গল্পসল্পে শীতল বিশ্বাস

ভূত চতুর্দশী

চোদ্দ শাক।চোদ্দ প্রদীপ।চতুর্দশী।ভূত চতুর্দশী।কালীপূজার আগের রাত।
প্রদীপ বানানো হত তালআঁটির ভেতর থেকে বার করা শাঁস দিয়ে।ঐ শাঁসের জন্য তালআঁটি পুঁতে রাখা হত।
পাটকাঠি জ্বালিয়ে ইঁজল পিঁজল।
ছোটবেলায় এই দিনটি ছিল ভীতিপ্রদ।ভূতেদের চতুর্দশী বলে কথা।
তুলসীতলায় মা-কাকিমা-জেঠিমা-পিসি-বোন-দিদিরা আলপনা দিতেন।পূর্বপুরুষদের জন্য মঙ্গল কামনা করতেন।
এখন এসেছে ধনতেরাস।আর অন্ধকারের ভয়গুলো আলোর বন্যায় ভেসে গেছে।আজ থেকে বছর চল্লিশ আগে এতো আলো আসেনি।এতো পাপ,হিংসা জমেনি কিন্তু মন ছিল সহজ।তখন পুকুরের পাড়ে ঝোপঝাড়ে,গাছেদের গায়ে জোনাকিরা দিপদিপ করতো আর শিশুমনে জমে যেত ভূতেদের অস্তিত্ব।সেই ভূত ক্ষতি করতোনা।ভয় দেখাতোনা কিন্তু দুরন্ত শিশুদের দুরন্তপনা কমাতো।
পুকুরপাড়ে প্রায়ান্ধকার পরিবেশে শিশুচোখ খুঁজে ফিরতো ভূতেদের।
রোমাঞ্চকর ছিল সেই সময়।এই জীবন অবেলায় তার সন্ধান করি।স্মৃতির ডালে খদ্যোৎ জ্বলে।এখনো কি পাটকাঠি বিক্রি হয়? কি জানি!
চোখ জ্বালা করে।চোখে জল জমলে বুঝি এরকম হয়!

Spread the love

You may also like...

error: Content is protected !!