গ এ গদ্যে সঙ্কর্ষণ ঘোষ

রাজপুত টু রাজপথ : Secret of the Sea

সদ্য স্বাধীন ভারতবর্ষে গণতন্ত্র যে সর্বদাই আপন অস্তিত্বরক্ষার্থে অক্ষম তার প্রমাণ হিসাবে জনগণের মধ্যে অশিক্ষিতের সংখ্যাগরিষ্ঠতাকেই তুলে ধ’রেছিলেন কতিপয় রাষ্ট্রনেতা, যদিও খানিক উন্নাসিকতাবশতই সেসব যুক্তি অযৌক্তিকতায় পর্যবসিত হয়। স্মর্তব্য যে এঁরা জাতির অভিভাবকত্বের অন্তরালে গণতন্ত্রের পরিবর্তে যে দক্ষিণপন্থী একনায়কতার প্রবর্তন আশা ক’রছিলেন তা ব্রিটিশদের নির্গমনের সঙ্গে সঙ্গেই ভারতবর্ষে সম্পূর্ণ পরিত্যক্ত হয়, অথচ স্বয়ং ব্রাহ্মণ্যবাদের বিরূদ্ধে আজন্ম সংগ্রামের ফলস্বরূপ নৈতিকতার প্রণেতা শ্রী ভীমরাও রামজি অম্বেদকর বিলক্ষণ জানতেন যে এদেশকে বামপন্থী সমতায় অভ্যস্ত করা একপ্রকার অসম্ভব।
নিখাদ গণতন্ত্রের সঙ্গে প্রজাতান্ত্রিক গণতন্ত্রের সর্ববৃহৎ পার্থক্যটি হ’লো প্রথমটি রাষ্ট্রীয় দায়িত্ববোধ নিরূপণ করে এবং দ্বিতীয়টি দায়িত্বশীল। আপন বিচারবোধের ওপর নির্ভর ক’রে যোগ্যতম প্রতিনিধি নির্বাচন ক’রতে রাষ্ট্রবাসীকে একটি নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত ক’রতে হয়। উক্ত ব্যবধানটুকুর মধ্যে নির্বাচিত শাসকের সাফল্য ও ব্যর্থতা এবং সে সংক্রান্ত নিরপেক্ষ মূল্যায়নবশতই সংবাদমাধ্যমকে গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ উপাধিতে আখ্যায়িত করা হ’লেও যে সমস্যাটি এর চিরকালই ছিলো তা হ’লো স্বার্থবশতঃ কর্তব্যের ক্রমহ্রাসমান পরিধি। প্রথমে আপন অস্তিত্বরক্ষার্থে ও পরবর্তীকালে ব্যবসায়িক স্বার্থে একটি নির্দিষ্ট শ্রেণীর প্রতি পক্ষপাতিত্ব এর পরিচিত বৈশিষ্ট্য। লক্ষ্যণীয় যে কর্তব্যে এহেন অবহেলার পরেও প্রতিবাদস্বরূপ প্রায় কখনওই বৃহত্তর আন্দোলন সংগঠিত না হওয়া ভারতবাসীর দায়িত্বজ্ঞানহীনতার অন্যতম উদাহরণ।
কিন্তু সাম্প্রতিককালে (বিশেষ ক’রে যখন থেকে প্রয়োজনবশতঃ দেশ মুদ্রিতের পরিবর্তে বৈদ্যুতিন মাধ্যমের ওপর অধিকতর নির্ভরশীল হ’য়ে প’ড়েছে) নির্লজ্জ পক্ষপাতিত্বের স্বার্থে সংবাদমাধ্যমে মূলতঃ গণমাধ্যমের সমান্তরাল এক আশ্চর্য পরিবর্তন এসেছে, যেখানে মূল্যায়নের তুলনায় জনমত নির্ধারণ অধিকতর প্রাধান্য পায়। একথা কখনওই ভুল নয় যে পরোক্ষ জনমত গঠনে এর গুরুত্ব অনস্বীকার্য, কিন্তু সংখ্যালঘিষ্ঠের স্বার্থে সংখ্যাগরিষ্ঠকে কৃত্রিমভাবে প্রভাবিত করা একটি আদর্শগত প্রতারণা ব্যতীত আর কিচ্ছু নয়। ব্যক্তিগত কু-রাজনৈতিক স্বার্থে বহু জনপ্রতিনিধি প্রায়শই সত্যকে বিকৃতভাবে পরিবেশন ক’রে থাকেন, কিন্তু সংবাদমাধ্যমে তর্কসাপেক্ষ বিষয়ের এহেন পক্ষপাতদুষ্ট উপস্থাপন ইতোপূর্বে ঘ’টতে দেখা যায়নি।
