• Uncategorized
  • 0

ওপার বাংলা – কবিতায় ওমর ফারুক জীবন

আলোর সুড়ঙ্গ

আলোর সুড়ঙ্গ বেয়ে ঢুকে যাচ্ছে অসংখ্য
কীট।
আর তারা প্রসারিত হয়ে যাচ্ছে
এবং বিস্তৃত হচ্ছে
দ্যুতি ও ডানা।
লালা থেকে আরও পতঙ্গ
আলোকিত মথ মিথ হয়ে যাচ্ছে দিগ্বিদিক।
এইসব আলোর মৌ জমতে জমতে
সুড়ঙ্গ ভরে উঠছে মৌতাতে,
এত স্ফীত আলো স্নিগ্ধ আলোয়,
সুড়ঙ্গ ভরে উঠছে মধু ও মৌচাকে।

পাথরের স্বপ্নের ভিতর সারি সারি ঘুমন্ত ভাস্কর্য

যতবারই বুঝতে যাই ততোবার বিপাকে পড়ি। ধাঁধাঁর ভিতর
ঘোরের ভিতর হয় তন্দ্রাচ্ছন্নতায় চমকে চমকে উঠি, নয়তো
ঘুমের ভিতর বহুতল ভবন থেকে ছিটকে পড়ে গিয়ে মুহূর্তেই
স্থির হয়ে যাই। সংজ্ঞা খুঁজতে গিয়ে মূর্ছা যাই আর পড়ে যেতে
যেতে আচানক দাঁড়িয়ে পড়ি কোন খাদের কিনারে। তোমাকে
পোশাক পরাই, তার আগে তুমিতো বে-আব্রু ছিলে না, ভাষা
দিই অথচ তার আগে নির্বাকও ছিলেনা, অলঙ্কারে সজ্জিত
করি, দূর্বোধ্য অবোধ্য করে তুলি, সবই ক্লিশে হয়ে পড়ে
তোমার আব্রু ও সমস্ত অঙ্গসজ্জার কাছে। তার চেয়ে
বে-আব্রুই ভাল, সারল্যেই ভাল, ভণিতা ছাড়া, হেঁয়ালি ছাড়া
মুহূর্তের আহ্বানে মিশে যাওয়া যায়, একাত্ম হওয়া যায়।
তুমিতো তুমিই, ভাষা থেকে ভাষান্তরে ঘুরে বেড়াও অথচ
তোমার কোনই অনুবাদ নেই, বাদানুবাদ নেই ।
কোন ভাষা নেই, নির্বাকও নও। হাওয়ায় ভেসে থাকো, ধুলার
ঘূর্ণির ভিতর চক্রাকারে ঘুরতে ঘুরতে মিশে যাও ধুলার প্রান্তে,
গুমোট বাতাসে জানুপেতে বসে থাকো, ফুলের রূপে ও ঘ্রাণে,
কাঁটার শূল ও মহুলের ঘোর আর মেঘ বৃষ্টির রহস্যের ভিতর
তুমি যেন রস্যঘন দিকচক্রবাল। তবু নদীর নিতম্ব জলের
লাবণ্যে, উৎস ও উৎসারণের তুমি তৃষিত জলদি। মৃগনাভির
ঘ্রাণ। পাথরের স্বপ্নের ভিতর সারি সারি ঘুমন্ত ভাস্কর্য ..
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।