ধারাবাহিক ভ্রমণ সিরিজে শতদ্রু ঋক সেন – ৯৬

ফেরা

১৭ই জুন, শুক্রবার। আমার শোবার ঘরের অবস্থা লন্ডভন্ড। মেঝেতে শতাব্দী বসে, একটা রুকস্যাক, আরেকটা বড়ো ট্রলি নিয়ে। খাটের উপর আমি, ফোনে অনিন্দিতা। কোনটা নেবো, কোনটা ছাড়বো, বুঝতে পারছি না। এই নয় যে তিনজন আগে বেড়াতে যাইনি, তিনজনেই ভেটারেন ট্র্যাভেলার। অনিন্দিতা আবার তার আগের বছর গ্রীস ঘুরে এসেছে। তাও কিছু মিলছে না।
অবশেষে রাত দুটো নাগাদ শুতে যাওয়া হলো। ভোর সাতটায় শতাব্দীর ঠেলা খেয়ে ঘুম চটলো।
তিন প্যাকেট সেফটি পিন, আর কাপড় কাচার গুঁড়ো সাবান লাগবে। আর হ্যাঁ, শ্বাসকষ্ট কমানোর জন্য কোকা ৬।
কোকা ৬ লাগবে কেনো? আমরা তো অ্যালোপ্যাথি ওষুধ নিয়েছি।
না, নিয়ে রাখা ভালো।
অগত্যা। ল্যাদ সরিয়ে উঠি। বাজার থেকে সব গুছিয়ে আনি। বাড়ি ঢুকে দেখি, শতাব্দী কাকা কাকিমাকে প্রনাম করে রেডি, অফিস যাবে।
টাইমলি চলে আসবে।
সে বেড়িয়ে যায়।
আমি ঘরে বসে ভাবি। আর কতক্ষণ?
ফোন বাজে। ও প্রান্তে আমার এক পরিচিত দাদা মৃন্ময়।
হ্যাঁ দাদা বলো।
ভাই স্টেটাস দেখলাম লাদাখ যাচ্ছিস।
হ্যাঁ। কেন?
শোন। আমরাও যাবো। তোরা ফেরার পরেই। ডিটেইলস চাই।
ওকে দাদা।
লাভ ইউ ভাই।

ছোটমার হাজার অনুরোধেও লাঞ্চ খেলাম না। শিয়ালদহ ক্যান্টিনে খাবো। দুটো বাজে। উবের বুক করি। ছোটো বোনটিকে জড়িয়ে ধরে আদর করি।
বাবা মাকে দেখবি কেমন?
হ্যাঁ আআআ।।
গাড়ি আসে। শতাব্দীকে অফিস থেকে তুলি। গন্তব্য শিয়ালদহ। অনি সেখানেই আসবে।।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।