নৈতিক পরিভাষায় এহেন ইতরামির প্রকাশ ‘মাধ্যমিক বিচার প্রক্রিয়া’ বা জনতার আদালত বা মিডিয়া ট্রায়াল নামে পরিচিত। তৃতীয় বিশ্বের যেকোনো দেশে সর্বদাই আইনতঃ বিচারব্যবস্থার তুলনায় অধিকতর প্রভাবশালী এই অলিখিত বিচারালয় গণতন্ত্রের অযৌক্তিকতার একটি জ্বাজল্যমান প্রমাণ। তবে ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে এর অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য হিসাবে ক্রিয়া করে রাষ্ট্রবাসীর চিন্তনের দৈন্য এবং গড্ডলিকা প্রবাহে নির্বিরোধ অংশগ্রহণ। নতুবা এই সেদিন অবধিও চরিত্রাভিনেত্রী শ্রীমতি রিয়া চক্রবর্তীকে যাঁরা প্রকাশ্যে নিগ্রহ ক’রতে আগ্রহী ছিলেন তাঁরা অকস্মাৎ অপরাপর ব্যক্তি বিশেষতঃ সংবাদমাধ্যমের পাশবিকতা সম্পর্কে ঔৎসুক্য প্রদর্শন ক’রবেন কেন? বিচারাধীন ব্যক্তিত্ব কিঞ্চিৎ পরিচিত থাকলেই কি সাংবাদিকদের এহেন অভব্যতা সম্পর্কে ভারতবাসীরা অবগত নন?
এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে আমাদের ফিরে তাকাতে হবে শ্রীমতি চক্রবর্তীর ব্যক্তিগত পরিচয়ে, যা এতোকাল সকলকে জানিয়ে এসেছে যে অভিনেত্রী হিসাবে তিনি সেভাবে উল্লেখযোগ্য কিছুই ক’রে উঠতে পারেননি এবং বিলাসবহুল জীবনযাপনের অস্তিত্বরক্ষার্থে বেশ কয়েকবছর প্রয়াত উদীয়মান অভিনেতা শ্রী সুশান্ত সিংহ রাজপুতের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন। কিন্তু শ্রী রাজপুতের রহস্যজনক মৃত্যুর পর তদন্তের মাধ্যমে যে অভিযোগগুলি জনসমক্ষে এসেছে সেগুলি হ’লো- ১। ভারতবর্ষে নিষিদ্ধ মাদকের তিনি জনৈকা সরবরাহকারী, ২। সম্পর্কে থাকাকালীন ব্যক্তিগত স্বার্থে তিনি বহু প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের অঙ্কশায়িনী হ’য়েছেন, ৩। উক্ত রহস্যজনক মৃত্যুতে তাঁর ন্যূনতম হ’লেও অংশগ্রহণ র’য়েছে এবং ৪। শ্রী রাজপুতের ব্যক্তিগত অর্থাবলী তিনি যথেচ্ছ তছরূপ ক’রেছেন।
ভারতবর্ষের মতো দেশ, যেখানে ঐতিহাসিক শ্রী রামচন্দ্র গুহের মতে চলচ্চিত্র স্বয়ং একটি সর্বজনসম্মত সংস্কৃতি সেখানে জনৈক অভিনেতার মৃত্যুর পাশাপাশি পূর্বোক্ত প্রতিটি অভিযোগই জনৈকার বিরূদ্ধে জনরোষ উদ্রেক করবার পক্ষে যথেষ্ট। কিন্তু লক্ষ্যণীয় যে প্রথমতঃ হত্যাকাণ্ডে অভিনেত্রীর কোনো প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ এখনও আইনে প্রমাণিত হয়নি এবং দ্বিতীয়তঃ ঠিক তাঁরই ন্যায় কেবল সন্দেহেরই অধীন বর্তমান চলচ্চিত্র জগতের এক প্রভাবশালী অংশ, অথচ যাবতীয় আলোচনা ও তর্কবিতর্ক কেবল তাঁর বিরূদ্ধে গৃহীত ব্যবস্থাকে কেন্দ্র ক’রেই। উপরন্তু রীতিমতো আশ্চর্যের বিষয় যে মুম্বইয়ের বিনোদন জগতের সঙ্গে অন্ধকার জগতের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রীতিমতো সর্বজনবিদিত, অথচ মুম্বইয়ের স্বরাষ্ট্রব্যবস্থা যে সে ব্যাপারে সম্পূর্ণ অন্ধকারে, তা কি নিতান্তই অবিশ্বাস্য নয়?
