সাপ্তাহিক ধারাসম্পাতে সিদ্ধার্থ সিংহ (পর্ব – ৩৬)
কেমিক্যাল বিভ্রাট
পদবির দরকার ছিল ঠিকই। কিন্তু পরের দিকে এই পদবিই মানুষের মধ্যে নানা রকম বিভেদের সৃষ্টি করতে লাগল। শুরু হয়ে গেল জাত-পাতের বিভেদ এবং বিরোধ।
শহরের মধ্যে খুব একটা না হলেও গ্রাম এবং গ্রামান্তরে কিন্তু এখনও, এই এত বছর পরেও, এর প্রভাব প্রচুর। এক জাতের লোক অন্য জাতের কুঁয়ো থেকে খাওয়ার জল নিতে পারেন না। এক জাতের লোক আর এক জাতকে সহ্য করতে পারেন না।
আর এই বিরোধের মূলই হল— পদবি। তা হলে কি এই পদবি তুলে দেওয়ার পেছনে আসল উদ্দেশ্য অন্য কিছু? জাত-পাতের বিরোধ দূর করা? মানুষের সঙ্গে মানুষের মানবিক সম্পর্ক আরও মজবুত করা? হ্যাঁ, আমরা যখন মিলেমিশে একসঙ্গে আছি, তখন পৃথিবীতে তো একটাই জাত হওয়া উচিত, নাকি? আর সেটা হল, মনুষ্য-জাতি।
কিন্তু হঠাৎ করে কী এমন ঘটল যে, এত দিন ধরে তিল তিল করে গড়ে ওঠা এই পদবি ব্যবহারের চল, এক রাতের মধ্যেই উধাও হয়ে গেল!
তবে কি এটাও তাঁর স্বামীর কথা অনুযায়ী সেই কেমিক্যাল বিভ্রাটেরই ফল! কে জানে!
না, এ নিয়ে আর ভাবা যাবে না। ওই তো ঘণ্টা পড়ার শব্দ। তার মানে দ্বিতীয় পিরিয়ড শেষ হয়ে গেছে। এখন তাঁকে ফের ক্লাস নিতে যেতে হবে। তৃতীয় পিরিয়ডের ক্লাস।