সাপ্তাহিক ধারাবাহিকে তুলি রায় (পর্ব – ২)

নামকরণ
প্রখর আলোর সামনে এসে দাঁড়াইলে নিজ ক্ষুদ্র আলোগুলি ম্লান হইয়া যায়। পায়েপায়ে সমুদ্র আসিয়া দাঁড়াইলে নিজ অস্তিত্ব প্রকট হয়। আমার একবিন্দু জল লইয়া এযাবৎ যত অহংকার করিয়াছি তাহা যে কিছুই নহে তাহা বলিবার আবশ্যক আছে বৈকি! এই যে অপার জলরাশি তাহা কখনও চপলা তরুণীর মতো চঞ্চল, কখনও গর্ভিণী ফুলের মতো রক্তাভ। কখনও বা ধীর লয়ে আবর্তিত মধ্যবর্তিনী। সর্পিল গতিতে সে যখন ফুঁসিয়া ওঠে সর্বশক্তি লইয়া, যেন মহারণ আগত। এসব দেখিতে দেখিতে যেন মনে হয় এই যে পরিবর্তন – এতো সর্বত্র। আকাশ-বাতাস-জল- সবই তো আবর্তিত হইতেছে ঋতু অনুসারে। এবং হইাতে ঋতু অনুসারে তাহারা পরিবর্তিত হইতেছে নাকি তাহারাই তাকে(ঋতু) নিয়ন্ত্রিত করিতেছে!
একাকী জানালা-টি ধ্রুবক হইলে তাহার বিপরীতে যাহা আছে তাহা সবই একা বরং সমষ্টিগত ভাবে একা তাহার সকল উপকরণ সহ। কেন্দ্র ধরিয়া ঘুরিতেছে নিজ কক্ষপথে…