সাতে পাঁচে কবিতায় উত্তীয় চ্যাটার্জী

সন্ধ্যে নামে

সন্ধ্যে নামে পরিযায়ী সম্পর্কের ব্যালকনিতে,
গোধূলির উপত্যকা ছুঁয়ে গেছে আধোচেনা সোহাগ বাসর।
এক তোরঙ্গ কাহিনী তখনো লুকোচ্ছে
নিজেকে ছদ্মবেশী আঁজলায়।
কবিতার আকাশ ঘিরে ফেলেছে অর্ধদগ্ধ যন্ত্রণার মিছিল।
বাইরে তখন মম করছে স্তব্ধতার উৎকট গন্ধ,
ভিতরে যখন হঠাৎ জারি কারফিউ।
জাহাজী হাওয়ার লাশগুলো ঘরবন্দী
কুয়াশার স্নানে মজেছে, হাত ছাড়িয়ে পালানো গল্পগুচ্ছ।
এই বসন্তেও বাড়ছে অবুঝ ক্ষতের মাঠ,
ঝগড়াঝাঁটির পাল্লা অঙ্কে বাড়ে।
মনের ঘরে জমছে নির্বাসনের মরা আকর্ষ,
দর্জির কাঁচি চলে ব্যথার ছিটমহলে।
সন্ধ্যে পেরোয়, রাত্রি আসে ক্লান্ত পায়ে,
নিস্তব্ধ রাত্রির বুক ছুঁয়ে নামে
দুর্ঘটনার হিমশীতল বাষ্প,
পায়ের পাতায় হাত বোলায় মৃত হাওয়ারা।
চামড়ার রঙে মিশে গেছে নিস্পন্দতার পরত,
হাতের শিরা বেয়ে  চুঁইয়ে চুঁইয়ে পড়ে
ফোঁটা ফোঁটা শেষ উপসংহার…
Spread the love

You may also like...

error: Content is protected !!