, পেচ্ছাব করে। আমরা দক্ষিনের দরজা-জানালা বন্ধ রেখে উত্তরের সরু গলি দিয়ে যাতায়াত করি। অথচ সকলেই দক্ষিন খোলা চায়। আমার বাবা রিটায়ার্ড শিক্ষক। বাবা গলির দু’পাশে একটা একটা করে গাছের চারা বসাল। বাবার অবসর জীবনে একটা এমন কাজ এসে গেল যে বাবা তাতে বিভোর। গাছ গুলোর পরিচর্যায় বাবা এতটাই আন্তরিক যে ওই গাছগুলো তরতরিয়ে বেড়ে উঠল। এখন আমাদের গলিতে আশ্চর্য সুন্দর ফুল ফুটেছে। প্রতিদিন কত কত প্রজাপতি মৌমাছি ম-ম করে। এখানে এখন মানুষ কেন কুকুরও ভুল করে…।
আমার বাবা কোনোদিনও কোনও মন্দিরে যায়নি। কখনো কোনো দেবতার সামনে হাত জোড় করেনি। ‘বাবা এখন নিজেই ঈশ্বর।’