সিনেমা সমালোচক: শতদীপ বিশ্বাস

সিনেমার নাম : জাজ্মেণ্টাল হ্যায় ক্যায়া

অভিনয়ে: রাজকুমার রাও, কঙ্গনা রানাওয়াত
অ্যাকিউট সাইকোসিস, এমন একটি রোগ যেখানে একাধিক মানুষের কল্পনাপ্রসূত অস্তিত্ব সম্ভব। ববি নামক একটি মেয়ে আক্রান্ত সেই রোগে। ছোটবেলার একটি দুর্ঘটনা, ট্রমা এবং সেখান থেকেই খুব সম্ভবত এই রোগের সূত্রপাত। সে যা ইচ্ছে তাই করে এবং আরশোলাকে যে সহ্য করতে পারে না। অপর দিকে তার বাড়িতে ফ্যামিলি ফ্রেন্ড তার স্বামীকে নিয়ে থাকতে আসে, যে কিনা রাজকুমার রাও। ঘটনার শুরু এখান থেকেই। এরপর একটি মার্ডার এবং ঘটনা এগোয় কখনও দ্রুত আবার কখনও ঢিমে তালে। বেশ কিছু টার্নস অ্যান্ড টুইস্টের মধ্যে দিয়ে শেষ অবধি দেখতে গেলে টানটান হয়ে দেখতে হবে। কখনও কখনও প্রেডিক্ট করছি ঠিকঠাক মনে হলে পরক্ষণেই স্টোরিটেলার কনফিউজড করে দেবেন সুন্দর উপায়ে। এজন্য কনিকা ধীলনের বাহবা প্রাপ্য।
ডাবিং আর্টিস্ট এবং থিয়েটার এই দুইয়ের মধ্যে দিয়ে ‘জারা’ আর ‘রামায়ণ’-এর সাথে সম্পূর্ণ স্টোরি-এর মিলমিশটা বেশ সুন্দর। শীতল শর্মার কস্টিউম, কঙ্গনা রানাওয়াত-এর জন্য পারফেক্ট। কালারফুল, ফাঙ্কি, ফ্যাশনেবল এবং কুইয়ার্কি। প্রথমে টাইটেল দ্যাখানোর সময়ের সিনটা ভীষণ ভালো লাগল, অরিগ্যামি এর পাখি, মাছ, প্রজাপতি ধীরে ধীরে রক্তাক্ত হয়ে যাওয়া, অরিগ্যামির কাগজগুলো, বেশ মিনিংফুল।
রাজকুমার রাও মূলত ইন্টারভ্যালের আগে এবং লাস্ট সিনে ফাটাফাটি। আর ছাপিয়ে গিয়েছে কঙ্গনা রানাওয়াত সবটা। একাই ওরকম একটা চরিত্র পর্দায় দারুণভাবে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার জন্যে হাততালি। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বেশ কিছু কিছু সিনে বেশ ভালো। তবে কোথাও কোথাও একটু খাপছাড়া খাপছাড়া বা ছন্দপতন হচ্ছিলো, যেটা পরবর্তী সিনে মেকাপ করে দেওয়া হয়েছে‌। সিনেমার দৈর্ঘ আরও হয়তো গল্প টানটান করতে ছোট করাই যৈত। আর শেষের দৃশ্যে ‘আয়গিরি নন্দিনী’টা বেশ সুন্দর লাগল।
‘অন্ধাধুন’-এর পর ‘জাজমেন্টাল হ্যায় ক্যায়া’কে রাখব, মাঝে বেশ খানিকটা গ্যাপ, তবুও। আর নামটা ‘মেন্টাল হ্যায় ক্যায়া’ হলে ব্যাপারটা জাস্ট জমে ক্ষীর হয়ে যেত।

মছলন্দপুরে বাড়ি। পদার্থবিদ্যা নিয়ে স্নাতকে পাঠরত। দেশি বিদেশি সমস্তরকম ভাষার সিনেমা দেখতে ভালোবাসেন।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।