সম্পাদকীয়

মার্চ মাসের এই শেষের দিকটায় আমার যেন ক্রমশ খেই হারিয়ে যায়। নিজেকে বারবার প্রবোধ দিই তবু মনের ভিতর এক আকাশ শূন্যতা এবং অনন্ত নৈরাশ্য আমাকে আচ্ছন্ন করে রাখে। ২৭ শে মার্চ আমার গুরু, যার কবিতা পড়ে নয়ের দশকের এক শিশু মন ছড়ার ফর্ম ভেঙে ক্রমশ সাবালক বাংলা কবিতার আঙিনায় হাঁটতে শুরু করেছিল, সেই মল্লিকা সেনগুপ্তের জন্মদিন। আশৈশব ভেবেছি নিজের প্রিয় কবির কাছে যাব, কিন্তু যাওয়া হয়ে ওঠেনি। বরং পরিচয় ঘটেছে অক্ষরে মননে, বইয়ের পাতা উল্টে।
অসাক্ষাতের বেদনা মনকে দ্রবীভূত করেছে আর মল্লিকাদির কবিতায় সেই মন পরিণত হয়েছে। একলব্যদের একনিষ্ঠ হতেই হয়। তারা তো কেউ ধনঞ্জয় নয়, যে গুরুর কাছ থেকে সরাসরি স্নেহ ও শিক্ষা পাবে।
আমি প্রথম দিনই বলেছিলাম যে সম্পাদকীয় লিখতে বসে গুরু গম্ভীর কথান্যাস করবো না। কিন্তু মন সে কথা মানলে কই! যাঁদের শব্দ আমার কবিতাকে পুষ্টি আহার জল দান করেছে তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ঋণ স্বীকার না করলে পাপ হবে। মল্লিকা সেনগুপ্ত ও জয় গোস্বামী শমীক জয় সেনগুপ্তের কাছে দ্রোণাচার্য।
টেক টক টাচ এর এই সংখ্যায় ধারাবাহিক উপন্যাস, গল্পের সাথে সাথে বেশ কিছু বলিষ্ঠ কবিতা এবং আমার শ্রদ্ধার্ঘ্য জ্ঞাপন এইবারের বৃহস্পতিবারের পাতায় পাঠকদের জন্য রেখে গেলাম। আশা রাখছি আপনাদের সবার এই লেখাগুলো ভালো লাগবে। ভালো থাকবেন, সঙ্গে থাকবেন।

শমীক জয় সেনগুপ্ত

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।