সাপ্তাহিক ধারাবাহিক উপন্যাসে শুদ্ধেন্দু চক্রবর্তী (পর্ব – ২৬)

জন্ম কলকাতায়(২৭ নভেম্বর ১৯৮০)।কিন্তু তার কলকাতায় বসবাস প্রায় নেই।কর্মসূত্রে ঘুরে বেড়ান গ্রামবাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে।সেখান থেকেই হয়তো ইন্ধন পেয়ে বেড়ে ওঠে তার লেখালিখির জগত।প্রথম কাব্যগ্রন্থ "আকাশপালক "(পাঠক)।এর পর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থগুলি হলো শিকারতত্ত্ব(আদম), আড়বাঁশির ডাক(দাঁড়াবার জায়গা), জনিসোকোর ব্রহ্মবিহার(পাঠক), কানাই নাটশালা(পাঠক),বহিরাগত(আকাশ) ।কবিতাথেরাপি নিয়ে কাজ করে চলেছেন।এই বিষয়ে তার নিজস্ব প্রবন্ধসংকলন "ষষ্ঠাংশবৃত্তি"(আদম)।কবিতা লেখার পাশাপাশি গদ্য ও গল্প লিখতে ভালোবাসেন।প্রথম উপন্যাস "কাকতাড়ুয়া"।আশুদা সিরিজের প্রথম বই প্রকাশিত "নৈর্ব্যক্তিক"(অভিযান)।'মরণকূপ' গোয়েন্দা আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় অভিযান,যদিও তার বিন্যাস ও বিষয়বস্তুতে সে একেবারেই স্বতন্ত্র।এই সিরিজের তৃতীয় উপন্যাস 'সাহেববাঁধ রহস্য '(চিন্তা)।সম্পাদিত পত্রিকা "শামিয়ানা "। নেশা মনোরোগ গবেষণা,সঙ্গীত,অঙ্কন ও ভ্রমণ ।

বিন্দু ডট কম

চারপাশে কেমন অক্সিজেন ফুরিয়ে আসছে।তবু তরুলতা এই কদিনে লক্ষ্য করেছে তার অফিসের সময়টুকু পাশের দন্ডায়মান শালগাছের ডালে তার জন্যই যেন অপেক্ষা করে অজানা এক পাখি।হলুদ ঠোঁট,ধুসর পালক,নীল চোখ।কোনও শব্দ করে না।নিঃশব্দে বসে থাকে।কিন্তু তরুলতার তাতে অস্বস্থি হয় না।তার একটিবারের জন্যও আর মনে হয় না কেউ তার ওপর নজরদারি করছে।অবশ্য নজরদারির থেকে খানিকটা উত্তীর্ণ হয়ে গেছে তরুলতা।আজকাল আর তার মোবাইলের ওপর তেমন বিধিনিষেধ নেই।যদিও তরুলতা জানে এটা পুরোটাই আপাত।অবন্তিকা আসে মাঝেমাঝে ঝোড়ো হাওয়ার মতো।আসে আর চলে যায়।চারপাশে অক্সিজেনের হাহাকার আর মৃত্যুর খবর বলে।তরুলতা যতো শোনে ততো তার ওই পাখিটার সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছে করে।
শরীর ভালো নেই তার।গা ম্যাজম্যাজ করছে ইদানিং।যখন সে ঘরে থাকে,তখন তাকে সঙ্গ দেয় অখিলেশের ফেলে যাওয়া প্রজাপতি ফাইল।অফিসের পিয়ালি সেনের সঙ্গে ঘরবন্দি এই তরুলতার অনেক পার্থক্য।সেদিন রাজেশ কানোরিয়ার ফেলে যাওয়া ফাইলটা কেউ আর নিতে আসে নি।কী আছে ফাইলে?তরুলতা কখনও সে কথা জানতেও চাইনি।সেদিন থেকেই পরে আছে সোফার ওপর।পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আপাতত তার কিছু করবার নেই।অবশ্য তরুলতার এই উদাসীনতার আরও এক কারণ আছে।তার শরীরে যেন উড়ে চলতে থাকা মনার্কের মতোই কোনও প্রজাপতি পিউপা বানাচ্ছে রোজ।