সাপ্তাহিক ধারাসম্পাতে সিদ্ধার্থ সিংহ (পর্ব – ৪৬)

দেবমাল্য

— কীসের আবার? তুমি যেগুলো এনেছ।

— আমি তো কোনও লাগেজ আনিনি।

— সে কী!

তানিয়া বলল, তুমি পছন্দ করো না বলে আমি একটা স্যুটকেসও আনিনি। দুটো শাড়ি, সায়া, ব্লাউজ হাত-ব্যাগে করে নিয়ে এসেছি।

— ও।

— স্টেশন থেকে বেরিয়ে দেখি সামনে সার সার অটো-ট্রেকার দাঁড়িয়ে আছে। ওদিকে দু’-তিনটে গাড়ি। যখন ভাবছি, কীসে করে এখানে আসব। তখন হঠাৎ দেখি, ট্রেনে আমি যে সিটে বসেছিলাম, তার বাঁদিকে ছ’টা সিটের যে খোপ ছিল, তাতে দু’জন ভদ্রমহিলা বসে ছিলেন। তাঁরা একটা জিপে উঠছেন। আমাকে ওভাবে এদিকে ওদিকে তাকাতে দেখে ওঁরা জিজ্ঞেস করলেন, কোথায় যাবেন? আমি বললাম, দৌলতাবাদ। ওঁরা বললেন, আমরাও তো ওখানে যাচ্ছি, চলে আসুন।

— বোরখা পরা? ওরা কারা?

— নাম তো জানি না। তবে আসতে আসতে শুনলাম, ওঁরা নাকি এখানে একটা মিশনারি চালান। ছোট বাচ্চাদের জন্য একটা অনাথ আশ্রমও করেছেন। যেখানে চিকিৎসার তেমন কোনও সুযোগ-সুবিধে নেই, সেই সব গ্রামে মেডিকেল টিম নিয়ে যান। মানে স্বেচ্ছাসেবী কর্মী আর কী… এই রে, দেখেছ, একদম ভুলে গেছি।

— কী?

— ওরা যাওয়ার সময় বললেন, নীচ থেকে হাত দেখাবেন…

— কখন?

— এই তো ওঁরা বেরোলেন।

দেবমাল্য অবাক হয়ে বলল, ওঁরা এখানে এসেছিলেন?

— হ্যাঁ, ওঁরা না বললে রিসেপশন থেকে আমাকে এই ঘরের চাবি দিত নাকি?

— কেন? আমি তো কালকেই ওদের বলে রেখেছিলাম আমার স্ত্রী আসবে।

— বলেছিলে। সেটা এখানে এসে আমি শুনেছি। কিন্তু তুমি তো ছিলে না। আমিই যে তোমার স্ত্রী ওরা সেটা জানবে কী করে?

— তাই? ওঁরা বলতেই দিয়ে দিল?

Spread the love

You may also like...

error: Content is protected !!