সম্পাদকীয়

প্রসাদ

হে অন্নপূর্না তুমি চতুর্বর্গ ফল লইয়া বসিয়া আছো
আমি দুই হাতের অঞ্জলিতে তোমার প্রসাদ
সূর্যালোকের সঙ্গে
মহাকালের বালুঘড়ির দানার সঙ্গে
অরুণের সপ্তাশ্ব রথের সব কয়টি রঙের ঝংকারের সঙ্গে মিশাইয়া
আকণ্ঠ পান করিয়া
সর্বাঙ্গে উল্লাসের সঙ্গে চর্চিত করিয়া
বসন্তউৎসবের আবীর কুমকুমের ন্যায় লেপন করিয়া
বিপুল দুঃখ ,আনন্দ , বাৎসল্যে উচ্ছ্বসিত হইয়া আছি।
সকলেই থাকে।
কিন্তু হে প্রকৃতি হে পরমা
এই সর্বব্যাপী বর্ণ গন্ধ স্বাদের উপচারে
আমার দৃষ্টি আবিষ্ট হয় নাই।
আমি চূর্ণ ইন্দ্রধনুর রসাবেশের মধ্য দিয়াও তোমায় খুঁজিতেছি
তুমি আমার দর্শনবোধের গভীরে একটি শল্য চিকিৎসকের ছুরিকার তীক্ষ্ণতা দিয়াছো
অনাবিল আলোর সরণী ধরিয়া সন্ধানরত আমার চেতনা বলিতেছে
এই চলন্ত চিত্রবিস্তারটিই তোমার ঐশ্বর্যের শেষ কথা নয়
এ বৈভব তোমার মণিবন্ধের চারু কঙ্কণের দ্যুতি মাত্র
তুমি সেই গহন পরমপ্রাপ্যকে তোমার অঞ্চলতলে আচ্ছাদিত করিয়া রাখিয়াছো ।
শৈশবে সেই মধু আমার অবোধ জিহ্বাগ্রে
স্বাদু আনন্দের গণ্ডূষ বলিয়া পান করাইয়াছিলে
তাই তোমার ষড়ৈশ্বর্য আমার ইন্দ্রিয়দের আর মুগ্ধ করিতে পারিল না
আমি নিশ্চিন্ত হইয়া ক্রীড়াসামগ্রী লইয়া বসিয়া আছি
ক্রীড়া সমাপ্তির ক্ষণে আমার চিরকিশোর বন্ধুটি আসিয়া অতি অবশ্যই হাসিয়া হাত বাড়াইবে
প্রেমের পরম মুহুর্তের সে উজ্জ্বল প্রাপ্তি
তোমার রত্নমন্ডিত পেটিকা হইতে বাহির হইবে নিশ্চিত
এই গভীর আকিঞ্চনেই , লুব্ধ আমি
তোমার চির বাধ্য সন্তান হইয়া রহিলাম।

সোনালি

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।