প্রিয় ফিরোজ খান,
আপনি যোগ্যতার প্রশ্নে সসন্মানে উত্তীর্ণ হয়ে
ভারতবর্ষের এক স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষা শিক্ষক হতে চান।
সে সুযোগ আমরা দিই নি।
আপনি বাড়ি ফিরে গেছেন।
কারণ ভাষাটা সংস্কৃত
এবং আপনার নাম ফিরোজ খান।
বিষয়টি আবেগপ্রবণ, স্পর্শকাতর ও অনুভূতিসম্পন্ন।
তাই আপনার বিরুদ্ধে
পঞ্চাশোর্ধ অধ্যাপকের স্বাক্ষর সম্বলিত
আবেদন গেছে মহামান্যের কাছে।
তাতে আপনি বিমর্ষ হবেন না।
কারণ ভাষারও ধর্ম আছে
এবং আপনি ফিরোজ খান।
আপনি মনখারাপ করবেন না।
আপনি শিক্ষক।
জ্ঞানের আলোকবর্তিকা আপনার হাতে।
আর আমরা এখনও অন্ধকারের দিকে রয়ে গেছি।
ধর্মের অদৃশ্য ধর্নামঞ্চে আমরা স্বনিযুক্ত পেয়াদা।
কারণ সংস্কৃত দেবভাষা
এবং ফিরোজ খান আপনার নাম।
প্রিয় ফিরোজ খান,
কৃষ্ণের ভজন রচয়িতা
মন্দিরের আরাধনা সংগীত গায়ক
আপনার ব্যথাতুর পিতাকে জানাবেন
আমরা এখনও “জাতি ধর্ম নির্বিশেষে ” ইত্যাদির মতো
ততটা সাংবিধানিক হয়ে উঠতে পারিনি।
হয়তো আরও কয়েকটা শতাব্দী আমাদের প্রয়োজন।