তরুলতা বুঝতে পারে।তার তলপেট শিরশির করে ওঠে।তবে কি সেও সুচরিতার মতো মা হতে পারবে?সেই পিউপার নজরদারি তরুলতাকে ভয় পাইয়ে দেয় না।অখিলেশের ওপর আক্রোশ সেই পিউপার রেশমকে স্পর্শ করতে দেয় না তরুলতা।অখিলেশ পিয়ালি সেনকে চেয়েছিল।সে তাকে পেয়েছে।তরুলতা সুচরিতার মতো মা হতে চেয়েছিল।তাই সে আজ ক্রমশ লাউপাতার মতো স্নেহময়ী হয়ে উঠছে।
কোনও কোনও দিন খুব একলা লাগে তরুলতা ভাবে পাশের গ্রামগুলোতে ঘুরতে যাবে।এই গ্রামে কতো পরিচিত মুখ লুকিয়ে আছে।এদের তরুলতা প্রায়সই দেখে কিয়স্কের কাঁচের ওপার থেকে।কেউ আসে ঋণশোধ করতে,কেউ টাকা বন্ধক রাখতে।তরুলতার মনে হয়,তার নিজেরও যেন কতো সহস্র বছরের ঋণ জমা পড়ে আছে ওদের কাছে।তরুলতাদের ব্যাঙ্কটা বেলদা থানার হলেও সেখানে বহু দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসেন তার কাছে।তরুলতা বুঝতে পারে তার শরীরে অক্সিজেন ফুরিয়ে আসছে।কোনও একদিন সেও হয়তো মুখ থুবড়ে অবন্তিকার ওই বৌটির মতো ঘরের ভিতর মরে পড়ে থাকবে।তার আগেই তাকে পালাতে হবে।একদিনের জন্য হলেও।
অফিসের বিভিন্ন কাজে গাড়ির প্রয়োজন হলে সে বন্দোবস্ত করে দেয় স্থানীয় একটি ট্র্যাভেলস কোম্পানি।কোম্পানির মালিককে সবাই ‘রাজুদা রাজুদা’ বলেই ডাকে।অতিমারীর সময় কখনও কখনও জরুরি কারণে কারোকে বাড়ি থেকে অফিসে আনতে গেলেও ওদের প্রয়োজন হয়।এইসব কাজ তরুলতার মাধ্যমেই হয় আজকাল।অখিলেশের অবর্তমানে সেই তো এই ব্যাঙ্কের ভারপ্রাপ্ত।রাজুদার আসল নাম কী জানতে প্রশ্ন জাগেনি কখনও তার।অফিসফাইলে তাদের এন্ট্রি ‘বেলদা ট্র্যাভেলস’ নামে লেখা আছে।অফিসের কাজের কারণেই এই রাজুদার নম্বর তরুলতার মোবাইলে ছিল।তরুলতা একটা রবিবারের ছুটি দেখে রাজুদার কাছে গাড়ি বুক করল।ঘন্টায় দুশো বা কিলোমিটার প্রতি বারো টাকা।তা হোক।তরুলতা সে পয়সা দেবে।সকালসকাল দুধেল সাদা একটি গাড়ি চলে এল।চালক অল্পবয়সী।তরুলতা গাড়িতে চেপে বসেই বিপদে পড়ল।চালক জিজ্ঞেস করছে,”ম্যাডাম।কোথায় যাবেন?”কোথায় যাবে তরুলতা?দায়সারাভাবে সে বলে,”চলো শালবনির দিকে”।চালক ‘ওকে’ বলে গাড়ি চালাতে থাকে।আশপাশে শালপিয়ালের ঘন জঙ্গল।বুক ভরে শ্বাস নেয় তরুলতা।অক্সিজেন দরকার তার।পিউপাটারও।
চালক ছেলেটির নাম পিন্টু।গ্রামের ছেলে।অল্প বয়স।মুখোশের আড়ালে থাকলেও বোঝা যায় তার চোখ দুটি সরল।সামান্য কথোপকথন চলবার পর তরুলতা জানতে পারে পিন্টুর বাড়ি শালবনিতেই।তরুলতার মন নেচে ওঠে।পিন্টুর কোনও এক চেনাজানা গ্রামে গেলেই কেমন হয়।অচেনা গ্রাম অচেনা মানুষ আর অচেনা তরুকথা।পিন্টু জিজ্ঞেস করে,”শালবনির কোথায় যাবেন ম্যাডাম?”
