মেহেফিল -এ- শায়র জহির হাসান
by
TechTouch Talk
·
Published
· Updated
বাল্য সখী
সজনে গাছে রাত জাগা পাখির রব
জঙ্গলে ঢাকা পড়ি গেছে
চন্ডী মন্ডপ।
ও শ্যামা ঘাস কও দিনি ও টোকা পোনা
ভোর বেলাটি ঘুম ভাঙানি চাঁদ-ছেনা।
বৃষ্টি কণার নাম রাখি দিই কুলসুম
ঝড়ের লগে ঢুকি ঘরে ভাঙায় ঘুম।
বাল্য সখী ও কুলসুম বসত মেঘে
তোর ছাগল চরাই আমি কোন আবেগে!
প্রত্যাবর্তনের লজ্জা
(কবি আল মাহমুদ কে)
ভাইয়ের ডাক শুনি উঠি রাত দুপুরে স্বপ্নের ভিতর। যেন
বাতাসের ডাক শুনি ঢেউ উঠে তৎপর।
দেখি আব্বা আগেই উঠছেন, নিজ হাতে আতা ফল, গাছ পাকা তরমুজ
পরম আদরে ছেনি দিই কাটি কাটি ফালি ফালি করি খাওয়াইতেছেন,
খা, আহারে কতদিন খাস নাই!
আম্মা তজবিহ হাতে এক হাতে ভাইরে বাতাস করতেছে, আয়েশা ফুল তোলা
একটা রুমাল দিই কইলো, এইটা দিয়া মুখ মুইছো, মাথা মুইছো, চোখের কান্দন মুইছো না গো ভাই!
অথচ ভাই মারা গেছে তার চল্লিশাও পার হয় নাই। উনি কবরতে উঠি আসছেন, উনার চোখ দুইটা
তারার নিভুনিভু, এট্টু সর্দি লাগছে ক্যাল, ভাই হাঁকি কইলো, বকনা বাছুরটারে থেতের আইলে
বান্ধিলি অইডাতো দড়ি ছিড়ি সব পাকা ধান সাবাড় করবে নে!
আম্মা কান্দে আর ইশারা করে, ঠোঁট টিপে আঙুলে. কন, একদম চুপ!
ভাই যে মারা গেল শুক্রবার, ভাই নিজেই জানে না!
তাই আমাদের সংসারে কাঁঠাল পাতার নারকেল ছায়ার লোভে
পড়ি ঝোঁকে ঝোঁকে আইস্যে আগের মতো ধমক দিতেছে আমাদের সংসারে
জায়গা মতো, আব্বা কইলেন, খবরদার তোরা চুপ থাক,
ও যেন না জানে পাছে, ও মরি গেছে, পাছে বেচারা কষ্ট পাবে!