সাপ্তাহিক ধারাবাহিক উপন্যাসে অভিজিৎ চৌধুরী (পর্ব – ৭২)

ফেরা

আসলে মাঝি গেল বিবিকে খবর দিতে আর বাড়িতে তেল, আনাজ, মশলা ইত্যাদি আছে কিনা খোঁজ নিতে ।
নদীকে একা করে নিয়ে শেয়াল তার দলবল নিয়ে বলল,
তুমি কিছু বলো ।
নদী অনেক রাতে ঘুমোয়, মানুষ পারাপার করে বহু রাত অবধি । সূর্যের আলো নদীর বুকে পড়লে তবে সে জাগে ।
ঘুম জড়ানো গলায় নদী বলল,
এখনও আমার চোখে গভীর ঘুমের আবেশ, তুমি পরে এসো ।
চতুর শেয়াল তার দলবল নিয়ে নদীকে কাতুকুতু দিতে থাকল । নদী তখন আর পারল না, খিলখিল করে হেসে উঠল ।
বলল, কি বলছ!
টিকটিকি নন্দ-মাস্টারের সাহায্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করছে ।
নদী বলল, ভালো তো ।
তোমাকে ডেকেছিল !
পেঁচার হাঁক শুনেছি, তবে কাঁচা ঘুম ভেঙে যেতে ইচ্ছে করল না ।
ওদিকে সব্বোনাশ হয়ে গেল যে । শেয়াল বলল ।
তুমি হুলোকে খুন করলে কেন !
শেয়াল মাথা নীচু করে বলল –
সে কিছুতেই আমার কথা শুনছিল না ।
তবে তুমি তো একদিন আমারও ক্ষতি করতে পার ! বলেই নদী গর্জন করে উঠল – যাও ।
নদীর ভৈরবী মূর্তি দেখে শেয়াল ভয় পেয়ে গেল আর শেয়ালের পাল তো আগেই ভয়ে পালিয়ে গেছে ।
টিকটিকির মনোনয়ন নিয়ে কোন সংশয় নেই । বয়সেও সে প্রাপ্ত-বয়স্ক । কেউ বিপক্ষে দাঁড়াতেও চাইছে না কিন্তু নন্দ-স্যার চাইছেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা হোক । গণতন্ত্রের শুভদিক হচ্ছে স্বাস্থ্যকর বিরোধিতা । ক্লাসে যে ছেলেটা প্রথম হয় সেও চাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা । তবে শেয়ালের ঝোঁক ছিল আলাদা । সে বিপথগামী হয়েছে । শোনা যাচ্ছে যে পলাশিপাড়ায় সীমানা ছাড়িয়ে বহরমপুর হয়ে উত্তরবঙ্গ গেছে ।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।