এইখান আসছে প্রথম প্রধান জিজ্ঞাস্য যে মুম্বইয়ের প্রশাসন কি তবে কিছু অপরাধীর পক্ষপাতিত্ব ক’রছিলো? এরাই কি সেই স্বরাষ্ট্রব্যবস্থা যারা স্বাধীন ভারতবর্ষের প্রথম ‘আইনতঃ অপরাধী হত্যা’ বা এনকাউন্টার ক’রেছিলো? বিপক্ষীয় অক্ষমতার ঠিক এই সুযোগটুকুরই সন্ধানে ছিলেন অভিনেত্রী শ্রীমতি কঙ্গনা রানাওয়াত, বিভিন্ন প্রচারমাধ্যমে বিগত কয়েকদিনে যাঁর শরীরী ভাষা রীতিমতো পরিষ্কার জানিয়ে দিচ্ছে যে বিনোদনের জগতে সাফল্যসত্ত্বেও সেখানে স্বল্প গ্রহণযোগ্যতাবশতঃ ইনি এই মুহূর্তে ভারতবর্ষের রাজনীতিতে অংশগ্রহণের প্রাণপণ চেষ্টা ক’রছেন। আশ্চর্যের কিছুই থাকবেনা যদি আসন্ন কোনো নির্বাচনে এঁকে শাসকগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব ক’রতে দেখা সম্ভব হয়। কারণ শ্রী উদ্ধব ঠাকরে পরিচালিত শিবসেনা সরকারকে সিংহাসন থেকে সমূলে উৎপাটন করবার এই হ’চ্ছে প্রাথমিক পদক্ষেপ।
ফলস্বরূপ প্রথমে মুম্বই স্বরাষ্ট্রব্যবস্থার তদন্তের অধিকার একপ্রকার বলপূর্বকই হস্তান্তর করা হ’লো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে এবং আপামর সংবাদমাধ্যম সমস্ত সমস্যা ছেড়ে এই বিচারের গতিপ্রকৃতি নিয়ে ব্যস্ত হ’য়ে পড়ায় ভারতবাসী পক্ষে বোঝা সম্ভব হ’লোনা যে পরোক্ষে এটি মুম্বই প্রশাসনের অযোগ্যতার প্রমাণ প্রদর্শন ব্যতীত আর কিছুই নয়। মাধ্যমিক বিচারপ্রক্রিয়া যে কীভাবে মানুষকে প্রবলভাবে প্রভাবিত করবার ক্ষমতা রাখে এবং ভারতীয় নাগরিকবৃন্দের চিন্তায় যে কতোখানি দৈন্য এই হ’চ্ছে তার জ্বলন্ত প্রমাণ। উত্তর ভারতের যে রাজ্যগুলিকে শাসকশ্রেণী এখনও অধিকার ক’রতে সক্ষম হয়নি সেগুলিকে এভাবেই ধীরে ধীরে বিপক্ষকে নিশ্চিহ্ন করবার প্রচেষ্টা চ’লছে এবং বিরোধীশূন্য গণতন্ত্র স্বৈরাচারের তুলনায় কোটিগুণে ভয়ানক। শেষ এই অবস্থায় ভারতবর্ষ পৌঁছেছিলো আটের দশকে জরুরি অবস্থার প্রাক্কালে এবং তার ফলাফল প্রায় সকলেই অবগত। এতোদিনে বোধগম্য হ’লো যে রিপাবলিক টিভির স্বনামধন্য সাংবাদিক শ্রী অর্ণব গোস্বামী কেন এই বিষয়ে এতোকাল যাবত উত্তেজিত ছিলেন?
