আমি ঠিক খাতা খুলবার মুহূর্তটায়
ক্লায়েন্ট ফোন করে জানতে চাইল – “লেখা হয়েছে?”
অথচ তখনও একটাও শব্দ জন্মায়নি
এবং শীতের স্বাভাবিক “রতির্যা সঙ্গমাৎ পূর্বং” পূর্বরাগ :
এইমাত্র জানলা বন্ধ করলাম। যেটুকু শব্দ এলো
তা ফোনে বলা যায় না বলে ফোন কেটে দিলাম।
ফিরতি ফোনে ক্লায়েন্ট মনে করিয়ে দিচ্ছিল ডেডলাইনের কথা
আর আমি আপাততঃ ভাবছি মৃত্যু কতটা বধির হতে পারে…
২।
বৃষ্টি যেমন থেমে আসে — অথচ তুমি এক আধমরা হাঁস হয়ে থাকো। জলে ভাসে পালকটুকু, তার রঙ ও বিরাগ। তুমি বিরাগী ঠোঁট ডুবিয়ে মুক্তো তুলে আনো। বাহুল্যবোধে শরীর ভাসিয়ে দাও যে দরিয়ায় তার তল নেই।
তুমি সে অতলের রানী
ভেসে যাওয়া দারুব্রম্ভে আগুন লাগাও মাঝরাতে…
৩।
দুপুর। মেঘ। বসন্ত। ওড়ানো ঘুড়ির ফাঁকে পলাশের রঙমিলান্তি :
অপরিচিতের সাথে সঙ্গমের মতো অবৈধ সুখ
“অ-বৈধ” — ঠিক এভাবেই স্বর্গ লেখা হয়
৪।
আগুনে হাত রাখুন। রাখা প্র্যাকটিস করুন। দেখবেন একসময় তাপ সয়ে যাবে। গলতে থাকা মাংসপোড়া গন্ধও।
আপনার ভয় পাশ ফিরে শোবে এইসময়। তার গায়ে পোড়া হাত রাখলে দেখবেন, সে আর একটুও চমকাচ্ছে না। অনেক আগে থেকেই তার এই অভ্যেস, শুধু আপনি জানতেন না।
না জানার ফল হিসেবে এতদিন দাবার বোড়ের মতো এগিয়েছেন এবং মন্ত্রী, গজ, সকলে মিলে ব্যঙ্গ করে গেছে। আপনি সয়েছেন স্বাভাবিক। তেমনই অভ্যাস।
আজ দাবার ছকে আগুন নিয়ে আপনি দাঁড়ালে দেখবেন পিছনে সরে গেছে সবাই। আপনি একা। অথচ আরও আগে আপনার এই মশাল তোলার কথা ছিল। সেদিন আপনার পাশাপাশি ভয় এসে হাত ধরেছিল — “থাক, বাড়ি চল…”
আজ মশাল নিন। দেখবেন আপনার ভয় বদলাতে বদলাতে ক্রমে জননী থেকে সন্তানসম্ভবা — আগুনের সন্তান …