ধারাবাহিক ভ্রমণ সিরিজে শতদ্রু ঋক সেন – ১১২

ফেরা

সে ছবি তুলেছে তুলুক, আমার আর অনির হাল টাইট। বিছানা ছেড়ে ওঠার কোনো ইচ্ছাই নেই আর। পড়ে আছি তো পড়েই আছি।
বেলা বাড়ে। এদিকে সন্ধ্যা হয় দেরীতে। খানিক পরেই ঘরে আসেন ক্যাম্পের কুক।
বোলিয়ে আপ লোগো কো ক্যা খানা হ্যায়।
আর খানা। খাবার ইচ্ছাটাই তো চলে গেছে তখন। লেপ থাকে ঘাড় বের করে বলি- স্রিফ চাউল, ডাল আউর আলু চোখা।
ব্যস!! ইতনাহি। নেহী নেহী আপলোগ মেহমান হো।
আর দুত্তোর মেহমান। তখন খালি ভাবছি, কখন কাল সকাল হবে, আর লেহ র দিকে পালাবো।
অনেক কষ্টে কুক কে বোঝানো হয়। উনি শেষ মেষ ভাত ডাল আলুচোখাতে রাজি হয়ে যান। আর সাথে স্যালাড। খাওয়ার দাম শুনি টেন্ট ভাড়ার সাথেই ইনক্লুসিভ। টোটাল ভাড়া ১৬০০. বেশ সস্তা।
এদিকে আরেকটা বিপদ ঘনিয়ে এলো। শতাব্দী এতোক্ষণ ঠিক ছিলো, একবার বাথরুম থেকে পেট পরিষ্কার করে আসার পর সেও আমার আর অনির মতো কেলিয়ে পড়লো। তার মানে এতোক্ষণ তাকে তার পেট গরম বাঁচিয়ে দিচ্ছিলো। এবার পেট পরিষ্কার হয়ে তার ও সেম হাল।
কতো আশা ছিলো, সারচুতে পাহাড়ের প্রেক্ষাপটে সূর্য ডোবা দেখবো। সূর্য ডুবলো ঠিক, কিন্তু আমাদের বিছানা ছেড়ে ওঠার মতো অবস্থা হলো না।

Spread the love

You may also like...

error: Content is protected !!