অর্থনৈতিক অচলাবস্থা, নৈতিক অব্যবস্থা, আসন্ন নির্বাচনী প্রচারের নামে শাসকদলীয় নেতৃত্বের মনুষ্যেতর অঙ্গভঙ্গী ও ভাষণসংক্রান্ত সমস্ত অন্যায় ও প্রতিবাদের মাঝে এভাবেই প্রাচীর হ’য়ে দাঁড়ালো সংবাদমাধ্যম। মুম্বইকে বিরোধীশূন্য করায় সাফল্য অর্জন ক’রতে পারলে গ্রহণযোগ্যতা তো যথাসম্ভব বর্ধিত হবেই, উপরন্তু শাসকশ্রেণী পূর্ণশক্তিতে প্রত্যাবর্তন ঘটাবে তার চিরকালীন সাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে, কারণ শ্রীমতি রানাওয়াতের সাহায্যে এবং মারাঠী জনগণের সর্বসম্মতিক্রমে প্রথমে বিনোদন জগতে ও এর অনতিকাল পরে রাজনৈতিক প্রেক্ষিতে রাজ্য থেকে শুরু হবে সংখ্যালঘু অপসারণ। একথা অবশ্যই ঠিক যে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর পিতা শ্রী বালাসাহেব ঠাকরে প্রতিষ্ঠিত শিবসেনার ন্যায় আঞ্চলিক নৈতিকতার পরিপূর্ণ সমর্থন শাসকশ্রেণী কখনওই পাবেনা, কিন্তু শ্রী দামোদর বিনায়ক সাভারকরের জন্মভূমির যে রক্ত আজন্ম সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ বহন ক’রছে সে এই নব্য নৈতিকতাকে সানন্দেই স্বাগত জানাবে।
লক্ষ্যণীয় যে গত কয়েকদিন যাবত আপন দায়িত্ব পালনে গণমাধ্যম পুনরায় ব্রতী হ’য়েছে শ্রীমতি চক্রবর্তীর প্রতি সমর্থনের গড্ডলিকা প্রবাহ সৃষ্টির মাধ্যমে, পাশাপাশি আশ্চর্যভাবে উঠে আসছে শ্রী রাজপুতকৃত বেশ কিছু অপরাধও, যেগুলির ন্যূনতম পর্যবেক্ষণ জানিয়ে দেয় এগুলি প্রত্যেকটিই অপরাধীর সংস্পর্শে থাকবার নিতান্ত স্বাভাবিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, এতোদিন স্রোত বিপরীতে বাহিত হওয়ায় দৃষ্টিগোচর হয়নি এইই যা। অকস্মাৎ শ্রীমতি রানাওয়াতের বিরূদ্ধে যাঁরা মাদক সেবন ও সরবরাহের অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা মূলতঃ রাজ্যশাসকগোষ্ঠীরই কতিপয় সদস্য এবং দুয়েকজন ব্যর্থ অভিনেতা। একটি বিষয় সকলকে জানিয়ে রাখি যে শ্রীমতি রানাওয়াতের যে কার্যালয়টি সম্প্রতি ধ্বংস করা হ’য়েছে সেটি স্বয়ং আইন অগ্রাহ্য ক’রে নির্মিত। এ কি আদৌ বিশ্বাসযোগ্য যে এই সংক্রান্ত বিন্দুমাত্র তথ্য উভয় শাসনব্যবস্থার কারো কাছেই নেই? সেই প্রেক্ষিতে তো কেবল এই অপরাধবশতই তাঁর শাস্তি প্রাপ্য। এই একই অপরাধ কৌতুকাভিনেতা শ্রী কপিল শর্মাও ক’রেছিলেন এবং এই একই রাজ্যসরকার তাঁর কার্যালয় ধ্বংস ক’রেছিলো। কিন্তু ‘ওয়াই গোত্রীয় নিরাপত্তা’ কেবল তাঁরই প্রাপ্য যিনি সর্বদাই শাসকগোষ্ঠীর অন্যতম নির্ভরযোগ্য অস্ত্র।
সবশেষে একটিমাত্র নিশ্চিত সম্ভাবনা জানিয়ে রাখি যে আইনের চিরাচরিত পথে এই বিতর্কের নিষ্পত্তি ইহজীবনে হবেনা, বরং সংবাদমাধ্যম প্রাণপণে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে প্রাথমিক চাহিদাগুলি থেকে আমাদের দৃষ্টিকে নিরাপদ দূরত্বে রাখবার। মুম্বইয়ের পাশাপাশি বিহারকেও বিরোধীশূন্য ক’রে ফেলবার এই আগ্রাসী নীতি যে পরবর্তীকালে কী ভয়ঙ্কর সমস্যা আহ্বান ক’রতে চ’লেছে সেই বীভৎসতা আমরা দূরতম কল্পনাতেও আনতে পারিনা, কেবল এটুকুই স্মর্তব্য যে বর্তমান পরিস্থিতিতে আদ্যোপান্ত ব্যর্থ একটি স্বৈরাচারী সরকার যদি তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসে সর্বপ্রথম ধ্বংস হবে যুবসমাজ, দ্বিতীয়তঃ কৃত্রিম নৈতিকতাবশতঃ সহস্র অন্তর্ঘাতে অবিচল ভারতীয় সংহতির সুদূরপ্রসারী সর্বনাশ ঘ’টবে, স্বাধীনতা উত্তরকালে যে রাষ্ট্রনেতারা ভারতবর্ষে গণতন্ত্র চাননি তাঁদের কেউই উন্নাসিক ছিলেননা, তাঁরা রীতিমতো ভবিষ্যৎদ্রষ্টা ছিলেন…
প্রকৃতার্থে আমাদের অশিক্ষায় তাঁদের সম্পূর্ণ বিশ্বাস ছিলো।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।