T3 || ১লা বৈশাখ || বিশেষ সংখ্যায় অসীম মজুমদার

চৈতী ব্যাকুলতা

দুহাত বাড়িয়ে শিশিরে ভিজে ঘাস ছুঁতে ছুঁতে হঠাৎই রোদের স্পর্শ পেলাম।
বেলা শেষ পলাশবনে লুকোনো শরীর হয়ে দাঁড়িয়ে আমি একাকী!
পুবের ছায়াবনে একটা আশ্রয় খোঁজা পরবাসী যাযাবরের ,
বারবার ঘরে ফেরার সে এক আকুল আকুতি।
কংক্রীটের অরণ্যে ঘেরা হলদে বালুকায় শুষ্ক ক্ষুধার্ত আমি !
অনাহারি সকাল,উপোষী দুপুর স্বপ্নভাঙা নিশিযাপন।
একদিন তুমিই কিন্তু আমায় বলেছিলে-
আমায় দর্শন করার জন্যই বুভুক্ষু তোমার দুনয়ন!
আমার ঠোঁটের স্পর্শই তোমার একমাত্র ক্ষুধা নিবারন।
আমার খোলা পিঠেই তুমি আঁকতে চেয়েছিলে বঙ্গভূমির মানচিত্র ।
আমার উন্মুক্ত বাহুর প্রতিটি শিরা-উপশিরায় তুমি খুঁজে পাও তৃষাতুর চৈত্রকে।
আমিও পলাশ শিমূল কৃষ্ণচূড়ার মাঝে খুঁজেছি তোমায় পাগলের মতো।
নিজের শহরে আমি যেন এক যাযাবর, আমি যেন কোনো অনাহুত আগন্তুক!
এস্থান থেকে ওইস্থান ছুটতে ছুটতে সারা শরীরে দূষণে মাখামাখি,
এই দুষণে ভিজতে ভিজতে কখন যেন আমি অচেতন হলাম তোমার হলুদ ছায়াপথে।
তোমাকে দেখতে চেয়েছিলাম কিন্তু আমাদের দেখা হয়নি –
শুধুই অভিমানী নদীর অভিসারি জলে অনুভবের প্রখর রোদে।
চৈতী হাওয়ায় আসবে কি ফিরে সেই ফিরে না পাওয়া সময়গুলো?

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।