কবিতায় উৎপলেন্দু দাস

তখন

একটি শব বহনকারী গাড়ি চুপচাপ দাঁড়িয়ে সরু গলিতে
কৌতুহলী প্রতিবেশীরা সোফা টিভি ছেড়ে উপস্থিত বারান্দায়
ক্ষণিকের দাক্ষিণ্য কারুণ্য দেখিয়ে।

তিনটি হেলমেট বিহীন ছেলে বাইকে তখন
পাশ দিয়ে যেতে যেতে বললো
যাঃ বাবা!! কে আবার ফুটে গেল!!

যে কবি প্রেমের কবিতা লিখছিলেন
যে লেখক ব্যস্ত ছিলেন জমজমাট থ্রিলার লিখতে
যে পাঠক সমালোচক বুদ্ধিজীবীরা ভাবছিলেন
মৃত্যুর অনিবার্যতা বিষয়ে,
ভীষণ বিরক্ত হলেন সবাই হঠাৎ তীক্ষ্ণ সাইরেন শুনে;
একটা অ্যাম্বুলেন্স ঢুকছিল তখন
নীরবতা ভেঙে শুনশান পাড়ায়
একটি হঠাৎ অজ্ঞান যুবককে নিয়ে যেতে হাসপাতালে।

তখন একজোড়া যুবক যুবতী মগ্ন ছিল নিজস্বী তোলায়
একজন গুরু শিষ্য শিষ্যাদের বলছিলেন ত্রিগুণাতীত হতে।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *