রাতের শহরে এই পথে
ভদ্রসমাজের আনাগোনা কমে আসে,
শেষ রাতে আমার এই পথ ধরা
সময় বাঁচানোর তাগিদেই।
ফ্যান ভাতের আলস্যে এখন
জারজ সন্তান নিদ্রামগ্ন পালক পিতার আশ্রয়ে
জন্মদাত্রী ক্লান্ত জোৎস্নার অন্ধকারে
অন্য পুরুষের ক্ষুধা নিবারণে,
হঠাৎ বাঁচাও বাঁচাও চিৎকারে
সম্বিত ফিরে দেখি
জনা কয়েক অসুর ছুটছে
একটা নিষ্পাপ কিশোরী দূর্গার পিছনে,
গাড়ি ঘোরাতে গিয়েও থেমে যাই…
দেখি প্লাস্টিকের অট্টালিকা থেকে
বেরিয়ে আসে কিছু পুরুষোত্তম
তাদের সম্মিলিত হুঙ্কারে
লাম্পট্য মিলিয়ে যায় অন্ধকারে,
কিশোরী দূর্গার মুখে দেখি সারল্যের প্রতিলিপি।
লজ্জাসিক্ত মুখে দেখি নিজেকে…
একে একে সরে যায় প্লাস্টিকের সংসার
অরণ্যের হারানো গৌরবে
সবুজ হয় মলিন ফুটপাথ,
বনস্পতির অলিন্দে জোৎস্না ডুবে আসে
নির্জন শাখা মুকুল কল্লোলিত হয়
ভোরের সুগন্ধে নতুন দিনের ছাড়পত্র দেয়
পাখিদের কলতান…