-তুমি শালবনি কতোদিন আছো পিন্টু?
-ছোটো থেকেই।
-আমাকে তোমার পছন্দের একটা গ্রামে নিয়ে যাবে পিন্টু?
পিন্টু একটু ভাবে।তারপর বলে।
-নীলকুঠি দেখবেন ম্যাডাম?
-বেশ তো।চলো।কোন সে গ্রাম?
-জয়ফুলি।
তরুলতার মন পাখা মেলা প্রজাপতির মতো হয়ে ওঠে।আহা।কী অপূর্ব নাম।জয়ফুলি!কে নাম রাখলো এমন।ফুলকে জয় করতেই বুঝি জয়ফুলি।পিন্টুর আসল নাম পরশুরাম মাহাত।পরশুরাম জয়ফুলি গ্রামের নাম নিয়ে এক মোহময় গল্প বলে চলে।জাতীয় সড়ক ছেড়ে গাড়ি একটা অপেক্ষাকৃত সরু পাকা রাস্তা ধরে বাঁক নেয়।পিন্টু অরফে পরশুরাম বলে চলে।
-জয় আর ফুল।এই গ্রামের দুই প্রেমিক প্রেমিকা।দামাল আর ছোঁয়াচে প্রেম তাদের।তাদের সংস্পর্শে এলে বাঁজা গাছে মঞ্জরী জন্মায়।শুকনো ডালে সবুজ পাতা জন্মায়।সারা গ্রাম বেয়ে নদী পার বেয়ে,ক্ষেতের আল বেয়ে ফুলি দৌড়ে বেড়ায়।আর তাকে ধাওয়া করে চলে তার প্রেমিক জয়।জীবন যেন সেখানেই স্তব্ধ হয়ে গেছে।সারা গ্রাম যেন জয় আর ফুলির প্রেমের মহুয়ার নেশায় নিমগ্ন।ঠিক এমনই সময় সেখানে এল এক দস্যু নীলকর সাহেব।ফুলির লাবণ্য তাকে আকৃষ্ট করল।একরাতে ফুলিকে তুলে নিয়ে গেল ওরা।জয় সকালে খবর পেয়ে সাতদিন সাতরাত না খেয়ে নীলকুঠির বাইরে কেঁদে কেঁদে ফুলির জন্য অপেক্ষা করল।তারপর একদিন জয়ের নিথর দেহ সাহেবরা সরিয়ে নিল সদর দুয়ার থেকে।আর ফুলির ধর্ষিত নগ্ন দেহটাও তার পাশেই রেখে রাতারাতি সুন্দরীনদীপারে জ্বালিয়ে দেওয়া হলো।গ্রামবাসীরা একথা ভুলতে পারলো না সহজে।তাই তারা জয়ফুলির নামে এই গ্রামের নামকরণ করে দিল।
গল্প বলতে বলতে পরশুরামের চোখে জল দেখতে পেল তরুলতা।কে জানে,তার জীবনেও এমনই কোনও ফুলি লুকিয়ে আছে কিনা।জয় আর ফুলির গল্প যেন রূপাই আর সাজুর গল্প।এমন কতো জয় আর ফুলির কথা মিশে আছে বাংলার মাটিতে।গাড়ি একটি নদীপারে এসে থামলো।সরু শীর্ণকায় এক নদী।যেন বিগলিত অশ্রুধারার মতো নেবে আসছে কারো বিরহী নয়ন থেকে।এরই নাম সুন্দরী নদী।এর পাশেই পুরনো স্থপতি। ঊনিশ শতকের গোড়ার দিকে নীলকর সাহেবদের তৈরি কুঠির ভগ্নাবশেষ।তার পাশে লাগোয়া একটি চৌকো জলাধার।পরশুরাম বলল,এখানেই নীল ভেজানো হতো।সুন্দরী নদী থেকে জল আনা হতো এখানে।স্থপতির উপর হাঁটতে হাঁটতে তরুলতার মনে হলো সে যেন কারো বুকের উপর দিয়ে হাঁটছে।