বসুন্ধরা রান্না করে
একই মেনু টানা একশ বছর
স্বাদ আর জীবিত নেই
সুখাদ্য অখাদ্য কুখাদ্য সমতায়
খিদে পায়
জোর করে খেতে হয়
বসুন্ধরা বিয়ে করে
লিমিটেড দুঃখ সুখ
আমোদ আহ্লাদ উত্তেজনা শিথিল
বুঝে যায় সমতা চাইতে গিয়ে বিভ্রাট
পাপ নয় যত উত্তাপ অনুতাপ কক্ষপথে ঘুমিয়ে আছে
৩| সন্ধি
শ্রীনগর থেকে সন্ধিপুর রাস্তাটি অত্যন্ত অভদ্র। মাঝে মাঝে কতগুলো স্পিড বেকার দাঁত বের করে বসে আছে। খানা খন্দ পেরিয়ে সন্ধিতে পৌঁছাতে শ্রী বিশ্রী হয়ে যায়। কে বা কারা কেন এমন কারুকে মর্যাদা দেয় জানা নেই। পথ চলতে চলতে নাকাল হতে হয়। রাস্তার মাঝে পাথর কাঠ রেখে ধান খড় শুকাতে দেওয়া। পথিক না চালক কে বেশি খুশি বলা দুষ্কর তবে দর্শক চালক ব্যাপারটা উপভোগ করেন। ব্রেক দাবানোর সাথে সাথে শরীরের ঝাঁকুনি। গাড়ির তলায় ধড়াস করে লেগে যাওয়া। সত্যি কথা বলতে কে কাকে সাবধানতা শেখাচ্ছে প্রশ্ন থেকে যায়।
একই নিয়মে জীবন বয়ে চলে। শ্রী কে খুঁজতে সন্ধি করতে হয় তারপর শ্রী হারিয়ে বিশ্রী হতে পারে। খানা খন্দ স্পিড বেকার জীবনের অঙ্গ। আপোষ ছাড়া পথ নেই।
জিটি রোড নেই এমনটা নয়। সরকারি চাকরি। দশটা চারটের যাপন। মাস মাইনে। তবু্ বেসামাল হয়। কারণ খুঁজতে থাকে জীবন..……
৪| ইছামতী জলধার
কিছু বাষ্প সান্দ্র হচ্ছে সংশক্তি বলে আকার নিচ্ছে
রাত নামছে অস্পষ্ট পথ শক্ত প্রবাহ ধারা হয়ে বইছে
দুটি পাড় মাঝে গর্ত ধাক্কা দিতে দিতে এগিয়ে চলেছে
নিজস্ব ঢং আবেগ উচ্ছ্বাস চলাৎ ছলে
আঘাতে আঘাতে কিনারা ক্ষতবিক্ষত
ক্রমশ বেধ বেড়ে যায় পৃষ্ঠটান কমে শান্ত হয় প্রবাহ
আসঞ্জনে ভেসে উঠে দ্বীপ