বাটালি হিলস।
চট্টগ্রাম। কুমার নদীর পারে নাকি জন্ম। তাই দাদুভাইয়ের নাতির নাম কুমার।
সেই গল্প নতুন বউয়ের কাছে পৌঁছয়।
শ্বাশুড়ি আর তাঁর দিদি একসঙ্গে বলেন, বলো বাবা, কিই ই বৃষ্টি সে বছর, উফফ।
দাদুভাই মৃদুভাষী মানুষ। গ্যালিস দেওয়া সাহেবী পেন্টুল পরা।
বাবার আলমারিতে এমন পুরোনো প্যান্ট দু একটা দেখেছে নতুন বউ। আর দেখেছে পুরোনো সাদা কালো সিনেমায়।
তা ছাড়া আর এই একটি মানুষকেই দেখলো এমন প্যান্ট পরে সামনাসামনি। সেকেলে সাহেবদের মত।
গায়ের রঙ ও সাহেবের মতই লম্বা মানুষটির।
দু এক দিন যেতেযেতে নাতবউ খেয়াল করে, মানুষটির চলাফেরা খাদ্যাভ্যাস ও সাহেবী ধরনেরই। ঘড়ির কাঁটা দেখে এবং বৃটিশ আভিজাত্য মেখে।
চা, আর বিস্কুট এবং টোস্ট দিয়ে ব্রেকফাস্ট। পরিমাণ মেপে হাল্কা লাঞ্চ। ততোধিক হাল্কা বৈকালিক চা পান এবং নিয়ম মেনে রাতে খাওয়া শোয়া।
বিয়ে বাড়ির হুল্লোড়, নানা রকম খাবারদাবার, এটা ওটা ফাইফরমাশ এত্ত লোকের, সব কিছুর মধ্যে থেকেও যেন নিজস্ব বৃত্তের ভেতরে আলাদা এই মানুষটি।
সম্ভ্রম এমনিই আদায় করে নেন মানুষের কাছ থেকে।