সে বুকের ভিতরের ফুসফুসের আওয়াজ সে যেন শুনতে পাচ্ছে স্পষ্ট।মৃতপ্রায় নিপীড়িত নীলচাষির বুকের সে আওয়াজ।জয় আর ফুলির বিচ্ছেদবেদনার স্পন্দন।তরুলতা বেশিক্ষণ সেখানে থাকতে পারে না।সরে আসে সুন্দরী নদীপারে আবার।এই নদীপার যেন তরুলতার কতোদিনের চেনা।এই আলপথ,ধানক্ষেত, ইঁটভাটা তার শরীরে প্রজাপতি ডানার অদৃশ্য সূক্ষ্ম শিরা উপশিরার মতোই সততসঞ্চরমান।তরুলতা হাঁটতে থাকে।পিছে পিছে আসে পরশুরাম।একটা বড় বটগাছের সামনে এসে তরুলতা দাঁড়িয়ে পড়ে।গাছটি যেন নুইয়ে পড়ে ক্লান্ত পথিককে তার কোলে আশ্রয় দিতে চাইছে।তরুলতার ইচ্ছে হয় গাছটার সঙ্গে কথা বলতে।গাছের গুড়িতে নানান রঙের কাপড়ের গিঁট আর ঢিল বাঁধা।মানুষ দূরদূরান্ত থেকে এসে হয়তো মনের কথা বলে গেছে এখানে।
-ম্যাডাম।ওটা গরামথান।আমাদের জাগ্রত দেবতা।খুব জাগ্রত।
এই গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ কুড়মি।তাদের নিজস্ব ভাষা আছে,সংস্কৃতি আছে।অথচ শহরের মানুষ সেসব জানেই না।জানতে চায়ওনি কখনও। তরুলতার খুব ইচ্ছে হয় সেও একটা মানত করবে গরামথানের কাছে।কিন্তু কীভাবে করবে?পূজার জন্য গ্রামের মূখ্যকে এখন সে পাবে কোথায়?পরশুরাম বোঝায়।মানত করতে পূজারি লাগে না।মনষ্কামনা পূরণ হলে তখন পূজো দিতে হয়।তরুলতা তার সালওয়ারের ওড়নার একটা কোণা ছিঁড়ে গরামথানের ঝুড়িতে গিঁট বেধে দেয়।
আবার ফিরে চলে তরুলতা।বুক ভরে শ্বাস নেয়।শালবনের জঙ্গলের প্রতিটি গাছ যেন তার সঙ্গে কথা বলছে।কার জন্য মানত করলো তরুলতা?শুভব্রতর জন্য?নাকি তার শরীরে নিঃশব্দে বেড়ে ওঠা পিউপাটার জন্য?হয়তো ওদের দুজনের জন্যই।হয়তো শালবনির প্রতিটি গাছের জন্য,তার পাখপাখালির জন্য,মরাম রাস্তার জন্য আর ওই সুন্দরী নদীটার জন্য।
পরশুরাম সন্ধ্যার আগেই বেলদার ভাড়াবাড়িতে তরুলতাকে ফিরিয়ে দেয়।পরশুরামের প্রতি কৃতজ্ঞতা জাগে তরুলতার।একদিনের জন্য হলেও পরশুরাম তাকে এক সিলিন্ডার অক্সিজেন এনে দিয়েছে।তাই নাওয়াখাওয়া ভুলে সে নিজেকে সঁপে দিতে পেরেছে গরামথানের কাছে।
ঘরে ঢুকেই চমকে গেল তরুলতা।সারাদিনের সঞ্চিত রেণুজল যেন মুহূর্তে বিষাক্ত হয়ে উঠল।সোফায় বসে আছে অখিলেশ।এই ঘরের চাবির নকল যে সে আগেই করে রেখেছে একথা তরুলতা জানে।কিন্তু কেন?কী চায় সে?শরীর চায়?কিন্তু তাতে যদি ওই পিউপাটার ক্ষতি হয়?
-আসতে হলো তরু।জরুরি কাজ।কেমন আছো?শালবনি গিয়েছিলে?
তরুলতাকে অখিলেশ আগেই বলেছে তার চিরিদিকে সহস্র চোখ।তাই সে বিস্মিত হয় না।চুপ করে থাকে।
-ভালো ভালো।একটু একটু ঘুরে এসো মাঝেমাঝে।আমি আর তো তোমাকে সময় দিতে পারি না আগের মতন।
-বলো।চা খাবে?
-নাহ।রাজেশ কানোরিয়ার রেখে যাওয়া ফাইলটা নিতে এসেছিলাম।ভাবলাম দেখা করে যাই।
-এতোদিন কোথায় ছিলে।বাড়ি গেছিলে?তীর্থ এখন কেমন আছে?
-ভালো।তবে আমি বাড়ি যাইনি তরু।এখানেই ছিলাম।অজ্ঞাতবাস।
বলেই হাসতে হাসতে তরুলতার অনিচ্ছে সত্ত্বেও অখিলেশ তাকে তার কোলে বসিয়ে ময়ালসাপের মতো জড়িয়ে ধরে।
-চারপাশে নজরদারি বেড়েছে তরু।পুলিশ টিকটিকি ছেড়েছে।আমরা ধরতে পারছি না।ধরে ফেললে ঝেড়ে ফেলতে হবে।
ঝেড়ে ফেলা মানে কী তরু সেটা জানে।অখিলেশ তরুলতার ব্লাউজের বোতাম খুলতে থাকে এক এক করে।তরুলতা পাথরের মতো বসে থাকে।
-শালবনি গিয়ে ভালোই করলে তরু।ওখানেই তো আমাদের পরের প্রজেক্ট।শুধু কয়েকটা লোকাল মাল ঝামেলা করছে।
-কী প্রোজেক্ট?
-একটা মস্ত সেভেন স্টার রিসর্ট হবে তরু।কয়েক কোটি টাকার প্রোজেক্ট।শহরের বাবুরা ফুর্তি করতে আসবে।আমাদের শেয়ারটুকু পেলে আর আমাদের এই চোরপুলিশ খেলতে হবে না।
-তাহলেই পিয়ালি সেন মুক্তি পাবে?
তরুলতার প্রশ্নে অখিলেশ তার দিকে তাকিয়ে থাকে।বিস্ময়, যন্ত্রণা না ক্রোধ,কী আছে সেই চাহনিতে,তরুলতা ঠিকমতো বুঝতে পারে না।খানিক ভেবে অখিলেশ বলে।
-বেশ।পাবে।
বলেই সে উঠে পড়ে।তরুলতা অখিলেশকে তার শরীরের নতুন বনবিতানের কথা জানায় না।অখিলেশ “আমাদের” শব্দ ব্যবহার করেছে বটে।কিন্তু তার আর অখিলেশের মধ্যে আর কোনও ‘আমাদের’ অবশিষ্ট নেই।অখিলেশ ফাইলটা নিয়ে চলে যায় ঝড়ের মতোই।তরুলতা দরজা বন্ধ করতে করতে হঠাৎ শিউরে ওঠে।অখিলেশ অনেক কথা না বলে চলে গেল।’লোকাল মাল’ কারা?সেভেন স্টার প্রজেক্টে তার গরামথানের কোনও ক্ষতি হবে না তো?ভাবতে ভাবতে তরুলতা বুঝতে পারে তার মাথা টলছে।শরীর দুর্বল।কিছু খেয়ে নিতে হবে এখনই।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।