• Uncategorized
  • 0

T3 || আমি ও রবীন্দ্রনাথ || বিশেষ সংখ্যায় সুপ্রভাত মেট্যা

১| সৌরভের প্রতি

থেমে গেল সৌরভ !
পুষ্পের অহঙ্কার নিভে গিয়ে কালো শোক,থোকা থোকা অন্ধকার….
পৃথিবী ভরিয়ে সবুজদ্বীপের সুখ হারিয়ে গেল কোথায় !
এমন তো হওয়ার ছিলনা অথচ ?
নন্দন চত্বরে, নিত্য নতুন কবিতা স্ফূরণ সন্ধ্যায় তোমার মুখ ঝলমলে,হাস্য মুখর গম্ভীরতায় ফুটে উঠলে ,
কত যে খেলে যেত খুশি !
তুমি কী অগ্নি সৌন্দর্য্যের শিখাদাহে, গলন ঘৃতাহুতির দাউদাউ লিখন সাম্রাজ্যের লেলিহান ওমে কবিতা হয়ে আছো ?

২| কম্প এ শরীর

সময় ফুরিয়ে এসে
কপালে একটা গাঢ় অন্ধকারের রাত্রি ঘনাল।
অমন ফুলবাতির মতো আলো,ফুলকির বয়স তোমার দুপুর আর কী ফিরিবে?ঘন অরন্যের ছায়া বিরল রহস্যকে ঘিরে ঘোর নেমে আসে সময় এখন !
তুমি কী অন্ধ – মুখের উপরে মুখ বসিয়ে আরোগ্য চাইছো ? লাবণ্য অক্ষরের চকচকে শব্দ ও শান্ত গভীরতায় ছন্দ চাইছো জীবনের ?
একটা ঠান্ডা বরফ জ্যোৎস্নার আলো এসে ধুয়ে যাচ্ছে আমাদের কম্প এ শরীর কী ভীষণ !

৩| ভাতের জটিলতা

ক্রমশ জিলিপির প্যাঁচ হয়ে দাঁড়ায় ভাতের জটিলতা ।জ্যামিতিক আকারে ছড়িয়ে পড়ে জীবন । রৌদ্র ও ভাতের দুপুরে , পুড়ে পুড়ে কালো হয়ে আসা আমার মা, একাকী দুঃখ পোয়ান।
অবশ্য তেমন ক্ষুধার আমি, তোমাকে বলিনি।
এখন সে-সব কথা উঠে না আসুক , তোমার উঠোনে গিয়ে আমার পা থেমে যাওয়ার গন্তব্য পর্যন্ত , তুমি বলছ ? বেশ তবে থাক ।
বিরহ কথা আমিও চাইনি।
এখনও পথে, ধুলোর গায়ে, তোমার বাল্য খুশির সাথে দেখা হয় আমার । অমনস্ক কারো পা লেগে গিয়ে বাড়তি প্রনাম উঠে আসে আমার সৌভাগ্য -কপালে এখনও । তবু সান্ধ্য চাঁদ ভেসে উঠলে আমাদের প্রতি অশ্রু – বিনোদন জলে যখন , দেখি, অনন্তের বহুমুখী স্বপ্নের ওপারে আমার নিভৃত দু’চোখ দেখে স্বর্গ – পুস্প – ভোর -আলোর এক নতুন ঠিকানা ।

৪| অস্তিত্ব

একদিন রাতের জমানো কস্ট .
আলো হয়ে ফুটবে তোমার নতুন সকালে । খুলে যাবে পথ।রৌদ্র উঠবে ধুলোর। কেননা ললাট – যাপনে ঐশ্বর্য , সে রাত্রির হলেও মধুর হয় জেনো।
সত্য কথা বলব বলব বলে এখন দেখছি সত্যিই মিথ্যা হয়ে যাচ্ছি , বলা আর হয়না !
এটা ঠিক ভালো কাজের কথা আসেনা,কাউকে দেখেও না দেখার ইশারা জাগিয়ে চলে যাওয়া ।
এখানে জলের অস্তিত্ব চাইলেই জীবন তার চক্ষু দেখিয়ে দেয় । কস্টে বড় হয় মানুষ । সঙ্কটের মুহূর্তকাল এসে ভাসিয়ে দেয় গ্রামীন সংসার । অথচ আমি চেষ্টা করি রোজ। বিশ্ব আশ্চর্যের এক , না-েহলেও ঔদার্য ভরে দিই তোমার চিবুকে ; যেখানে ফুটে উঠবে স্বর্ণ কমল তোমার নিরলস এক সহজতা এবং নতুন কবিতা কিছু । পাতা ভরে উঠবে । কেননা কেবলমাত্র কবিতা লেখার পাতারাই , হাওয়ার ঐশ্বর্যে অজস্র কাঁপন শরীর নিয়েও মানুষের বেঁচে থাকার কথা বলে।

৫| অর্থনীল কবিতাঙ্গন চক্রবর্তী

কবিতা উঠোনে এলে
বসতে দেওয়া তালপাতার চাটায় যেটুকু লাবণ্য ছুঁয়ে আছে আমি তার কথা বলি।বলি এ-আমার মা, গল্পের বিনুনি হাতে আজ আতিথ্যের আলো মাখিয়ে মাখিয়ে ,চকচকে করেছে ।
অনর্থক একটা খুশির হাওয়া দাঁড়িয়ে পড়ল তখনই ;কবিতার ঠোঁট থেকে খসে।
বললাম :হাসছ যে বড় ?
স্নাতকোত্তরের স্নান সেরে উঠে আসা ,দুপুর বয়েসি ,সে বলে ওঠে: ভাত আছে ভাত ?
কতদিন ভাত খাইনি জানো?
থ আমি শুনে —
অর্থনীল কবিতাঙ্গন চক্রবর্তী
ফেলে দেওয়া বাতিল সমগ্রের এক মৃদু আলো ঘরের কলসী থেকে ,আমার মায়ের কাঠ কুড়িয়ে বিক্রি করে,ক্রয় করে আনা দু’মুঠো চাল তুলে নিয়ে গিয়ে ,ফুটিয়ে ,যেই না কলাপাতায় ভীষণ সম্পূর্ণ হয়েছি ,সে মৃদু হেসে বলে:তুই আগে খেয়ে ,নিজে সমৃদ্ধ হ বাবা,তারপর …
ভরা পেট না হলে কী কখনও কবিতা আসে রে।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।