শান্ত স্নিগ্ধ পূর্ণিমার চাঁদ
জ্যোৎস্না চন্দন ঝরে পড়ে
কবি গুরুর শেষ পালঙ্ক
গিয়েছিল মালায় ভরে।
অন্তিম যাত্রায় ঈশ্বর যেন
নিদ্রামগ্ন আছে শুয়ে।
পাঞ্জাবী আর কোঁচা ধুতি
বুকের কাছে পদ্ম ছুঁয়ে।
জনস্রোতে ঠাকুর বাড়ির
প্রবেশ দ্বার যে ভেঙে পড়ে
চিরবিদায় নিল ঠাকুর
শ্রাবণের দিন বিষাদ করে।
হৃদয় মাঝে আজও ঠাকুর
আছো সবার মনে প্রাণে
শতকোটি প্রণাম জানায়
ভারতবাসী জনে জনে।
২। দ্বিতীয়ার চাঁদ
পশ্চিম আকাশে দেখি বাঁকা চাঁদ ভাসে
কাস্তের মতো লাগে ঝিলমিল হাসে।
দ্বিতীয়ার সরু চাঁদ দিন দিন বাড়ে।
বাঁকা হাসি হেসে বলে কি দেখো আমারে!
এই বুঝি দিন মোর স্বপ্ন জাল বোনে
অমাবস্যা হাসে শুনে দিন তার গোনে।
ধীরে ধীরে চাঁদ তার গোল রূপ নেয়
পূর্ণিমার-চাঁদ আসে ভরা আলো দেয়।
দ্রিম দ্রিম ক্ষয় হয় গোলাকার চাঁদ
অমানিশা নিয়ে কালো আঁধারের রাত
সব আলো নিভে যায় অহংকার শেষ
এইভাবে আসা যাওয়া রয়ে যায় রেশ।
৩। তবু অপেক্ষায়
দুরন্ত যৌবনে ফুটেছিল মৌ মনে
সোনা ঝরা রোদ্দুর চোখ যেত যদ্দূর
গোলাপের কুঁড়ি মেলে অলিগুলো যেত খেলে
সেই ক্ষণে প্রেম ধীরে এসেছিল মন নীড়ে।
কামনার বীজ ঢেলে চোরাপথে গেল ফেলে
মনে ছিল বিষভরা কখনো কি যায় ধরা!
হৃদয়ের কোণে কোণে মায়া মোহ জাল বোনে
সুখ পাখি গেল উড়ে খাঁচা থেকে বহুদূরে।
দুটি চোখ ভরে জলে বিরহের দাবানলে
ধিকিধিকি জ্বলে ওঠে প্রেম পোড়া ফাগুনের
ভালোবাসা কেঁদে মরে জীবনের খেলা ঘরে
বেদনার বালুচরে স্মৃতি গুলো ঘিরে ধরে।
ছিল সে’তো মরীচিকা ছায়া পথে নীহারিকা
জীবনের শেষ দিনে কেন সখি সাথী বিনে!
পিছে ঘুরে দেখি যেই বাঁক ঘুরে গেছে সেই
সারাদিন পথ চেয়ে ঝরা পাতা এলো ধেয়ে।
একদিন ছিল সবে আজ কেন একা তবে
জোছনার ঝিকিমিকি পড়েনা তো ধিকিধিকি
উঠোনের এক পাশে চেয়ে থাকা তবু আশে
আঁধারের চুপ কথা জোনাকিরা গোনে ব্যথা।
৪। অমোঘ অনুভব
ভাত ঘুমের নেশা কাটলে জানলা দিয়ে দেখি
নীল গগনে মেঘ আঁচলে ঢাকল তাকে সেকি !
হঠাত্ করে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামে সাঁঝে
উঠোন জুড়ে মেঘ কন্যা নুপুর পায়ে বাজে।