লম্বায় ছ ফুট বাবা। চোখে চৌকোনা কালো ফ্রেমের চশমা। পুরুষ্টু গোঁফ। গোলপানা মুখখানা। পরনে সাদা ঢোলা পাজামা। প্রায় বুকের কাছে তুলে বাঁধা।
পাশে ষোলো বছরের ছোট বোন পাঁচ ফুটিয়া টিনা। পরনে ঢোলা গোল গলা গেঞ্জি আর হাবিলদার মার্কা হাফ প্যান্ট। মোটা চুল দুটো বেনুনি করে টেনে বাঁধা। সে দাদার ডান হাত। সর্বদা পাশে। কে বলবে দুজনের বয়েসের বিশেষ কোন ফারাক আছে।
আজ দু জনেই ধুম ধুম করে জোড়া পায়ে লাফাচ্ছে আর চেঁচাচ্ছে।
টিনা বলছে ;
ইঁদুর ইঁদুর!! বাবা ইঁদুর…
বাবা চেঁচাচ্ছে ঃ
ইঁদুর অশোককাকু!!
মা ঘরের ভেতর মশারির মধ্যে বসে রাগ করতে গিয়েও হেসে কুটিপাটি হয়ে যাচ্ছে।
এদিকে অশোককাকু, পেটানো চেহারা, খাকি হাফপ্যান্ট পড়ে হাতে মোটা লাঠি, কই ইঁদুর বলে চটি ফটফট করে চলে এসেছেন।
ইঁদুর বারান্দার কোনায় কোনঠাসা হয়ে দাঁত বের করছে।
বারান্দার পাশে দাদু দিদার ঘর। জানলা খুলে দিদা বলছেন, অশোক সাবধান, কামড়ায় না জ্যান। কামড়ায় না জ্যান। হাসপাতালের ইন্দুর। ভাল না কিন্তু।
অশোককাকু এক মনে নিশানা স্থির করছেন।