অণুগল্পে তুলসী কর্মকার

অবাধ্য মন

স্বপ্ন দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়েছি। ভার্চুয়াল ভালো লাগে না আর। একটু রোদ মেখে নেওয়া যাক। চামড়ার সাদা ভাপ উবে গেলে শক্ত বাস্তব। ঘামের গন্ধ। মুখে ব্রোনোর ছোপ। খামাছির সড়সড়। সংসারের অনটন। ঋতুর দাগ। আয়না আর দেখতে ইচ্ছে করে না। মেয়েটা বলে পক্ষিরাজ ঘোড়া কিনে দিতে। এসব যে রূপকথা জানেনি এখনো। শরৎকাল। ডালে শিউলিফুল। মেঘ পরিষ্কার কই! বড্ড অসময়। পাশের ঘরের মদ্দটা কলতলায় বলেছিল “তোমার বুকের দুটো বেশ বড়”। জুতো খুলে দেখাতেই আর কোনদিন আমার দিকে তাকায় না। এখন ইচ্ছে করেই বুক আলগোছা রাখি। কেউ তো দেখুক। স্বামী আজকাল তেমন মজা পায় না। পা ফাঁক করে হপর ঢপর। তারপর মেয়ে বড় হচ্ছে। যদি জেগে যায়। সিরিয়ালে সুন্দর সাজ, একাধিক প্রেম, রং করা মুখ, ধপধপে চামড়া দেখতে দেখতে ইচ্ছে করে। বর বলে বয়স বাড়ছে। মরে যাই মরে যাই জ্ঞানের যা ঢং। জামাই দা মাঝে মাঝে ফোন করে রসের কথা বলে। ভিতর কেমন শিরশির করে। বর না থাকলে বিছানায় শুয়ে ছটপট করি। দিদিটা বোধহয় সুখে আছে। খাওয়া দাওয়া জামাপ্যান্ট ঠিকঠাক পেলেই ছোটবেলায় সুখ হতো এখন আর তা হয় না। গেল পুজোয় ২৪ বছরের একটা ঘোড়া এসেছিল সিঁদুর নিয়ে। পাড়ার সম্পর্কে নাতজামাই। যেখানে খুশি মাখালো বাধা দিইনি ভালো লাগছিল। মিষ্টি খাওয়াতে এসে ছোঁড়াটা বলল “ডার্লিং উফ কি নরম!” আজও ভেবে ভেবে স্বপ্ন দেখি। এসব কথা কাকে বলি কোথায় লিখি লজ্জা হয়। রবি ঠাকুর ঠিক বুঝেছিলেন “গোপন কথাটি রবে না গোপনে”
Spread the love

You may also like...

error: Content is protected !!