অণুগল্পে সুদীপ ঘোষাল

আত্মীয়
দুজনে খুব ভাব। দূরত্ব বাড়লেই সূঁচ ফোটায় স্মৃতি। একসঙ্গে শোয়া, বসা, খাওয়া সবকিছু। একে অপরকে ছেড়ে বাঁচতে পারবে না।
একদিন সামান্য কারণে দুজনের ঝগড়া হয়।যত জমানো ব্যথা বাইরে আসে মলের মত।
– তুই তো স্বার্থ নিয়ে বাঁচিস
– আর এতদিন যে তোকে খাওয়ালাম। নিজে রেঁধে, কষ্ট করে।
– আমিও তো বাসন মাজি, উনুন ধরিয়ে সাহায্য করি।
তারপর ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে দুজনে আলাদা ঘরে থাকে।
এখন মনে হয় না এরা দুই ভাই। মনে হয় বহুদূরের কোনো দ্বীপ।তার ভিতরে অজানা কত রহস্য।
মাস পেরোয়, বছর পেরোয়। দুজনে বেশি করে আগলে রাখে একে অপরকে।
বয়স বাড়ে। সংসার বাড়ে।
মৃত্যু এসে হাজির হয় ছোট ভাইয়ের শরীরের দরজায়।
বড়ভাই শ্মশানে যায় না। কি হবে মৃত শরীর দেখে। বেঁচে থাকতেই যার মূল্য বুঝলাম না।