মনের ভেতর ভালোবাসা বাসি হলে,
বাহার যেমন সুর তোলে?
আকাশে আলোর খেলা দেখতে এসে,
মেঘ মল্লার তেমনই বৃষ্টি ছুঁয়ে যায়!
সেকথা তুমি জানলেই না অনিকেত দা।
যদি জানতে হয়তো তুমিও মেঘের আলাপে ভিজতে উদোম,
হয়তো তোমার বুকেও বেজে উঠত বাগেশ্রী অমন করেই।
হয়তো বৃন্দাবনী সারঙ এসে সাজিয়ে দিত তোমার
মনখারাপের রূপোলি দুপুর।
হয়তো অভিমানী ভীমপলশ্রীর মূর্ছনায় ভেসে যেতে আরও কিছুক্ষণ। হয়তো,,,
না,,, সে কথাও বলা হয় নি।
সন্ধ্যায় শ্রী এর সুগন্ধির বৈঠকে মন যখন টলমল, ইমন এসে ভাসিয়ে নিয়ে যায় তোমার কাছে।
গভীর রাতে মালকোষের মূর্ছনায় তুমি যখন ছুঁয়ে ছুঁয়ে বলে যাও নিঃসাড়ে,,
আমি থাকব ঠিক তোমারই।
অনিকেত দা,
সোহিনীর সোহাগে আমি তখন তোমার মতো হয়ে তোমাকে,
আমার মত করেভালোবাসি,
ললিতের আদরে ঘুম ভেঙ্গে যায় ।
দেখি আবার একটা মন খারাপের দিন শুরু হয় সেই ভৈরব রামকেলীর একই মূর্ছনায় ।
এরপর ভেজা চোখে আরও কিছুটা পথ আশাবরীর সঙ্গে এগোতে থাকি,
আহির ভৈরব এসে শুনিয়ে যায় তোমার কথা।
পুরিয়া ধানেশ্রী বেজে চলে মনের গোধূলিতে,
তোমায় ছুঁয়ে দেখি আমার আর দুঃখ নেই,
নেই কোনও অভিমান।
যে কথাটা বলব বলে অপেক্ষায় থাকি,
আর হয় না বলা কিছুতেই।